বাঙলাদেশ সমস্যা সমাধানে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা চাই
বুলগেরিয়ার প্রধানমন্ত্রী
নয়াদিল্লী, ৩০ জুন ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করণ সিং’এর সঙ্গে ৪৫ মিনিটব্যাপী আলােচনাকালে। বুলগেরিয়ার প্রধানমন্ত্রী টোডাের ঝিভ সােফিয়ায় এই মর্মে মন্তব্য করেন যে, বাঙলাদেশের সমস্যা আর পাকিস্তানের আভ্যন্তরিণ বিষয় নয়, একমাত্র আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার রাজনৈতিক সমাধানের মাধ্যমেই তার মীমাংসা করতে হবে। ভারত ও পাকিস্তানকে একই স্তরে ফেলা যায় না এবং শরণার্থীদের ফেরার উপযুক্ত অবস্থার গ্যারান্টি বিশ্ববাসীকে দিতেই হবে।
বুলগেরিয়ার কমিউনিস্ট পার্টির প্রথম সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রী ঝিভকভও ভারতের বক্তব্যের প্রশংসা করেন ও তাকে পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস দেন বলে ইউএনআই খবর দিয়েছে।
সেনেটের এডওয়ার্ড কেনেডির সমালােচনা
একটি আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছামূলক রিলিফ সংস্থার এক সভায় ইন্দোচীন সম্পর্কে ভাষণ দানকালে সেনেটর এডওয়ার্ড কেনেডি, পূর্ববঙ্গে সাহায্যদানে ব্যর্থতা প্রকাশ করার জন্য মার্কিন সরকারকে তীব্র সমালােচনা করেন।
পাকিস্তানে মার্কিন অস্ত্র সরবরাহের উল্লেখ করে সেনেটের বলেন যে মার্কিন প্রশাসন পূর্ববঙ্গের “মানবিক প্রয়ােজন মেটাল না।
এই বিষয়ে বিশ্বের খুব কম দেশই কথা বলেছে “তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন চুপ থাকে তখন অন্য দেশের পক্ষে কিছু বলা কঠিন” বলে তিনি মন্তব্য করেন।
“এটা অমানুষিক এটা একটা আন্তর্জাতিক সমস্যা” বলে এখন প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্র সচিবের দরজায় কাউকে ঘা দিতে হবে বলে তিনি জানান।
তিনি আরাে বলেন মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ৬০ লক্ষ লােককে সরবরাহের উল্লেখ করে সেনেটর বলেন যে মার্কিন প্রশাসন পূর্ববঙ্গের “মানবিক প্রয়ােজন মেটাল না।
এই বিষয়ে বিশ্বের খুব কম দেশই কথা বলেছে “তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন চুপ থাকে তখন অন্য দেশের পক্ষে কিছু বলা কঠিন” বলে তিনি মন্তব্য করেন।
“এটা অমানুষিক এটা একটা আন্তর্জাতিক সমস্যা” বলে এখন প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্র সচিবের দরজায় কাউকে ঘা দিতে হবে বলে তিনি জানান।
তিনি আরাে বলেন মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ৬০ লক্ষ লােককে ঘরবাড়ি ছেড়ে ভারতে চলে আসতে হয়েছে, সংঘর্ষে হাজার হাজার মানুষ খুন হয়েছে আহত হয়েছে।” তিনি জাতিসংঘকে মানবিক সাহায্যদানের জন্য জরুরী সাহায্য কেন্দ্র স্থাপনের আহ্বান জানিয়েছেন।
সূত্র: কালান্তর, ১.৭.১৯৭১