The Mukti Fauj is still fighting
The Economist | 10th July 1971 | (With Bengali Translation)
(With Bengali Translation) (See Bengali Translation below)
Unicoded and Translated By- G M ALI AJGAR
Things show no signs of getting better in East Pakistan even though on President Yahya’s timetable they should start picking up from now on. No more Awami League members of the national assembly have come forward to co-operate with the president beyond the 22 who have already declared themselves willing; indeed, a few of those have fled from Dacca because no one knows who is to be on the list promised by President Yahya of Awami Leaguers wanted in connection with “crimes” committed before the fighting started. The stories say there were at least 32 members on the list.
But even when the list is out, the continued activities of the Mukti Fauj may deter people from collaborating with the martial law regime. At the moment the main activity of the Bengali resistance is confined to the border areas, where India troops in the form of covering fire. Even in Rajshahi-separated from India by the Ganges, which is some five miles wide during the monsoon- I heard the noises of skirmishing in the night. Most of the Mukti Fayj’s work is sabotage and in one district alone, Comilla, it is officially admitted that eight rail bridges and 15 road bridges have been blown. This is enough to keep the 60,000 men of the Pakistani army in the east busy.
In the interior, the army has more or less had to limit its operations to the Madhupur Forest area north of Dacca, where there are still more than 100 deserters from the East Pakistan Rifles and the East Bengal Regiment with a few machine-guns and mortars; the Noakhali area, where the Bengali communist leader, Mohammad Taoha, is operating; the Barisal area, where those members of the large community of Hindus who have not made it to India have apparently armed themselves; and the Khulna district, where there is evidence that Naxalites slipped over the border from West Bengal. Otherwise guarding the interior has had to be pretty well in police job.
The 5,000 policemen brought over from West Pakistan face a hideously difficult task in trying to protect the network of bridges that cross the water-ways of East Pakistan. Luckily for them, the Mukti saboteurs in the interior have so far shown themselves pretty incompetent. Last Friday, July 2nd, a pylon was brought down and Dacca was plunged into darkness, and on Monday a bridge on the main road from Dacca to Mymensingh was blown. But the pylon job was not followed up and the lights were on again in Dacca soon afterwards.
It is mainly the Biharis, many of whom were massacred by Bengalis before March 25th, together with Bengali members of the right-wing religious parties such as Jammat Islam and the Muslim League, who are collaborating with the government. So these people have become the particular target of the Mukti Fauj. There has been a spate of bomb explosions in all the major towns, and so far ten peace committee members have been killed in the province. In Khulna, the chairman of the peace committee got a threatening note from the Naxaqlists and later had his head chopped off. Captain Zaidi, the peace committee chairman in Pabna, west of Dacca who has spent a year in jail for fraud and now runs a petrol station previously owned by a Hindi, has locked gates and three armed guards.
In the smaller towns, life has become more normal than it has been for months, though it is hard to say what is normal in so overpopulated a country. Industrial production is picking up. In Dacca, and in the important industrial town of Khulna, factories have alone 60 percent of their men back at work. But in Chittagong the figure is still very low-about 25 percent- because now of the labor comes from the troubled area of Noakhali. The vast majority of those who have come back to work are people who have been in hiding inside East Pakistan itself. Few are refugees returning from India.
Translation:
পূর্ব পাকিস্তানে অবস্থা উন্নতির কোনো চিহ্ন দেখা যাচ্ছে না, যদিও প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার দেওয়া সময়সূচী অনুযায়ী এখন থেকেই তা শুরু হবার কথা। জাতীয় সংসদের আর কোনো আগ্রহী আওয়ামিলীগ সদস্য প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়ার বেধে দেওয়া সময় ২২ তারিখের ভিতর সহায়তা করেনি; প্রকৃতপক্ষে, তাদের মধ্যে কয়েকজন ঢাকা থেকে পালিয়ে গেছেন কারণ যাদের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া ওয়াদা করেছিলেন যেঁ লড়াই শুরু হওয়ার আগে সংঘটিত “অপরাধ”এর সাথে জড়িত তালিকায় কে কে আছেন তা কেউ জানে না। কিছু গল্প অনুযায়ী সেই তালিকায় কমপক্ষে ৩২ জন সদস্যের নাম আছে।
তবে তালিকাটি যদি বেরও হয়, মুক্তি ফৌজের নিয়মিত কার্যক্রম সাধারণ জনগণকে সামরিক শাসন পরিচালনায় সহযোগীতা করতে বাধা দিতে পারে। এই মুহুর্তে বাঙ্গালী প্রতিরোধের মূল তৎপরতা সীমান্ত অঞ্চলে সীমাবদ্ধ, যেখানে ভারতীয় সৈনিকেরা আগুন ঠেকানোর কাজে নিয়জিত। এমনকি রাজশাহী যা ভারতের সাথে গঙ্গা দ্বারা বিভিন্ন জায়গায় বিভক্ত, যেখানে বর্ষার সময় প্রায় পাঁচ মাইল চওড়া হয়ে যায়, রাতের বেলা আমি দাঙ্গার শব্দ শুনেছি। মুক্তি ফৌজদের অধিকাংশ কাজগুলি নাশকতা এবং সরকারী ভাষ্যমতেই, শুধু কুমিল্লা জেলাতেই ৮ টি রেল সেতু এবং ১৫ টি ব্রীজ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পূর্ব পাকিস্তানে সেনাবাহিনীদের ব্যস্ত রাখতেই এটি যথেষ্ট।
ঢাকার উত্তরে মধুপুর বনাঞ্চল- যেখানে সেনাবাহিনী তাদের অপারেশন কম-বেশী সীমাবদ্ধ করে এনেছে, যেখানে ১০০র ও বেশী ছেড়ে আসা পুর্ব পাকিস্তানি রাইফেলস এবং ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিক আছেন, যাদের কাছে কিছু ভারী অস্ত্র এবং মর্টার আছে; নোয়াখালী এলাকা, যেখানে বাঙ্গালী কম্যুউনিস্ট লীডার, মোহাম্মাদ তোহা অপারেশন করছে ; বরিশাল এলাকা, যেখানে হিন্দু কমিউনিটির সংখ্যায় বেশী যারা ভারতে না গিয়ে হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছে; অন্যদিকে খুলনা জেলা, যেখানে পশ্চিম বঙ্গ থেকে নকশালেরা চলে এসেছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। অন্যথায়, পুলিশই অভ্যন্তরীন শৃংখলা বজায় রাখার কাজ ভাল্ভাবে করতে পারতো।
পশ্চিম পাকিস্তান থেকে নিয়ে আসা ৫,০০০ পুলিশ সদস্যদের পূর্ব পাকিস্তানের জলপথগুলি অতিক্রমকারী সেতুগুলির নেটওয়ার্ককে সুরক্ষিত করার জন্য একটি কঠিন সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। সৌভাগ্যক্রমে, অভ্যন্তরীণ মুক্তি নাশকতাকারীরা এ পর্যন্ত নিজেদের অক্ষম দেখিয়েছে। গত শুক্রবার, ২রা জুলাই, ১টি ইলেক্ট্রিক তোরণ উপ্রে ফেলাতে ঢাকা পুরোপুরি অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে গিয়েছিল, এবং সোমবার ঢাকা থেকে ময়মনসিংয়ের মেইন রোডের ১টি ব্রীজ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। যদিও ইলেক্ট্রিক তোরণের কাজটি দীর্ঘায়িত হয়নি এবং অতিস্বত্তর ঢাকা বিদ্যুৎ চলে আসে।
এটি মূলত বিহারিরা, যাদের অনেককেই ২৫ শে মার্চের আগে বাঙালিরা ক্ষতি করেছিল এবং জামায়াত ইসলাম এবং মুসলিম লীগের মতো ডানপন্থী ধর্মীয় দলগুলির বাঙালি সদস্যরা যারা সরকারের সাথে সহযোগিতা করছে। সুতরাং, এই লোকগুলিই মূলতঃ মুক্তি ফৌজদের নিশানায় আছে। সমস্ত বড় বড় শহরে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে এবং এ পর্যন্ত এই প্রদেশে দশ জন শান্তি কমিটির সদস্য নিহত হয়েছেন। খুলনায়, শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান, নকশালিস্টদের কাছ থেকে হুমকিমূলক নোট পেয়েছিল এবং পরবর্তীতে তার মাথা কেটে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। ক্যাপ্টেন জায়েদী, যিনি পাবনা অঞ্চলের শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান, যিনি জালিয়াতির কারণে ১ বছর জেল খেটে এসেছেন, তিনি হিন্দু মালিকানাধীন একটি পেট্রোল স্টেশন দখল করে নিয়ে দরজায় তালা ঝুলিয়েছেন এবং ৩ জন নিরাপত্তারক্ষীকে আটকে রেখেছেন।
ছোট শহরগুলোতে, গত কয়েক মাসের তূলনায় জীবন যাত্রা কিছু স্বাভাবিক হয়ে এসেছে, যদিও ঘনবসতিপূর্ণ ১টি দেশে এটা স্বভাবিক কিনা বলা আসলেই কঠিন। শিল্প উৎপাদন বাড়ছে। ঢাকা এবং খুলনার মতো গুরুত্বপূর্ণ শিল্পাঞ্চলে ফ্যাক্টরীগুলিতে ৬০ শতাংসের বেশী মানুষ তাদের কাজে ফিরে এসেছে। কিন্তু চট্টগ্রামে সেই সংখ্যা ২৫ শতাংসেরও নীচে- কারণ এখন শ্রমিকদের নোয়াখালীর মত সমস্যাপ্রবণ এলাকা থেকে আসতে হয়। যারা কাজে ফিরে এসেছেন, তাদের অধিকাংশই পূর্ব পাকিস্তানের অভ্যন্তরেই লুকিয়ে ছিলেন। কিছু সংখ্যক শরনার্থী ভারত থেকে ফিরেছেন।
Translated By—G M Ali Ajgar
Main file