You dont have javascript enabled! Please enable it! ১৯৭২-৭৫ সময়ে নিহত আওয়ামী লীগ কর্মীদের তালিকা - সংগ্রামের নোটবুক

১৯৭২-৭৫ সময়ে নিহত আওয়ামী লীগ কর্মীদের তালিকা

[এই তালিকাটি প্রণীত হয়েছে মুজিব শাসনামলে আওয়ামী লীগের মুখপত্র বাংলার বাণীতে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এবং তা এখানে উপস্থাপিত হচ্ছে সাংবাদিক আশরাফ কায়সারের ‘বাংলাদেশে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড’ (মাওলা ব্রাদার্স, ১৯৯৫) শীর্ষক গ্রন্থ থেকে। এ তালিকায় অন্তর্ভুক্তরা যে সবাই আওয়ামী লীগ বিরােধিদের দ্বারা নিহত হয়েছে তা নয়; অনেকে দলীয় কোন্দলেও মারা গেছেন।]

১৯৭২

২৯ ফেব্রুয়ারি : বরিশালের উজিরপুরের যুবলীগ কর্মী ও মুজিব বাহিনীর সদস্য আব্দুল লতিফ একদল দুষ্কৃতকারীর হাতে নিহত।

২০ মার্চ : ভােলা মহকুমা ছাত্রলীগ সভাপতি ও ভােলা কলেজ ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি সালেহ আহম্মেদ, ছাত্রলীগ নেতা শফিউল্লাহ ও জুলফিকার আলী জুলুকে নৃশংসভাবে হত্যা।

২৮ মার্চ : বৈদ্যেরবাজার থানার বারদা ইউনিয়ন ছাত্রলীগ কর্মী ফজলুল হক, আব্দুল হক, আব্দুল মতিন ও হােসেন আলী অজ্ঞাত পরিচয় আততায়ীর হাতে নিহত।

০৮ এপ্রিল : টাঙ্গাইলে ছাত্রলীগের মিছিলে বােমা হামলায় আহত আজিজুল হকের মৃত্যু।

০৬ জুন : খুলনায় গণপরিষদ সদস্য আব্দুল গফুর ও তাঁর দুই সঙ্গী কামাল ও রিয়াজ উদ্দিন একদল সশস্ত্র দুবৃত্তের হাতে অপহৃত ও নৃশংসভাবে খুন।

১৫ জুন : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে একই পরিবারের ৩ জনসহ ৪ জন আওয়ামী লীগ কর্মী নিহত । এরা হচ্ছেন ওই এলাকার রিলিফ কমিটির সদস্য ও আওয়ামী লীগ কর্মী আব্দুস সাত্তার, তাঁর পুত্র আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর প্রধান নূরুজ্জামান, কন্যা মাছিলপুর আওয়ামী মহিলা সমিতির সভানেত্রী রওশন আরা বেগম ও সুরেশ চন্দ্র দাস। ভােরে বাড়ি ঘেরাও করে তাদের ধরে নিয়ে হত্যা করা হয়।

১২ জুলাই ; পাবনা বুলবুল মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক ছাত্রলীগ নেতা আব্দুস সাত্তার লালু অজ্ঞাত আততায়ীর গুলিতে নিহত ।

১৯ জুলাই : চৌমুহনীর আওয়ামী লীগ নেতা মােহাম্মদ সফিউল্লাহ নিজ বাসভবনে দুষ্কৃতকারীদের ছুরিকাঘাতে নিহত।

: নড়াইলে আওয়ামী লীগ কর্মী বিনয় কুমার মিত্র দুষ্কৃতকারীদের গুলিতে নিহত।

২৬ জুলাই : কেরানীগঞ্জের আওয়ামী লীগ কর্মী আবু সাঈদ গুপ্তঘাতকের হাতে নিহত।

Page 524

০৪ আগস্ট : নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এম সােলায়মানকে কয়েকজন আততায়ী রূপগঞ্জ বাজারে দোকানে বসা অবস্থায় গুলি করে হত্যা করে।

০৭ সেপ্টেম্বর : লৌহজংয়ে মুজিব বাহিনীর ইউনিট কমান্ডার গিয়াসউদ্দিন আহমেদ দুষ্কৃতকারীদের হাতে নিহত।

১১ সেপ্টেম্বর : ন্যাশনাল জুটমিলের শ্রমিক লীগ কর্মী আব্দুল কাদের নিহত।

০৭ অক্টোবর : খুলনার ফুলতলায় আওয়ামী লীগ কর্মী সরদার খলিলুর রহমান নিজ বাড়িতে আততায়ীদের গুলিতে নিহত।

১৩ নভেম্বর : কক্সবাজারের মহেশখালীতে আওয়ামী লীগ কর্মী আব্দুর রহিম দুষ্কৃতকারীদের গুলিতে নিহত ।

১৪ নভেম্বর : ঝালকাঠি শহরে শ্রমিক লীগ নেতা সঞ্জীব কুমার বােসকে গুলি করে।হত্যা।

২৮ ডিসেম্বর : খুলনা দৌলতপুরে শ্রমিক লীগ নেতা আবু সুফিয়ানকে হত্যা।

১৯৭৩

০২ জানুয়ারী : পটুয়াখালীতে ছাত্রলীগ নেতা মীর জাহানকে অপহরণ ও হত্যা। একই দিনে ঝিনাইদহে আওয়ামী লীগ কর্মী মােসলেম উদ্দিনকে গুলি করে হত্যা।

০৩ জানুয়ারী : বাকেরগঞ্জের মঠবাড়িয়ায় সাবেক গণপরিষদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা সওগাতুল আলম সগীর আততায়ীর গুলিতে নিহত।

১১ জানুয়ারী : মানিকগঞ্জের ঘিওরে আওয়ামী লীগ নেতা শ্রী সন্তোষ চক্রবর্তী ও তাঁর ছােট ভাই মনােতােষ চক্রবর্তী দুষ্কৃতকারীদের হতে নিহত।

২১ জানুয়ারী : বরিশালে ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল বারিক নিহত।

২৭ জানুয়ারী : কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার চিথলিয়া ইউনিয়নের রিলিফ কমিটির চেয়ারম্যান নিহত।

২৮ জানুয়ারী : কুমিল্লার মুরাদনগরে আওয়ামী লীগ কর্মী দীপক দুষ্কৃতকারীদের গুলিতে নিহত।

১১ ফেব্রুয়ারী : কুষ্টিয়ার বাহাদুরপুর ইউনিয়ন কর্মী নূরুজ্জামান নিহত।

০২ মার্চ : কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতা ফকির মােহাম্মদ গুলিতে নিহত।

০৯ মার্চ : নেত্রকোণার তেলিগাতী কৃষক লীগ কার্যালয়ে প্রতিপক্ষের বােমায় ৩ জন আওয়ামী লীগ কর্মী নিহত।

১০ মার্চ : গজারিয়া থানার আওয়ামী লীগ কর্মী মােশাররফ হােসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত।

০৬-০৮ মার্চ : জয়পুরহাটে ৩ জন আওয়ামী লীগ কর্মী হত্যা।

১২ মার্চ : মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সালাম আততায়ীর ছুরিকাঘাতে নিহত।

Page 525

১৮ মার্চ : আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠনিক কমিটির সদস্য আতাউল আল ফারুক নিহত। একই দিনে নােয়াখালীতে আবুল বাশার ও দিনাজপুরে ছাত্রলীগ নেতা কবিরউদ্দিন আততায়ীর গুলিতে নিহত।

০১ এপ্রিল : মনােহরদিতে আওয়ামী লীগ কর্মী আব্দুল মজিদ নিহত।

০৮ এপ্রিল : কিশােরগঞ্জের কাটিয়াদী থানার আওয়ামী লীগ নেতা মােহাম্মদ জামিল (রমু মিয়া) আততায়ীর গুলিতে নিহত।

১৮ এপ্রিল : শালিখায় আওয়ামী লীগ কর্মী আব্দুল গণি নিহত।

৩০ মে : ফরিদপুর জেলার নড়িয়া এলাকা থেকে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য নুরুল হক আততায়ীর গুলিতে নিহত।

০৩ জুন। : বগুড়া আওয়ামী যুবলীগের সদস্য আব্দুর রহমান নিহত।

০৫ জুন : বৈদ্যেরবাজার যুবলীগ আহ্বায়ক আব্দুল বাতেন নিহত।

১০ জুন। : নীলফামারীর খােকশা-পলাশবারী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা তনুভূষণ রায়কে গুলি করে হত্যা।

০৩ জুলাই : রমনা যুবলীগ নেতা আনােয়ার হােসেনকে পিটিয়ে হত্যা।

০৬ জুলাই : ঝিনাইদহের কোটচাদপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জমির উদ্দিন আহমদকে গলা কেটে হত্যা।

১০ জুলাই : চাঁপাইনবাবগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা মােজাফফর হােসেন নিহত।

০১ আগস্ট : বেলকুচি থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেক দুষ্কৃতকারীদের গুলিতে নিহত। একই দিনে রাজশাহীর বাঘমারায় আওয়ামী লীগ কর্মী আজাহার আলী গুলিতে নিহত।

১৬ আগস্ট : রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগ নেতা, রিলিফ কমিটির চেয়ারম্যান অমলকৃষ্ণ চক্রবর্তীকে মুখােশধারীরা হত্যা করে। একই দিনে বৈদ্যেরবাজারে ছাত্রলীগ কর্মী শিবু চন্দ্রকে হত্যা করা হয়।

১৮ আগস্ট : গাইবান্ধায় আওয়ামী লীগ কর্মী খলিলুর রহমান নিহত, একই দিনে ফতুল্লায় আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহমান নিহত।

২১ আগস্ট : পাবনার শাহজাদপুরে আওয়ামী লীগ নেতা ফখরুল ইসলামসহ ২ জন গুলিতে নিহত।

২৩ আগস্ট : দিনাজপুরে ৩ জন আওয়ামী লীগ কর্মী নিহত। এরা হচ্ছেন নরেন্দ্রনাথ শীল, বিপিন সাহা ও নজিবুর রহমান।

২৫ সেপ্টেম্বর : পালং থানা যুবলীগ সভাপতি ইদ্রিস আলী নিহত।

২৯ সেপ্টেম্বর : মাদারীপুরে ছাত্রলীগ কর্মী আব্দুল মােতালেব নিহত।

১১ অক্টোবর : বাকেরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগ কর্মী আব্দুল মােতালেব নিহত।

১৩ অক্টোবর : মাধবপুর থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি দুলাল মিয়াকে হত্যা করা হয়েছে।

২০ অক্টোবর : নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ কর্মী আলাউদ্দিন নিহত।

০৩ নভেম্বর : যশােরের ফুলতলা থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক তােবারক হােসেন নিহত।

Page 526

০৬ নভেম্বর : রংপুর জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম আততায়ীর হাতে নিহত।

১০ নভেম্বর : সীতাকুণ্ড থানা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি আমিরুজ্জামান ছুরিকাঘাতে নিহত।

২৪ ডিসেম্বর : দোহারে ছাত্রলীগ কর্মী হারুন নিহত।

২৮ ডিসেম্বর : চাঁপাইনবাবগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজুল হক নিহত।

১৯৭৪

১০ জানুয়ারী : জাতীয় সংসদ সদস্য ও ভােলা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মােতাহের উদ্দিন আহমেদ আততায়ীর গুলিতে নিহত।

১১ জানুয়ারী : মাদারীপুর জেলার ছাত্রলীগ নেতা সেকান্দর আলী দুষ্কৃতকারীদের গুলিতে নিহত।

১২ জানুয়ারী : মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি সম্পাদক আমজাদ হােসেন ও পাবনার আওয়ামী লীগ নেতা নকিব আলী গুলিতে নিহত।

৩০ জানুয়ারী : মানিকগঞ্জ জেলা যুবলীগ সদস্য আব্দুল খালেককে গুলি করে হত্যা।

১৩ ফেব্রুয়ারী : মাদারীপুরের আওয়ামী লীগ নেতা সরদার শাজাহান দুষ্কৃতকারীদের গুলিতে নিহত।

০১ মার্চ : যশাের জেলা ছাত্রলীগ নেতা একরামুল কবির গুলিতে নিহত।

০৭ মার্চ : পটুয়াখালীতে আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কাশেম আততায়ীর হাতে নিহত।

১৬ মার্চ : মনােহরদী থানার সংসদ সদস্য গাজী ফজলুর রহমান মুখােশধারীদের গুলিতে নিহত।

২৩ মার্চ : শ্রীপুরে আওয়ামী লীগ নেতা শাহাবুদ্দিন মণ্ডল গুলিতে নিহত।

৩০মার্চ : হবিগঞ্জ জেলা যুবলীগ সভাপতি আব্দুল মতিন নিহত।

০৫ এপ্রিল : মহসীন হলে ৭ জন ছাত্রলীগ কর্মী নিহত।

২০ মে : মাদারীপুরে গােসাইরহাট থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি জামালউদ্দিন আততায়ীর গুলিতে নিহত।

২২ মে : বরিশালে যুবলীগ নেতা এস এম ইলিয়াস হিরু ও মঞ্জুরুল হক ফিরােজ এবং রাজবাড়ীর পাংশায় যুবলীগ নেতা মানস কুমার সাহা নিহত।

০৮ জুন : নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি গােলাম মহিউদ্দিন শাহাজাহান গুলিতে নিহত।

১৩ জুন : মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা হারুনুর রশিদ (নীরু) আততায়ীর গুলিতে নিহত।

১০ জুলাই : বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সরদার জালাল উদ্দিন আততায়ীর গুলিতে নিহত।

Page 527

০১ আগস্ট : ময়মনসিংহ আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ প্রাক্তন এমসিএ এডভােকেট ঈমান আলী গুলিতে নিহত । দৌলতপুর থানার আওয়ামী লীগ নেতা মারা গেছেন ছুরিকাঘাতে।

১২ আগস্ট : মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ গুলিতে নিহত। রেজিস্ট্রি অফিসে ১২-১৩ জনের একটি দল নৌকায় করে এসে তাকে হত্যা করে। দুবৃত্ত দলে একজন মহিলাও ছিলেন। মাদারীপুরে ছাত্রলীগ নেতা সিরাজ সরদার ও ওমর আলী টেপাকে গুলি করে হত্যা।

১৪ সেপ্টেম্বর : শালিখা থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি মধূসুদন কুণ্ড গুলিতে নিহত।

০৬ অক্টোবর : টাঙ্গাইল মধুপুর থানা আওয়ামী লীগ নেতা মহেন্দ্র লাল বর্মন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির গুলিতে নিহত।

২০ অক্টোবর : গৌরনদীতে আওয়ামী লীগ নেতা শামসুল হক বিশ্বাসসহ পরিবারের ৪ জন নিহত।

২৯ অক্টোবর : ঝালকাঠির কাঠালিয়া থানা আওয়ামী লীগ সম্পাদক রহমান লস্কর আততায়ীর গুলিতে নিহত।

০৩ ডিসেম্বর : রাজবাড়ীতে ছাত্রলীগ কর্মী শাজাহান নিহত।

০৪ ডিসেম্বর : ফরিদপুর জেলার আওয়ামী লীগ নেতা আবু ইউসুফ আমিনুদ্দিন গুলিতে নিহত।

০৮ ডিসেম্বর : নরসিংদী কলেজের ভিপি হারুনুর রশিদ নিহত ।

১০ ডিসেম্বর : মােহাম্মদপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী প্রধান আলী আজম গুলিতে নিহত।

২৭ ডিসেম্বর : কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ঈদের নামাজ আদায়কালে সংসদ সদস্য গােলাম কিবরিয়া নিহত।

৩০ ডিসেম্বর : চুয়াডাঙ্গায় ছাত্রলীগ নেতা এহসানুল হক নিহত।

৩১ ডিসেম্বর : চুয়াডাঙ্গায় আওয়ামী লীগ কর্মী কামরুল ইসলাম নিহত।

১৯৭৫

০২ জানুয়ারী : পাবনার কাশীনাথপুরে যুবলীগ নেতা মাে. কোরবান আলী নিহত। পাবনায় আওয়ামী লীগ কর্মী শাহ আলম গুলিতে নিহত।

০৯ জানুয়ারী : নড়িয়া থানা আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল গনি শেখ গুলিতে নিহত। উজিরপুরে যুবলীগ সভাপতি আব্দুল রহমান নিহত।

১৩ জানুয়ারী ; দোহারে আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজউদ্দিন হােসেন গুলিতে নিহত।

০৭ ফেব্রুয়ারী : নাটোরে আওয়ামী লীগ কর্মী সাবের আলী নিহত।

০৮ ফেব্রুয়ারী : ময়মনসিংহে যুবলীগ কর্মী আব্দুস সােবহান নিহত।

২৪ ফেব্রুয়ারী : নেত্রকোণার সংসদ সদস্য আব্দুল খালেক দুবৃত্তদের গুলিতে নিহত।

১২ মার্চ : সাতকানিয়ায় বাকশাল কর্মী আশুতােষ মহাজন খুন।

১৮ মার্চ : পাংশা থানা বাকশাল সভাপতি জোনাব আলী ও কর্মী ইয়াকুব আলী গুলিতে নিহত।

Page 528

: চাটমােহর বাকশাল নেতা আব্দুল কাসেম গুলিতে নিহত।

২০ মার্চ : সিরাজগঞ্জে যুবলীগ নেতা আব্দুল হামিদ খুন।

২১ মার্চ : বগুড়ায় যুবলীগ নেতা মােস্তাফিজুর রহমান নিহত।

১২ এপ্রিল : নড়াইল বাকশাল নেতা অমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস নিহত।

১৩ এপ্রিল : ময়মনসিংহের যুবলীগ নেতা মাজহারুল ইসলাম গুলিতে নিহত।

: রাজবাড়ীর বাকশাল নেতা শাহ মােহাম্মদ হােসেন আততায়ীর গুলিতে নিহত।

২৫ এপ্রিল : কুষ্টিয়ায় বাকশাল নেতা মমতাজ আলী নিহত।

০৮ মে : নােয়াখালীতে ছাত্রলীগ নেতা কামাল আহমেদ নিহত। আঠারবাড়ীতে বাকশাল কর্মী ফজলুল হক নিহত।

১১ মে : নােয়াখালীতে ছাত্রলীগ নেতা কামালুদ্দিন খুন।

১৬ মে : হরিণাকুণ্ডে বাকশাল কর্মী ডা. গিরিন্দ্রনাথ নিহত ।

২৮ মে : পাকুটিয়ায় বাকশাল কর্মী তােতামিয়া ও থানা যুবলীগ কর্মী ইলিয়াস হােসেন গুলিতে নিহত। বামইলে বাকশালের সম্পাদক কলিমুর রহমান বাঙালি ব্রাশফায়ারে নিহত।

০১ জুন : চুয়াডাঙ্গা বাকশালের কোষাধ্যক্ষ দোস্ত মােহাম্মদ আনসারী গুলিতে নিহত।

০২ জুন : বৈদ্যেরবাজারে বাকশাল কর্মী রহমান আলী মিয়া নিহত। টুঙ্গীপাড়ার বাকশাল নেতা সােহরাব হােসেন নিহত।

০৮ জুন : কোম্পানীগঞ্জে বাকশাল সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম গুলিতে নিহত ।

১৬ জুন : জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবদুর রশীদ লেবু আততায়ীর গুলিতে নিহত।

১৮ জুন : দিনাজপুরে বাকশাল নেতা শহিদুল হক বুলু নিহত।

২৫ জুন : জয়দেবপুর থানা বাকশাল নেতা কফিলউদ্দিন ও কর্মী শহর আলী নিহত।

০৪ জুলাই : শ্রীপুর থানা বাকশাল নেতা মনিরউদ্দিন ফকির ও কর্মী আব্দুর হালিম মাস্টারকে গুলি করে হত্যা।

১৭ জুলাই : পাঁচবিবি বাকশাল নেতা আলাউদ্দিন আহমেদ গুলিতে নিহত।

০১ আগস্ট : রামু থানা বাকশাল নেতা আজিজুল ইসলাম নিহত।

০৩ আগস্ট : বগুড়ায় বাকশাল কর্মী আফতাফউদ্দিন নিহত।

Page 529

সতেরাে

১৯৭৩ সালের ডিসেম্বরে তানােরে নিহত

মুক্তিযােদ্ধা ও রাজনৈতিক কর্মীদের তালিকা

১৯৭৩ সালের ১১ ডিসেম্বর রাজশাহী জেলার তানাের থানায় রক্ষীবাহিনীর নেতৃত্বাধীন সরকারি বাহিনী বন্দি অবস্থায় যেসব মুক্তিযােদ্ধা ও রাজনৈতিক কর্মীকে গুলি করে হত্যা করে গণকবর দেয় তাদের মধ্যে নিম্নোক্তদের নাম ও পরিচয় সংগ্রহ করা গেছে :

ক্রম নং- নাম-পিতা-গ্রাম

১. মাে. এরাদ আলী-মাে. এলাহী বক্স-মােহাম্মদপুর, পাচোন্দর, তানাের, রাজশাহী।

২. মাে. এমদাদুল হক বাবু-সংগ্রহ করা যায়নি-পাঠানপাড়া, রাজশাহী।

৩. মাহমুদুর রহমান উজ্জ্বল-সংগ্রহ করা যায়নি-শিইল, রাজশাহী।

৪. মাে. আব্দুর রশিদ-সংগ্রহ করা যায়নি-বিনােদপুর, রাজশাহী।

৫. মাে. মনিরুজ্জামান-মাে. তসিম উদ্দীন-মহিষবাথান, রাজশাহী কোর্ট।

৬. মাে. হযরত আলী-মাে. ইয়াকুব আলী-মােহাম্মদপুর, তানাের।

৭. মাে. মহিরউদ্দিন-মাে. তাহির উদ্দিন-মােহাম্মদপুর, তানাের।

৮. মাে. মনসুর আলী-মাে. আশরাফ আলী-মােহাম্মদপুর, তানাের।

৯. মাে, আজাদ আলী-মাে. আমজাদ হোসেন-মােহাম্মদপুর, তানাের।

১০. মাে. আলাউদ্দিন-মাে. পাতান মণ্ডল-মােহাম্মদপুর, তানাের।

১১. মাে. আজাহার আলী-মাে. সৈয়দ আলী-মােহাম্মদপুর, তানাের।

১২. মাে. নজিবুর রহমান-মাে. আলিম উদ্দিন-মােহাম্মদপুর, তানাের।

১৩. মাে. ছলেমান-মাে. মানু-মােহাম্মদপুর, তানাের।

১৪. মাে, আনসার আলী লাদু-মাে. জয়নাল মণ্ডল-ডাঙ্গাপাড়া, তানাের।

১৫. মাে. আবছার আলী-মাে, রুস্তম আলী-ডাঙ্গাপাড়া, তানাের।

১৬. মাে. আব্দুল মজিদ-মাে. জহন মণ্ডল-ডাঙ্গাপাড়া, তানাের।

১৭. মাে. রিয়াজ উদ্দিন-মাে. জহন মণ্ডল-ডাঙ্গাপাড়া, তানাের

১৮. মাে. মােজাফফর-মােহাম্মদ আলী-ডাঙ্গাপাড়া, তানাের।

১৯. মাে. আলাউদ্দিন-মাে. হুর মণ্ডল-ডাঙ্গাপাড়া, তানাের।

২০. মাে. এমাজউদ্দিন-মাে. আজিজ মৃধা-ডাঙ্গাপাড়া, তানাের।

Page 530

২১. মাে. রবিবুর রহমান বাবু-মাে. ইসলাম মণ্ডল-দেউল, তানাের।

২২. মাে. খােকা মণ্ডল-মাে. নূর মণ্ডল, তাতিহাটি, তানোর।

২৩. মো. আহাদ মণ্ডল-মাে, আসাদ মণ্ডল-তাতিহাটি  তানোর।

২৪. মো. সৈয়দ আলী দেওয়ান-মো. শুধু দেওয়ান-কাজিজিয়া, তানোর।

২৫. মো. তৈয়ব আলী-মো. নাদের মণ্ডল-কাজিজিয়া, তানোর।

২৬. মো. নাজিম উদ্দিন- মো. আবির উদ্দিন-কৃষ্ণপুর, তানোর।

২৭. মো. এরাজউদ্দিন-মো. খিদির মণ্ডল-পরাণপুর, পাঠাকাটা, তানোর।

২৮. মো. আমির হোসেন-মো. নিয়াজ উদ্দিন- পরাণপুর, পাঠাকাটা, তানোর।

২৯. মো. আছের শাহ-মো. ঝালিম শাহ-পরাণপুর, পাঠাকাটা, তানোর।

৩০. মো. ঝিন্দা ফকির-মো. শুকুর মোল্লা-কচুয়া, তানোর।

৩১. মো. ওয়াজউদ্দি -মো. ইদার আলী-দুবইল, তানোর।

৩২. মো. শামসুউদ্দিন-মো. ফেলু উদ্দিন- যশপুর, তানোর।

৩৩. মো. সিদ্দিক আলী-হাজী মো. আজিজ সরকার-যশপুর, তানোর।

৩৪. মো. আব্দুল জব্বার-মো. সৈয়দ আলী-প্রসাদপাড়া, তানোর।

৩৫. মো. হারুম অর রশীদ-মো. বাসারত মণ্ডল-প্রসাদপাড়া, তানোর।

৩৬. মো. উমর আলী-মো. মনছুর আলী-প্রসাদপাড়া, তানোর।

৩৭. মো. ইসহাক আলী-মো. ছদের আলী-প্রসাদপাড়া, তানোর।

৩৮. মো. তৈয়ব আলী-মো. ছলিম মণ্ডল-প্রসাদপাড়া, তানোর।

৩৯. মো. আমির মণ্ডল-মো. পড়া মণ্ডল-প্রসাদপাড়া, তানোর।

৪০. মো. আব্দুর রশিদ-মো. গরীব মণ্ডল-রাতইল, তানোর।

৪১. মো. আব্দুল কুদ্দুস শেখ-মো. গরীব মণ্ডল-রাতইল, তানোর।

৪২. মো. শফিউদ্দিন-মো. আয়েন শেখ-রাতইল, তানোর।

৪৩. মো. আবুল হোসেন-সংগ্রহ করা যায়নি-প্রকাশনগর।

৪৪. মো. এমাজউদ্দিন-সংগ্রহ করা যায়নি-কামারগা।

Source: মুজিব বাহিনী থেকে গন বাহিনী ইতিহাসের পুনর্পাঠ – আলতাফ পারভেজ