কে মারল শেখ মুজিবুর রহমানকে
শেখ মুজিবুর রহমান, জুলফিকার আলী ভুট্টো ও ইন্দিরা গান্ধী এই তিন নেতার সকলে তাদের রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জন করেছেন। মুজিব বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেন; ইন্দিরা গান্ধী পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করেন এবং ভুট্টো তাঁর দেশের প্রধানমন্ত্রী হন।
-আহমেদ ইলিয়াস, ঢাকার উর্দুভাষী লেখক৬৬২
Internal developments and trends in Indo-Bangladesh relations during the first half of 1975 generated impulses which ultimately led to the assassination of Sheikh Mujibur Raham.
–J. N. Dixit, Liberation and Beyond : Indo-
Bangladesh Relations, UPL, Dhaka, p. 204.
‘বঙ্গবন্ধু হত্যার বিরুদ্ধে প্রতিরােধ গড়ার চেষ্টা করলেও আওয়ামী লীগ নেতাদের পূর্ণাঙ্গ সমর্থনের অভাবে আমরা সফল হতে পারিনি।’
-আবদুল কাদের সিদ্দিকী, বীরউত্তম-৬৬৩
উপরােক্ত প্রথম উদ্ধৃতিতে লেখক যথার্থই বলেছেন, শেখ মুজিবুর রহমান, জুলফিকার আলী ভুট্টো ও ইন্দিরা গান্ধী- প্রত্যেকে তাঁদের রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে সফল । কিন্তু দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একই সময়ের ইতিহাসের অপর করুণ। দিক হলাে, আলােচ্য তিন নেতাই নির্মমভাবে নিহত হয়েছেন নিজ নিজ দেশে। মুজিব নিহত হন ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট; ভুট্টো ১৯৭৯ সালের ৪ এপ্রিল এবং ইন্দিরা গান্ধী ১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর । এই তিন মত্যর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সৃষ্টির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রধান তিন রাজনৈতিক চরিত্রের শারীরিক বিদায় ঘটে।
এর মধ্যে বিশেষ করে রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যু ছিল বাংলাদেশের সবচেয়ে ঘটনাবহুল ও প্রভাবশালী ঐতিহাসিক কালপর্বের সমাপ্তি । মুজিব যাঁদের সৃষ্টি, যারা মুজিবকে তৈরি করেছিল তারাই ধ্বংসের চূড়ান্ত কিনারে
……………………………………………………………….
৬৬২) পূর্বোক্ত, পৃ. ১৬৩।
৬৬৩) কাদের সিদ্দিকী, পূর্বোক্ত।
Page 415
নিয়ে গেছে তাকে। তার উত্থান ও ধ্বংসের সযত্ন প্রক্রিয়ার মাঝে এত কৌতূহল উদ্রেককারী, জরুরি ও শিক্ষণীয় উপাদান আছে যে মুজিবকে কে গুলি ছুঁড়েছিল, ট্যাংকে কে কোথায় গােলা ভরে দিয়েছে সে আলােচনা ভীষণ রকমে অপ্রাসঙ্গিক মনে হবে ভাবীকালের ইতিহাসশাস্ত্রের শিক্ষার্থীদের কাছে। যদিও আপাতত বাংলাদেশের মানুষকে সেসবই ‘ইতিহাস’ হিসেবে গেলানাে হচ্ছে এবং সযত্নে আড়াল করে রাখা হচ্ছে মুজিবের রাজনৈতিক মৃত্যু যারা নিশ্চিত করেছিল তাদের।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং তার তাৎক্ষণিক পরের ইতিহাস নিয়ে ভবিষ্যৎ অনুসন্ধানের খােরাক হিসেবেই উপরে এই অধ্যায়ের শুরুতে আমরা ভারতীয় কূটনীতিবিদ J. N. Dixit-এর একটি উদ্ধৃতি ব্যবহার করেছি। প্রসঙ্গক্রমে এও বলে রাখা দরকার, J. N. Dixit তাঁর গ্রন্থে এও জানিয়েছেন, কেবল মুজিব হত্যা নয় মুজিবের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সহযােগী চার আওয়ামী লীগ নেতাকে কারাগারে হত্যার বিষয়টিও ভারত আগে থেকে অবহিত ছিল জে এন দীক্ষিত স্পষ্ট করে বলছেন, ডেপুটি হাইকমিশনার (কিছু দিন তিনি ঢাকায় ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারও ছিলেন) হিসেবে এসব মৃত্যু সম্পর্কে তাঁর কাছে নিশ্চিত খবর ছিল। (তিনি) আগাম তা ভারতের সর্বোচ্চ পর্যায়ে জানিয়েছিলেনও।’ স্পষ্ট করেই তিনি লিখেছেন, ‘I sent a message to New Delhi. But no action seems to have been taken on this vital advance information.৬৬৪ আর হ্যা, মুজিব যে ‘ক্ষমতা থেকে তার অপসারণ প্রতিরােধ করতে পারবেন না সেটা জে এন দীক্ষিতকে অবহিত করছেন মুজিবের অনেক নিকটজনের পাশাপাশি শেখ মণিও।৬৬৫ প্রায় সামঞ্জস্যপূর্ণ তথ্য আমরা পাবাে মুজিব শাসনামলের সবচেয়ে
…………………………………………………………………
৬৬৪) J. N. Dixit, Ibid, p.213-214. উল্লেখ্য, জনাব দীক্ষিতকে কেবল বাংলাদেশে একজন সাধারণ ভারতীয় রাষ্ট্রদূত হিসেবে এবং তার পাঠানাে বার্তাকে স্রেফ ‘ম্যাসেজ হিসেবে দেখলে এ দেশের রাজনীতির সঙ্গে তাঁর গভীর সংশ্লিষ্টতার প্রতি অবিচার করা হবে। নিশ্চিতভাবে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ক্ষেত্রে তিনি আরাে বেশি কিছু ছিলেন। ১৯৭১ সালে পূর্ব-পাকিস্তানের সংকটকালে বিষয়টি মােকাবেলা করার জন্য ভারতের বিদেশ মন্ত্রকে একটি বিশেষ বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল- যার পরিচালক ছিলেন দীক্ষিত । ১৯৭২ সালের ১৭ জানুয়ারি ঢাকায় তার মাধ্যমেই ভারতীয় দূতাবাসের কার্যক্রমের শুরু। ১৯৯৪ সালে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের সচিব হিসেবে চাকরি জীবন শেষ করেন তিনি।
৬৬৫) J. N. Dixit, ibid, p.204. জনাব দীক্ষিতের এই তথ্যকে বাংলাদেশের লেখক মাহবুব তালুকদারের একটি বক্তব্যের সঙ্গে মিলিয়ে দেখলে যে কোনাে পাঠকের মনে বহু প্রশ্নের জন্ম হওয়া অস্বাভাবিক নয়। উল্লেখ্য, স্বাধীনতার পর মাহবুব তালুকদার দীর্ঘ সময় বঙ্গভবনে গণসংযােগ কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করেছেন। সেই সূত্রে তিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পর্যন্ত শেখ মুজিবুর রহমানের দপ্তরে তথ্য বিষয়ক একজন কনিষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবেও যুক্ত ছিলেন। তাঁর স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থ (বঙ্গভবনে পাঁচ বছর, ইউপিএল, ঢাকা, পৃ. ১৪৪) থেকে জানা যায়, মুজিবের মৃত্যুর পূর্বে নিজের এক আত্মীয়ের (যিনি রাষ্ট্রীয় একটি গােয়েন্দা সংস্থার জুনিয়র কর্মকর্তা ছিলেন এবং টেলিফোনে আড়িপাতা যার দায়িত্ব ছিল) কাছ থেকে তিনি এই হত্যার ষড়যন্ত্র’ সম্পর্কে পূর্বাহ্নে অবহিত হন এবং বিষয়টি শেখ মণিকে জানান। মাহবুব তালুকদারের পূর্ব-পরিচিত বন্ধু ছিলেন মণি। কিন্তু শেখ মণি তাৎক্ষণিকভাবে ষড়যন্ত্রের বিষয়টি ‘অ্যাবসার্ড’ বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। ঐ পর্যায়ে মাহবুব তালুকদার এই।ষড়যন্ত্র সম্পর্কে মুজিবকে অবহিত করার অনুরােধ জানালে তাও মণি এই বলে প্রত্যাখ্যান।করেন যে, এগুলাে মনে মনে তৈরি করা কাল্পনিক ঘটনা- এটা তাকে জানানাের প্রয়ােজন নেই। উল্লেখ্য, মাহবুব তালুকদারের ঐ নিকটাত্মীয় তার প্রাপ্ত তথ্য নিজস্ব প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামাের মাধ্যমেও ঊর্ধ্বতনদের জানিয়েছিলেন বলে মাহবুব তালুকদারের বয়ান থেকে জানা যায়। কিন্তু ল যথাস্থানে পৌঁছাত না বলেই তার ধারণা ছিল।
Page 416
উত্তাল দিনগুলােতে ঢাকায় দায়িত্ব পালন করে যাওয়া আরেক ভারতীয় কূটনীতিবিদ সমর সেনের কাছ থেকেও- যিনি ১৯৭৫-এর আগস্ট অভ্যুত্থানকে বলছেন ‘a logical outcome’. এটা বলতে গিয়ে ভারতের প্রভাবশালী ইংরেজি সাপ্তাহিক ফ্রন্টলাইন-এর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে সমর সেন এও জানাচ্ছেন :
We had been keeping in touch with all elements within Bangladesh. India’s intelligence services- whose operations few of us know much about- retain contact with even elements hostile to Sheikh Mujib.৬৬৬
ভারতীয় কূটনীতিবিদদের এসব বক্তব্যের সূত্র ধরেই নিশ্চিতভাবেই শুরু হতে পারে ভাবীকালের অনুসন্ধানী সাংবাদিক ও গবেষকদের পরবর্তী রােমাঞ্চকর যাত্রা- যা নিশ্চিতভাবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সাহিত্যে পঁচাত্তর পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী দিনগুলাে সম্পর্কে অনেক নতুন উপাদান যুক্ত করবে। তবে জ্ঞানতাত্ত্বিক গবেষণার সেই সম্ভাবনাকে নতুন প্রজন্মের হাতে সঁপে দিয়ে আমরা ইতােমধ্যে মুজিব বাহিনী সম্পর্কিত বর্তমান বর্ণনার কিছু আপাত উপসংহারে আসতে পারি।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের সম্পৃক্তি ১৯৭১ সালের মার্চে ঢাকায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গণহত্যপর পর’- এইরূপ ধারণার যথার্থতা খতিয়ে দেখতে চেয়েছিলাম আমরা বর্তমান অনুসন্ধানের শুরুতে এবং ইতােমধ্যে আমরা দেখেছি,।একাত্তরের বহু পূর্ব থেকে পাকিস্তানের পূর্বাংশকে বিচ্ছিন্ন করার কাজে নিয়ােজিত ছিল ভারত। পূর্ব-পাকিস্তানের রাজনৈতিক নেতৃত্বের সঙ্গে তারা সকল স্তরে এবং সকল অর্থেই যােগাযােগ গড়ে তুলতে সমর্থ হয়েছিল। পূর্ব-পাকিস্তানের মানুষের প্রতি শাসক এলিটদের ধারাবাহিক শােষণ ও উপেক্ষা ঐ যােগাযােগকে বাড়তি গতি দেয় এবং অর্থবহ করে তােলে।
উপরােক্ত প্রেক্ষাপটেই- আমরা দেখেছি, একাত্তর ছিল বাংলাদেশের জন্য নিপীড়ক বাস্তবতা থেকে মুক্তির যুদ্ধ এবং ভারতের জন্য ছিল তা শতাব্দীর সের।সুযােগ। এই সুযােগ যাতে কোনােভাবে ব্যর্থ না হয় এবং এর ধারাবাহিকতা
……………………………………………………………..
৬৬৬) Samar Sen, Frontline, Ibid.
Page 417
যাতে ভবিষ্যতেও কার্যকর থাকে সেই ভাবনারই এক ধরনের ফসল বলা যায় মুজিব বাহিনীকে- যদিও এই বাহিনীর সামান্য সংখ্যক সদস্যই হয়তাে সেই ভাবনার খোঁজ জানতেন এবং আরও কম সংখ্যক হয়তাে তার সুদূরপ্রসারী তাৎপর্য ধরতে পেরেছিলেন। ইতিহাসের এই পর্যায়ে পূর্ব (এবং পশ্চিম) বাংলায় মাওবাদী অভ্যুত্থান মােকাবেলাও শাসক শক্তির একটি কর্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সে আলােকেই ‘মুজিব বাহিনী’ নামক প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তােলার পেছনে আন্তর্জাতিক শক্তিসমূহের সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য ও তার বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া আমরা দেখেছি পূর্ববর্তী অধ্যায়গুলাের আলােচনায়। আবার যুদ্ধ পরবর্তীকালে এই বাহিনীর নতুন সংস্করণগুলাের মাওবাদ দমনমূলক কার্যক্রম যে সােভিয়েত ইউনিয়নের আঞ্চলিক রাজনৈতিক স্বার্থের সঙ্গেও খাপখাইয়ে গিয়েছিল তারও ইঙ্গিত পাবাে ২২৭ নম্বর।তথ্যসূত্রে সােভিয়েত তাত্ত্বিক উলিয়ানভক্সির মতাদর্শ সম্পর্কিত আলােচনায় ।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘটলেও মুজিব বাহিনী যে ভিন্ন ও বিভিন্ন রূপে, দায়িত্বে ও রাজনীতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে সক্রিয় ছিল সেটা বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে পূর্ববর্তী অধ্যায়গুলােতে। মুজিব বাহিনীর এই জন্ম, বিস্তৃতি ও ভূমিকারই রাজনৈতিক ফল স্বাধীনতাকালীন বিভক্তি এবং স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক প্রহেলিকা, গৃহযুদ্ধ-পরিস্থিতি, একদলীয় শাসনব্যবস্থা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অপহরণ, দুর্ভিক্ষ এবং সর্বশেষ দেশের কাণ্ডারি মুজিবের নির্মম মৃত্যু। এর মধ্যে সমাজতন্ত্রের কুহকের ফলই হয়েছিল সবচেয়ে বিধ্বংসী। মাওবাদী নকশাল ধারার সমাজতান্ত্রিক উত্থান মােকাবেলায় কীভাবে জাতীয়তাবাদী সংগঠনগুলােকে ব্যবহার করা হয়েছে এবং এর মধ্য দিয়ে সমাজতন্ত্র সম্পর্কে কীভাবে জনমানসে একটা ভীতিকর ধারণার গােড়াপত্তন হয়েছে নয়টি জেলায় তার সরেজমিন চিত্রও।দেখেছি আমরা।
কিন্তু বাংলাদেশের ইতিহাস চর্চায় উপরােক্ত প্রসঙ্গগুলাে বরাবর ভিন্নভাবে লিপিবদ্ধ হয়েছে বিভ্রান্তি তৈরির লক্ষ্যে। আমাদের রাজনৈতিক সাহিত্য কখনােই শেখ মুজিবুর রহমানের করুণ রাজনৈতিক পরিণতির সমাজতাত্ত্বিক কারণ হিসেবে স্বাধীনতা-উত্তর সমাজে মুজিব বাহিনীর ভূমিকা খতিয়ে দেখেনি। একইভাবে এবং একই সময়ে, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক অনিবার্যতাকে সাংঘর্ষিক পরিস্থিতিতে প্রবেশ করিয়ে তার চূড়ান্ত অবক্ষয় তৃরান্বিত করতে রাষ্ট্রের ফ্যাসিবাদী পুনর্গঠনকে নিশ্চিত করেছিল কারা- সেটাও অপ্রকাশ্য থেকেছে বরাবর। অথচ এই প্রক্রিয়ায়। “কমিউনিস্ট আদর্শ দিয়ে কমিউনিস্ট আদর্শকে মােকাবেলা’-এর তত্ত্বের প্রায় মহাকাব্যিক এক প্রয়ােগ ঘটে ঐ সময়ের বাংলাদেশে। যুদ্ধোত্তর উপরােক্ত বাস্তবতারই উন্মোচন প্রচেষ্টা ছিল বর্তমান অনুসন্ধান।
Page 418
খুব সংক্ষেপে এটাও তুলে ধরা হয়েছে যে, যুক্তফ্রন্টের ২১ দফা, আওয়ামী লীগের ছয়দফা, ছাত্রদের ১১ দফা কিংবা মহান স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘােষণাপত্র ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ দলিল প্রণয়নকারী রাজনৈতিক গােষ্ঠী ও শক্তিসমূহ দলিলগুলােতে সমাজতন্ত্র সম্পর্কে কোনােরূপ স্পষ্ট কর্মসূচি উত্থাপন না করা সত্ত্বেও ১৬ ডিসেম্বরের পরপর কীভাবে সমাজতন্ত্র বিষয়ে উচ্চকিত হয়ে উঠেছিল এবং মুজিবের রাজনৈতিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে তা কীভাবে প্রধান এক ঘাতকের ভূমিকা পালন করেছিল।
যেখানে এসে এইমুহূর্তে চলতি অনুসন্ধানের সমাপ্তি ঘটেছে স্বাভাবিকভাবেই সেটা কোনাে ঐতিহাসিক সমাপ্তি বিন্দু নয়! মুজিব বাহিনী সম্পর্কিত আমাদের পূর্ব-সিদ্ধান্তসমূহ এরপরও কার্যকর ছিল এবং আছে। ফলে চলতি অনুসন্ধান প্রক্রিয়ার প্রচলিত কোনাে উপসংহারও অপ্রাসঙ্গিক। প্রয়ােজন কেবল আরও অনুসন্ধান; আরও গবেষণা। বাংলাদেশের ইতিহাস চর্চার সমকালীন চ্যালেঞ্জ এখানেই।
Source: মুজিব বাহিনী থেকে গন বাহিনী ইতিহাসের পুনর্পাঠ – আলতাফ পারভেজ