You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.07.03 | Come here yourself, Yahya | The Economist | 3rd July 1971 | (With Bengali Translation) - সংগ্রামের নোটবুক

Come here yourself, Yahya
The Economist (From special correspondent), 3rd July 1971
(With Bengali Translation) (See Bengali Translation below)
Unicoded and Translated By- G M ALI AJGAR

It was about all President Yahya was expected to say, and perhaps all he could say. His long awaited speech on Monday recorded only that Pakistan’s constitution will be drawn up by a body of experts and that it will take account of “the aspirations of the people of the various regions of Pakistan, as assessed by me.” Martial law is to continue “for four months or so” when by-elections will be held to fill the seats of unrepentant members of the Awami League. And that is about it.

President Yahya certainly has a point, given the past history of constitution making in Pakistan, in concluding that an elected assembly is not the body to draw up the sort of constitution he would accept. He is also being realistic in waiting for four months in the hope that more defections from the Awami League will reduce the number of by-elections that need to be held. But the tone of his speech on Monday did nothing to create confidence in East Pakistan. It would have been good political sense to omit the routine story of the unscrupulous and secessionist Awami League and the usual harsh words for Sheikh Mujib. The army came in for unstinted praise. “The nation is proud of the armed forces, which deserve all its admiration and appreciation.” It would have been shrewder to admit excesses.

The Islamic basis of the new constitution was emphasized by the president, and this is hardly likely to persuade those Hindus who remain in East Pakistan that that is where they belong, or to encourage Hindu refugees to come home. Although he promises as much autonomy as is compatible with a strong central government, however much that is, he said it might be a good idea to ban any party which is limited to a specific region. The Bengalis are hardly likely to relish a sequence of events in which President Yahya takes it upon himself to interpret their aspirations in the constitution, and in which they thereafter have no specifically Bengali parties.

What the Bengalis need is a gesture of reconciliation. The release of Sheikh Mujib or the removal of General Tikk Khan, the West Pakistani governor of the province, may be too much to ask. But many Bengalis feel that at least president might have changed the tenor of his speech: as it was, his words were plainly meant for West Pakistanis, the vast majority of whom know nothing of what the army has been up to, the few who do being apparently indifferent to it.

Although President Yahya said that “in practice martial law will not be operative in its present form” there is no sign of change yet. Even in Dacca, where there has been little violence lately, people still look frightened. The army makes up for its thinness on the ground by bristling with weapons: lorries with mounted machine-guns patrol the streets and both the army and the police- into which West Pakistani police of all ranks have been drafted- carry rifles everywhere. Practically every building flies the Pakistani flag, and looking at the selective destruction of Hindu and Awami Leaguers’ homes one can see why. Rumors of army actions are so widespread that they come to carry the weight of fact. And there are still facts for the rumors to feed on: last Sunday the army shot up a Hindu settlement of Boliadai, 40 miles outside Dacca.

On Tuesday the provincial budget was presented, and a growth rate of 4-5 per cent was estimated for the coming year. Wishful thinking. The Bengali resistance, with Indian help, now seems to be devoting a large part of its effort to the economy. The tea estates around Sylhet have been a prime target, and one British Planter claims to have seen Sikhs on his estate. And although more jute has been grown than was originally feared, jute growers and dealers, many of whom are Hindus, have been receiving instructions from the resistance movement telling them not to transport or sell the jute. If this keeps the jute from the market Pakistan will certainly not be able to start debt repayments in October, and it is possible that President Yahya will find the situation worse in four months’ time that it is now.

ইয়াহিয়া আপনি নিজে এসে দেখে যান

এটি ছিল সেই সমস্থ বিষয় যা প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া বলবেন বলে আশা করা হয়েছিল, এবং যা বলতে পারতেন সেই সম্পর্কে। সোমবার তাঁর বহু প্রতীক্ষিত ভাষণটি কেবল রেকর্ড করেছে এভাবে যে ,পাকিস্তানের গঠনতন্ত্র বিশেষজ্ঞদের দ্বারা তৈরি করা হবে এবং এটি “পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের আকাঙ্ক্ষার বিষয়টি বিবেচনা করবে, যেটা আমার দ্বারা মূল্যায়ন করা হয়েছিল।” সামরিক আইনটি “চার মাস বা তার বেশি সময় ধরে” অব্যাহত রাখতে হবে যখন আওয়ামী লীগের অনুশোচনাপ্রাপ্ত সদস্যদের আসন পূরণের জন্য উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবং যেখানে এটি সম্পর্কে বলা হয়েছে।

প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া অবশ্যই পাকিস্তানের সংবিধান প্রণয়নের অতীত ইতিহাসের পরিপ্রেক্ষিতে একটি বক্তব্য রেখেছেন, এই সিদ্ধান্তে যে, একটি নির্বাচিত সংসদ সেরকম হবে না তিনি যে ধরণের সংবিধান গ্রহণ করতে পারেন । তিনি বাস্তবিকভাবে অপেক্ষা করেছেন এই আশায় যে আওয়ামী লীগ থেকে আরও অনেকে সরে যাবার কারণে অনুষ্ঠিত হওয়া উপনির্বাচনের সংখ্যা হ্রাস পাবে । তবে সোমবার তাঁর দেওয়া ভাষণের সুরটি পূর্ব পাকিস্তানে আস্থা তৈরি করতে সাহায্য করেনি। রুটিন মাফিক অসাধু ও বিচ্ছিন্নতাবাদী আওয়ামী লীগ সম্পর্কে মনগড়া কাহিনী এবং শেখ মুজিবকে নিয়মিত কঠোর কথা বাদ দিলে- ভাল রাজনৈতিক বোধের পরিচয় হতো। সেনাবাহিনী অকুন্ঠ প্রশংসার আশায় এসেছিল। বিষয়টি এমন যে, “জাতি হিসাবে সশস্ত্র বাহিনী নিয়ে গর্বিত, যা এর সমস্ত প্রশংসা ও রস আস্বাদন প্রাপ্য।” বাড়াবাড়ি স্বীকার করা চতুরতা হবে।

নতুন সংবিধানে ইসলামিক ভিত্তির উপর প্রেসিডেন্ট জোর দিয়েছিলেন, এবং এটি পূর্ব পাকিস্তানে যারা হিন্দু রয়েছেন তাদেরকে সেখানেই থাকতে এবংহিন্দু শরণার্থীদের দেশে ফিরিয়ে আনতে  জন্য যথেস্ট উৎসাহিত করবে বলে মনে হয় না। যদিও তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ভাবে সায়িত্বশাসনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, যাইহোক, আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলি নিষিদ্ধ করা ভালো হবে বলে মত দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া যেভাবে সংবিধানে তাদের ইচ্ছাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ঘটনাগুলির ধারাবাহিকতায় সেটি বাঙ্গালীরা খুব সহজভাবে গ্রহণ করবে না, যেখানে বাঙ্গালী কোন দলের বিশেষত্ব নাই।

বাঙ্গালীদের যা দরকার তা হলো সমন্বয়সাধনের ইঙ্গিত। শেখ মুজিবের মুক্তি অথবা পশ্চিম পাকিস্তানের গভর্নরের দায়িত্ব থেকে টিক্কা খানকে সরিয়া ফেলতে চাওয়া হয়তঃ খুব বেশী হবে। কিন্তু অনেক বাঙ্গালী মনে করেন, প্রেসিডেন্ট তার বক্তৃতায় কিছুটা পরিবর্তন এনেছেন, যেখানে স্পস্টতই পশ্চিম পাকিস্তানিদের উদ্দ্যেশেই বোঝাতে চেয়েছিলেন, যারা সেনাবাহিনী কি করছে সে বিষয়ে কিছুই অবগত নয়, যারা কয়েকজন জানে তারা এবিষয়ে উদাসীন।

যদিও প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া বলেছিলেন “বর্তমান রুপে সামরিক শাসন পরিচালনা করা হবে নয়া”-কিন্তু সেরকম কোন চিহ্ন এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে নয়া। এমনকি ঢাকায়, যেখানে দেরীতে কিছুটা সহিংসতা হয়েছে, এখনো মানুষকে আতংকিত দেখাচ্ছে।  সেনাবাহিনী রাস্তায় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিচ্ছেঃ সেনাবাহিনী নিয়ে  ভারী মেশিনগান সজ্জিত লরি ও পশ্চিম পাকিস্তানের সব পর্যায়ের পুলিশ রাইফেল নিয়ে সব জায়গায় টহল দিচ্ছে। বাস্তবে, প্রতিটি বাড়ীতেই পাকিস্তানি পতাকা উড়তে এবং নিদৃস্ট হিন্দু ও আওয়ামিলীগারদের বাড়ীগুলোর ধ্বংসাবস্থা দেখলেই বোঝা যায়-কি হয়েছে। সেনাবাইনী কঠিন সত্য মেনেই এসেছে কারণ তাদের কর্মকান্ডগুলির গুজব এতোটাই বিস্তৃত। এবং গুজবগুলি এখনো প্রকৃতপক্ষে গুজবগুলিকে বাস্তবই মনে হবে, কারণ ঢাকার ৪০ মেইল অদূরে বলিয়াদিতে গত রবিবার ১টি হিন্দু জনবসতিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার প্রাদেশিক বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছিল, এবং আগামী বছরের জন্য ৪-৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধির হার ধরা হয়েছিল। ইচ্ছামতো ভাবনা। ভারতীয় সহায়তায় বাঙালি প্রতিরোধ এখন মনে হচ্ছে তার প্রচেষ্টার একটি বড় অংশকে অর্থনীতিতে ব্যয় করছে। সিলেটের আশেপাশের চা বাগানগুলি একটি প্রধান লক্ষ্য ছিল, এবং একজন ব্রিটিশ প্ল্যান্টার দাবি করেছেন যে তিনি তাঁর এস্টেটে শিখদের দেখেছেন। প্রাথমিকভাবে যা আশংকা করা হয়েছিল, তার থেকে বেশী পাট জন্মেছে, এবং পাট ব্যাবসাহিদের অধিকাংশ যেহেতু হিন্দু তাদের পাট পরিবহন এবং বিক্রী না করে প্রতিরোধ আন্দোলনের নির্দেশনা পেয়েছেন। যদি এইভাবে পাট বাজারে না ঢুকে, তাহলে নিশ্চিতভাবে অক্টোবরে ঋণ পরিশোধে ব্যার্থ হবে এবং এরকম অবস্থা বিরাজ করলে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া ৪ মাসে আরো খারাপ অবস্থা দেখতে পাবেন।

Translated By—G M Ali Ajgar