You dont have javascript enabled! Please enable it!
পঞ্চগড় জেলা
অমরখানা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রশাসনিক এলাকা আক্রমণ
অমরখানা পঞ্চগড় জেলার পঞ্চগড় সদর থানার সীমান্তবর্তী একটি গ্রাম। গ্রামটি সড়ক পথে পঞ্চগড়ের মাধ্যমে দিনাজপুর শহরের সাথে যুক্ত। অমরখানা দিনাজপুর শহরের অন্যতম প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত ছিল। এখানে ইপিআরএর ৯ নম্বর উইংয়ের ১টি বিওপি ছিল। এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহে পাকিস্তান সেনাবাহিনী এটি দখল করে শক্তিশালী ঘাঁটিতে পরিণত করে। এটি ছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সর্ব-উত্তরের অগ্রবর্তী ঘাটি। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অবস্থান। অমরখানা বাের্ড অফিসে ছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মূল অবস্থান জগদলপঞ্চগড় পাকা সড়কের পাশে বুধন মেম্বারের বাড়ি ছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনীর লঙ্গরখানা। ১০-১৫জনের ১টি সক্রিয় দল সেখানে স্থায়ীভাবে অবস্থান করত। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর টহল দলগুলােও এটাকে অস্থায়ী বিশ্রাম স্থল হিসেবে ব্যবহার করত।
মুক্তিবাহিনীর অবস্থান
পঞ্চগড় সদর থানার ভেতরগড়ে ২৩ জুন মুক্তিযােদ্ধাদের ১টি গেরিলা দল মেজর শর্মা ও মেজর শংকরের তত্ত্বাবধানে ক্যাম্প স্থাপন করে। ক্যাম্পের মূল অবস্থান ছিল ভাটপাড়া বিএসএফ বিওপি’র পিছনে জহুরী বাজার থেকে ৩০০ গজ দূরে। ১টি আমবাগানে। দলটি গেরিলা অপারেশনের লক্ষ্যে এখানে অবস্থান করছিল।
তথ্যসংগ্রহ
অধিনায়ক মাহাবুব আলমের নেতৃত্বে ৯জনের ১টি রেকি দল ৩ জুলাই রাতে গাইড ওমর আলীর সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীর লঙ্গরখানা ১০০ গজ দূর। থেকে রেকি পরিচালনা করে এবং বুধন মেম্বারের বাড়ির অবস্থানগত চিত্র সংগ্রহ করে।
অপারেশন পরিকল্পনা
অধিনায়ক মাহাবুব আলমের নেতৃত্বে বুধন মেম্বারের বাড়িতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর লঙ্গরখানায় গ্রেনেড চার্জ করে সর্বাধিক সংখ্যক ক্ষয়ক্ষতি সাধনের পরিকল্পনা করা হয়।
অপারেশনের বিবরণ
মােট ২১জনকে নিয়ে রাতের অপারেশন। অধিনায়ক মাহাবুব ছিলেন সামনে, পিছনে আহিদার, তারপর গােলাম গাউস, এমনিভাবে এক এক করে ২১জন। তাঁদের হাতিয়ার ছিল ৪টি এসএলআর, ১০টি রাইফেল, ১২টি গ্রেনেড আর ২টি কুড়াল। প্রতিটি এসএলআর-এর জন্য ২ ম্যাগাজিনে ৬০টি করে ১২০ রাউন্ড বুলেট এবং প্রতিটি রাইফেলের জন্য ২০টি করে বুলেট।
এ অপারেশনের গুরুত্ব ছিল খুব বেশি। তাই এর গােপনীয়তা রক্ষা করতে হয়েছে ভীষণভাবে। যুদ্ধের মাঠে অপারেশনের খবর প্রকাশ হয়ে যাওয়া মানে হলাে পুরাে দলকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার সুযােগ করে দেওয়া। চূড়ান্ত ব্রিফিং দেওয়া হলাে। অপারেশনের প্রতিটি খুঁটিনাটি বিষয়, প্রত্যেকের দায়িত্ব এবং বিপদের আশঙ্কা ও ঝুঁকির ব্যাপারটাও বুঝিয়ে দেওয়া হলাে। রাত ১টার দিকে গেরিলারা বাংলাদেশের সীমানার ভিতরে প্রবেশ করে। গাইড জোনাব আলির গ্রামের নাম গুয়াবাড়ি। সেখানেই জোনাব আলির বাড়িতে ওমর আলী মুক্তিযােদ্ধাদের জন্য অপেক্ষা করবেন। অমরখানা বাের্ড অফিস আর বুধন মেম্বারের বাড়ির ঘাঁটিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর চলাচল আর অবস্থানের সঠিক তথ্যসংগ্রহ করে ওমর আলীর আজ রাতে জোনাব আলীর বাড়িতে থাকার কথা। ওমর আলীর সঠিক আর চূড়ান্ত পর্যবেক্ষণের উপর মুক্তিযােদ্ধাদের অপারেশনের সাফল্য অনেকটাই নির্ভরশীল। ওমর আলী অপেক্ষা করছিলেন। মুক্তিযােদ্ধারা পৌছার পরই তিনি তাঁর রিপাের্ট পেশ করে বললেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর চলাচল স্বাভাবিক। সন্ধ্যার খানিকটা আগেভাগে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ১টি বড়াে দল বুধন মেম্বারের বাড়িতে এসেছে। মনে হয় রাতটা সেখানে থাকবে।
অমরখানা ঘাটিতে রাতদিন যুদ্ধ করে এখন বিধ্বস্ত তারা। সামনে ২টি বাংকার, সেখানেও তারা থাকতে পারে।  একমাত্র সম্ভাব্য রাস্তা হচ্ছে পিছন দিক দিয়ে বুধন মেম্বারের বাড়িতে উঠবার চেষ্টা করা। বাড়ির প্রায় ১০০ গজ পিছনে একটা পাটক্ষেত। পাটক্ষেত পর্যন্ত পৌঁছতে পারলে বাকি ১০০ গজের ব্যবস্থা করে নেয়া যাবে। শালমারা ব্রিজ পার হয়ে এক সময় সন্তর্পণে শত্রুর এলাকায় প্রবেশ করলেন গেরিলারা। এখান থেকে অমরখানা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ঘাটি ১ মাইলের মতাে। রাস্তাটা সােজা গিয়ে উঠেছে অমরখানা বাের্ড অফিসের সামনে। শত্রুপক্ষের প্যাট্রল পাটি থাকতে পারে রাস্তায়। যে-কোনাে মুহূর্তে ওদের মুখােমুখি হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। গেরিলা দল ২ সারিতে এগােচ্ছে যতটা নিঃশব্দ আর দ্রুততার সাথে এগােনাে যায়। কিছু দূর এগােবার পর এক টুকরাে ফাকা মতাে উঁচু জায়গা দেখা গেল, যার চারদিকে বর্ষার পানি। ঠিক হলাে, এ জায়গাটা হবে আরপি বা রিটার্ন পােস্ট। অপারেশন শেষে যে যেখানেই থাকুক, এখানে এসে সমবেত হবে। ওমর আলী হাত ইশারা করে সামনের দিকে আবছা কালাে মতাে পাটক্ষেতটা দেখিয়ে ফিসফিসিয়ে বললেন, ঐ পাটক্ষেতটা ধরে বুধন মেম্বারের বাড়ির পিছনের পাটক্ষেতটা পর্যন্ত যাওয়া যাবে। সিদ্ধান্ত শেষে ঠিক হলাে, বুধনের বাড়িতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর লঙ্গরখানায় গ্রেনেড ছুড়বেন মতিয়ার আর খলিল। ওঁদের সাথে থাকবেন অধিনায়ক মাহাবুব। আহিদার আর গােলাম মােস্তফার কাছে থাকবে এসএলআর। মুক্তিযােদ্ধাদের পিছন থেকে কভার দেবে ওঁরা। ওঁদের একটু পিছনেই ডানে-বামে থাকবেন ৮জন রাইফেলম্যান, ২জন কুড়ালধারী আর শুধু গ্রেনেড হাতে থাকবেন ২জন। তারা থাকবেন সেকেন্ড ম্যান হিসেবে। কেউ আহত হলে, তার হাতিয়ার ব্যবহার করবেন এঁরা। আগে থেকে ছক করা পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্দিষ্ট গ্রুপে ভাগ হয়ে গেল দলটি। সামনে মাহাবুব আর ওমর আলী। খানিকটা ব্যবধানে মতিয়ার আর খলিল। তাদের পিছনে আহিদার, মােস্তফা আর জব্বার। আর তাদের সামান্য পিছনে গােলাম গাউসের নেতৃত্বে রাইফেলধারীরা। 
গেরিলারা এবার পাটক্ষেতের বাইরে খােলামেলা জায়গায় এসে অবস্থান নেন। হঠাৎ বাড়ির ভিতর থেকে কথাবার্তার শব্দ কানে এল। কেউ একজন চিৎকার করে কাউকে ডেকে উঠল, অট্টহাসির শব্দও ভেসে এল। ডানে অমরখানার দিক থেকে মেশিনগানের গুলির শব্দ ভেসে আসছে এবং বিক্ষিপ্তভাবে বর্ষিত চাইনিজ রাইফেলের গুলির শব্দও পাওয়া যাচ্ছে। ‘রেডি’, অধিনায়ক ফিসফিসিয়ে অর্ডার দিলেন, ‘চার্জ। খলিল ও মতিয়ার একসঙ্গে ২টি গ্রেনেড ছুড়লেন। সাথে সাথে আরও ২টি। মাহাবুবের হাতেরটাও উড়ে গেলাে একই সঙ্গে। টিনের ছাদের উপরে পড়ল। গ্রেনেড ৫টি। থারটি সিক্স হ্যান্ড গ্রেনেড অসম্ভম শক্তিশালী। অসম্ভব ধ্বংস করার ক্ষমতা তার। গ্রেনেড ছােড়ার পর পরই শব্দ করে করে গড়িয়ে পড়তে লাগল সেগুলাে আঙিনার মধ্যে। গ্রেনেডগুলাে টিনের সাথে ধাক্কা খেয়ে গড়িয়ে পড়ার শব্দ শুনতে শুনতে কাদা-পানি ভেঙে একেবারে অবিশ্বাস্য গতিতে এক দৌড়ে তখন মুলিবাঁশের বেড়ার কাছে পৌছে যান গেরিলারা। সেখান থেকে পিছনে ফিরতেই তীব্র আলাের বিচ্ছুরণসহ প্রথম গ্রেনেডটাকে বিস্ফোরিত হতে দেখলেন তারা। একই সাথে ৪টি গ্রেনেড চার্জ করা হলাে। তীব্র আলােকচ্ছটা। আর প্রচণ্ড বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠল চারদিক বাড়ির ভিতরে তখন হইচই, গােলমাল, চিঙ্কার, সাথে সাথে শুরু হয়ে গেল চাইনিজ রাইফেল থেকে গুলিবর্ষণ। মুক্তিবাহিনীর তরফ থেকে গােলাম গাউসের নেতৃত্বে রাইফেলধারীরাও পালটা গুলি বর্ষণ শুরু করল। সবকিছুই ঘটল মাত্র অল্প বলে এক শক্ত আঘাত হানে, যার প্রভাব ছিল গভীর ও সুদূরপ্রসারী। অপারেশনে সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ মুক্তিযােদ্ধা সময়ের ব্যবধানে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সেন্ট্রি ও প্যাট্রল পার্টি মুক্তিবাহিনী আসার পথের সন্ধানই শুধু পায় নি, মুক্তিবাহিনী এখন কোথায়, কোনখানে। আছে, সে অবস্থানেরও হদিস করে ফেলেছে। তাই ওরা মুক্তিবাহিনীর দিকে। তাক করে গুলি ছুড়ছে অবিরাম।
মাথা তুলে দৌড়ানাে যাচ্ছে না। কিন্তু গােলাম গাউসের রাইফেলধারীরাও গুলি ছুড়ে চলেছেন। ব্যাপারটা নিঃসন্দেহে বিপজ্জনক। চিৎকার করে গাউসকে গুলি বর্ষণ বন্ধ করতে বললেন অধিনায়ক। ওদিকে জগদলহাট আর অমরখানা ঘাঁটিও অসম্ভব সরব হয়ে উঠেছে। এমন সময় শুরু হলাে শেলিং। বােঝা গেল যে, মেজর শংকরের নির্দেশেই এটা হচ্ছে। মাথার উপর দিয়ে শিস বাজিয়ে বুলেটের ছুটে যাওয়া, আর দিগন্ত কাপানাে একটার পর একটা শেলের বিস্ফোরণ। পিছনে জ্বলছে বুধন মেম্বারের বাড়ি। আর সে বাড়িকে কেন্দ্র করে অমরখানা বাের্ড অফিসের আশপাশে এক নারকীয় অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। মুক্তিবাহিনী নিরাপদে আরপিতে ফিরে এল। ফলাফল বিশ্লেষণ।
ক. পরিকল্পিত অপারেশন : অমরখানা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অবস্থানে অপারেশনটি ছিল একটি পরিকল্পিত গেরিলা অপারেশন। পর্যবেক্ষণ,  তথ্যসংগ্রহ, সঠিক টার্গেট নির্বাচন এবং প্রাপ্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে জনবল ও যুদ্ধাস্ত্র নির্বাচন একটি সফল পরিকল্পনার নির্দেশক। খ. সঠিক রেকি পরিচালনা : গাইড ওমর আলীর সহায়তায় রাতের অন্ধকারে নিঃশব্দে টার্গেটের প্রয়ােজনীয় যাবতীয় তথ্যসংগ্রহ এবং গােপনীয়তা বজায় রাখার মাধ্যমে সঠিক রেকি পরিচালনার বাস্তবায়ন ঘটে। গ, সাহসিকতা ও বিচক্ষণতা : আলােচ্য অপারেশনটি ছিল গেরিলা বাহিনীর কর্মকাণ্ড শুরুর দিকের একটি অপারেশন। তাই যথার্থ সাহসিকতার সাথে শত্রু ঘাটিতে আক্রমণ, নিয়ন্ত্রণ এবং শত্রুর পালটা জবাবের মুখে বিচক্ষণতার সাথে পশ্চাদপসরণ গেরিলা কৌশলের সফল বাস্তবায়ন। সামগ্রিক মূল্যায়ন। এ অপারেশনে ৩জন পাকিস্তানি সৈন্য নিহত এবং ৯জন মারাত্মক আহত হয়। এ অপারেশন মুক্তিযােদ্ধাদের মনােবলকে বহুলাংশে বৃদ্ধি করে এবং একই সাথে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মনােঅধিনায়ক মাহাবুব আলমকে চাউলহাটি ইউনিট বেসের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়।
শালমারা ব্রিজ ধ্বংস
পঞ্চগড় জেলা সদরের তালমা নদীর উপর শালমারা ব্রিজটির অবস্থান। প্রশাসনিক ঘাঁটি অমরখানা থেকে এ ব্রিজের উপর দিয়েই পাকিস্তানি সৈন্যরা ভেতরগড় হয়ে নতুনহাট ও টোকাপাড়া পর্যন্ত যাতায়াত করত। শালমারা ব্রিজটি ধ্বংস করতে পারলে শক্রর চলাচল বাধাগ্রস্ত হবে। মুক্তিযােদ্ধারা তালমা নদীর। উপর শালমারা ব্রিজটি ধ্বংস করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। অপারেশনে গমনের পূর্বে মেজর শংকর মুক্তিযােদ্ধাদের প্রয়ােজনীয় ব্রিফিং দেন। ২৮ জুন, ১৫জন মুক্তিযােদ্ধা ৪০ পাউন্ড বিস্ফোরক, হলদে রঙের করডেক্স ১০০ ফুট, ৮টি ডিটোনেটর, সেফটি ফিউজ ও সেফটি ক্যাচ, সাথে ২টি। স্টেনগান, ৪টি রাইফেল ও ৬টি গ্রেনেড এবং প্রতিটি স্টেনগানের জন্য ২টি করে ২০ রাউন্ড এবং রাইফেলের জন্য ১৫ রাউন্ড গুলি নিয়ে রওনা হন। অধিনায়কত্বের দায়িত্ব নুরুল হকের উপর এবং মাহাবুব আলম তার সহকারী । গাইড মকতু মিয়ার নির্দেশনায় রাত ১১টার সময় মুক্তিযােদ্ধারা ব্রিজের কাছে। এসে পৌঁছেন। 
ঘন কালাে অন্ধকার রাত। চারদিকে নিঝুম থমথমে পরিবেশ সন্ধ্যার দিকে বৃষ্টি ছিল। বৃষ্টি ভেজা মাটি। নির্দিষ্ট জায়গায় সবাইকে পজিশনে রেখে মতিয়ার ও মাহাবুব ব্রিজের উপর উঠে কাউকে ব্রিজ পাহারায় দেখতে পেলেন না। ২ সারিতে ১২টি কাঠের মজবুত মােটা খাম ব্রিজটাকে শক্ত করে দাড় করিয়ে রেখেছে।  নরম ময়দার ঢালার মতাে গােলাকার ৪-৫ ইঞ্চি লম্বা একেকটা প্লাস্টিক এক্সপ্লোসিভ। ব্রিজের গােলাকৃতির কাঠের খামের গায়ে উপর-নিচ করে দুই ধারে আটকে দেওয়া হয় চাপ দিয়ে দিয়ে। মাথায় গিট দিয়ে করডেক্সের এক প্রান্ত আগেই ঢুকিয়ে দেওয়া হয় এক্সপ্লোসিভের ভিতরে। সার্কিটগুলাে সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ার পর সেফটি ফিউজে আগুন লাগানাের পর মুহূর্তের মধ্যে বিকট আওয়াজে ব্রিজের একাংশ ধসে পড়ে। ব্রিজটা পুরাে ধ্বংস করতে না পারার দুঃখ মুক্তিযােদ্ধাদের মনে। তবুও তারা আশান্বিত যে ব্রিজের উপর দিয়ে পাকিস্তানি সৈন্যরা আর যাতায়াত করতে সক্ষম হবে না।

সূত্র : মুক্তিযুদ্ধে সামরিক অভিযান – পঞ্চম খন্ড

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!