You dont have javascript enabled! Please enable it! 1971.08.21 | Striking Back | The Economist | 21st August 1971 | (With Bengali Translation) - সংগ্রামের নোটবুক

Striking Back
The Economist | 21st August 1971
(With Bengali Translation) (See Bengali Translation below)
Unicoded and Translated By- G M ALI AJGAR

The week after the signing of the Indian-Russian treaty has seen tension on the East Pakistani border raised yet another notch. The sabotaging in Assam in August 14th of two Indian trains carrying doctors, nurses and food for the refugees in Tripura was plainly an expert job. The Indians say it could not have been the work of Indian leftwing extremists, who operate mostly in West Bengal, and that it must therefore have been done by Pakistani saboteurs.

The Pakistanis deny this. But whoever did it, this was a much more serious incident than the usual border skirmish because this rail link is the only means of feeding more than a million refugees in Tripura now that the monsoon has made flights into the area almost impossible. And there are so many refugees in Tripura that it would be impossible to move them all to a more accessible place.
It would not be surprising if the Pakistani army had decided to try its hand at a bit of sabotage. It is under pressure from the Bengali guerrillas, the Mukti Fauj along the northern and eastern borders of East Pakistan: the Mukti claimed on Tuesday that it had killed 184 Pakistani soldiers and captured more than 200 weapons in two districts in this area in the preceding fortnight. Even if the claim is exaggerated, any capture of arms is important because the Mukti Fauj is still complaining to journalists that the Indians are not giving it enough guns.
And the civil war has got noticeably hotter elsewhere in the past month too. The number of bridges blown, collaborators assassinated and bombs thrown still seems to be growing. Last week a bomb went off in the Intercontinental hotel in Dacca and this week two ships, one of them apparently carrying arms and ammunitions, were severely damaged in Chittagong harbor. It seems that the Mukti is putting more men into the field as the first batches of trainees leave the camps.
To meet this danger another Pakistani division is being moved to East Pakistan by ship. Because the regular Pakistani army is now seriously overstretched, the Indians say they fear that the tribesmen of Kashmir will be used to stir up trouble for India in that disputed region. The transfer of General Akbar Khan, Pakistan’s former director of military intelligence, to command his country’s part of Kashmir is regarded as ominous in Delhi. General Akbar would be just the man to mastermind the sort of irregular operation India is supporting in East Pakistan. But so far there has been so infiltration into the vale of Kashmir, even though the monsoon month of August is the best time to do it.
ভারত-রাশিয়ান চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার এক সপ্তাহ পরে পূর্ব পাকিস্তান সীমান্ত নিয়ে উত্তেজনা আরও এক ধাপ বেড়েছে। আসামে ১৪ ই আগস্টে ত্রিপুরার শরণার্থীদের জন্য চিকিৎসক, নার্স এবং খাবার বহনকারী দুটি ভারতীয় ট্রেনে নাশকতা স্পষ্টভাবে একটি অভিজ্ঞদের কাজ ছিল। ভারতীয়রা বলছেন, এটি ভারতীয় বাম চরমপন্থীদের কাজ হতে পারে না, যারা বেশিরভাগ পশ্চিমবঙ্গেই কাজ করে এবং সেকারণেএটি অবশ্যই পাকিস্তানী নাশকের দ্বারা করা হয়েছে।

যদিও পাকিস্তান সেটি অস্বীকার করেছে। তবে যে-ই এটি করেছে, এটি সাধারণ সীমান্ত সংঘর্ষের চেয়ে অনেক মারাত্মক ঘটনা ছিল কারণ এই রেল যোগাযোগটি ত্রিপুরার দশ লক্ষেরও বেশি শরণার্থীদের খাবার পৌছে দেওয়ার একমাত্র মাধ্যম, কারণ বর্ষা মৌসুমে এই অঞ্চলে বিমান দিয়ে যেটি করা প্রায় অসম্ভব। এবং ত্রিপুরায় এমন অনেক শরণার্থী রয়েছে যে তাদের সকলকে অন্য জায়গায় সরিয়ে নেওয়া অসম্ভব।

পাকিস্তানি সেনাবাহিনী যদি কিছুটা নাশকতা করার চেষ্টা করে, তবে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। পূর্ব পাকিস্তানের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত এলাকায় মুক্তি ফৌজ ও বাঙালি গেরিলাদের চাপে রয়েছে: মুক্তিফৌজ মঙ্গলবার দাবি করেছে যে এই অঞ্চলের পূর্ববর্তী দুটি জেলায় তারা ১৮৪ জন পাকিস্তানী সেনাকে হত্যা করেছে এবং ২০০ এরও বেশি অস্ত্র কব্জাকরেছে।
দাবিটি যদি অতিরঞ্জিতও হয়, তবুও অস্ত্র কবজা করার গুরুত্ব রয়েছে কারণ মুক্তি ফৌজ এখনও সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করছেন যে ভারতীয়রা তাদের পর্যাপ্ত বন্দুক দিয়ে সহায়তা করছে না।

এবং অন্যান্য জায়গায়ও গতমাস থেকে গৃহযুদ্ধ প্রকট হয়ে উঠছে। ব্রীজ উড়িয়ে দেওয়া, সহযোগীদের হত্যা করা এবং বোমা নিক্ষেম করা এখন চলছে বলে ধারনা করা হয়। গতসপ্তাহে ঢাকার ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে বোমা ফুটেছিল এবং এই সপ্তাহে চিটগং বন্দরে দুইটি জাহাজও ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, যার একটি স্পস্টতই অস্ত্র বহন করছিল। মনে হচ্ছে মুক্তি বাহিনীর প্রথম ব্যাচ ক্যাম্প থেকে বের হওয়াতে আরো লোকবল মাঠে পেয়েছে।

এই বিপদ মেটাতে আরও একটি পাকিস্তানি বিভাগ জাহাজে করে পূর্ব পাকিস্তানে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে। যেহেতু, পাকিস্তানি নিয়মিত সৈনিকেরা অতিরিক্ত ক্লান্ত, ভারতীয়রা বলছেন যে, কাশ্মীরি উপজাতিরা এই বিতর্কিত অঞ্চলে গোলযোগ করে ভারতের জন্য ঝামেলা বাড়াতে পারে বলে আশংকা করছে। পাকিস্তানের সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের প্রাক্তন পরিচালক জেনারেল আকবর খানকে তার দেশের কাশ্মীরের অংশে বদলির আদেশ দেওয়ায় দিল্লি এটিকে অশুভ বিবেচনা করছে। তবে এখন পর্যন্ত কাশ্মীর উপত্যকায় যথেস্ট অনুপ্রবেশ ঘটেছে, যদিও আগস্ট মাসের বর্ষা মৌসুম এটি করার উপযুক্ত সময়।
Translated By—- G M Ali Ajgar

Main File