Paying for the refugees
The Economist | 14th August 1971
(See Bengali Translation below)
Unicoded and Translated By- G M ALI AJGAR
On top of the $80 million provided for two months ago in the budget, the Indian government obtained parliament’s approval last week to a supplementary grant of $266 million for sustaining the stream of refugees still pouring into India from East Bengal. Taken together with $151 million of international aid committed until mid-July this might suffice until the end of the year, provided the influx comes to a halt. But there are no signs of this happening. Almost 1 million came over in July, pushing the total now in India to 7.4 million. In fact, there is likely to be a spurt in the coming weeks as food stocks in villages begin to run out. It is doubtful whether the United Nations observers now going into position in East Bengal can organize the distribution of relief in good time because of disrupted transport system.
With 90 per cent of refugees crowded into the border districts of West Bengal on the west and Tripura on the east, these two states carry a crushing burden. Plans for dispersal are handicapped by logistical problems as well as the time it is talking to build up camps in other states. But mercifully the food situation is still reasonably comfortable. Rice prices in the Calcutta market are lower than this time a year ago. This is largely because the monsoon is off to a good start. Some areas in northern India, among them nearby Bihar, have been affected by floods, but the waters may yet recede in time to permit a satisfactory crop.
Feeding the refugees will require some 725,000 tons of rice over the next six months, the bulk of which will have to come from imports. About 200,000 tons have been offered as aid, including 60,000 tons by Britain. But more pledges are urgently needed to enable the government to keep domestic prices in check.
Mrs Gandhi will soon have to curtail government spending or raise additional resources to cushion the burden of the refugees. But decisions are being deferred for the moment because the whole situation is still fluid, the more so because of threats of war issuing from Islamabad. The least painful way out for the Indian government is to postpone increases in development spending for which an additional $400 million has been provided in this year’s budget. But this is not easy to do, given the need to bring new jobs to West Bengal. It will be equally difficult to call off other programs designed to generate new rural jobs all over India. Fortunately, popular support for Bangla Desh is so great that the government can afford to ask for a tightening of belts-at least on the part of the relatively better-off sections of population.
শরণার্থীদের সহায়তা প্রদান (পেয়িং ফর দা রিফুউজিস)
পূর্ব বাংলা থেকে ঢালাওভাবে আসা শরণার্থীদের টিকিয়ে রাখতে, ভারত সরকার ২ মাস আগে বাজেটে সরবরাহ করা ৮০ মিলিয়ন ডলারের পরেও গত সপ্তাহে অতিরিক্ত ২৬৬ মিলিয়ন ডলার পরিপূরক অনুদানের জন্য সংসদের অনুমোদন পেয়েছিল। জুলাইয়ের মাঝামাঝি পর্যন্ত প্রতিশ্রুতিপ্রাপ্ত আন্তর্জাতিক $ ১৫১ মিলিয়ন ডলারসহ একত্রে বছরের শেষ অবধি পর্যন্ত যথেস্ট পরিমাণ সরবরাহ করা সম্ভব হবে,যদি শরনার্থী আসা বন্ধ হয়। কিন্তু এটি হবার কোনো লক্ষণ নেই। জুলাই মাসে প্রায় ১ মিলিয়ন (১০ লক্ষ) এসেছে, ভারতে এখন মোট সংখ্যা ৭.৪ মিলিয়নে (৭৪ লক্ষ) দাঁড়িয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, সামনের সপ্তাহগুলোতে আরো বাড়তে পারে যদি গ্রামগুলিতে মজুদ খাদ্য শেস হতে থাকে। ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থার ব্যাহত হওয়ার কারণে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষকরা পূর্ব বাংলায় গিয়ে ত্রাণ বিতরন কার্যক্রম ভালভাবে গোছাতে পারবে কিনা সন্দেহ আছে।
৯০% শরণার্থী পশ্চিমে পশ্চিমবঙ্গ এবং পূর্বে ত্রিপুরা সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে জনসমাগমের কারণে এই দুটি রাজ্য চূড়ান্ত বোঝা বহন করে। অন্যান্য রাজ্যে শিবির গড়ে তুলে সেখানে পাঠানোর পরিকল্পনাগুলি লজিস্টিক্যাল সমস্যা দ্বারা অন্তরায়। তবে, সৌভাগ্যক্রমে খাবারের পরিস্তিতি এখনো তূলনামূলকভাবে সুবিধাজনক। গত বছরের এই সময়ের তূলনায়, কোলকাতা শহরে চালের দাম এখন কম। বর্ষাকাল ভালভাবে শুরু হওয়া এটির অন্যতম কারণ। ভারতের উত্তরাঞ্চলে, বিশেস করে উত্তর বিহারের কিছু অঞ্চল বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, তথাপি পানি কমতে থাকায় সন্তোষজনক ফসলের স্বম্ভাবনা পাওয়া যায়।
শরণার্থীদের খাওয়ানোর জন্য আগামী ছয় মাসের জন্য প্রায় ৭২৫,০০০ টন চাল প্রয়োজন হবে, যার বেশিরভাগ অংশ আমদানি থেকে আসতে হবে। বৃটেনের ৬০০০০ টন সহ প্রায় ২ লক্ষ টন সহায়তা পাওয়ার প্রস্তাব পেয়েছে। তবে, অভ্যন্তরীণ দাম নিয়ন্ত্রনের জন্যে আরো প্রতিশ্রুতির দরকার।
মিসেস গান্ধীকে শিগগিরই সরকারী ব্যয় হ্রাস করতে হবে বা শরণার্থীদের বোঝা চাপাতে অতিরিক্ত সংস্থান বাড়াতে হবে। তবে ইসলামাবাদ থেকে যুদ্ধের হুশিয়ারীর কারণে সিদ্ধান্তগুলি পিছিয়ে দেওয়ায় পরিস্তিতি এখনও নাজুক। ভারত সরকারের জন্যে কম ব্যাথিত উপায় হচ্ছে উন্নয়ন ব্যায়গুলি কমানো কারণ বাজেটে আরো ৪০০ মিলিয়ন ডলার সরবরাহ করা হয়েছে। পশ্চিম্বঙ্গে নতুন চাকরী দেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কারণে এটি সহজ নয়। কিন্তু, সমগ্র ভারতে গ্রামীণ চাকরীর প্রোগ্রামগুলো ছেটে ফেলা সমান ভাবে কঠিন হবে। সৌভাগ্যক্রমে, বাংলা দেশের পক্ষে জনগণের সমর্থন এতটাই দুর্দান্ত যে সরকার জনগণের মধ্যে তুলনামূলকভাবে উন্নত শ্রেণীর অংশকে বেল্ট শক্ত করার দাবি তুলতে পারে।
Unicoded and Translated By- G M ALI AJGAR
মূল পত্রিকা