You dont have javascript enabled! Please enable it!

৩০ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ঃ কুমিল্লায় যুদ্ধ

ক্যাপ্টেন মাহবুবের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা দল কুমিল্লার দক্ষিণে পাকসেনাদের ঘাঁটির কংসতলা ওপর অতর্কিতে আক্রমণ চালায়। ক্যাপ্টেন পাশার আর্টিলারি সাপোর্ট নিয়ে একদল মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন আশরাফের নেতৃত্ব এ নয়নপুরে পাকসেনাদের ওপর আক্রমণ চালায়। মুক্তিবাহিনীর এই আক্রমণের মুখে পাকবাহিনী নয়নপুর ছেড়ে শালদা নদী রেলওয়ে স্টেশনের মূল ঘাঁটিতে আশ্রয় নেয়। পরে এ দলের সাথে ক্যাপ্টেন গফফারের দল যোগ দেয়। একই সময়ে মেজর সালেকের বাহিনী সালদা নদী আক্রমন করে। অন্যান্য স্থান থেকে পাক বাহিনী এখানে জমায়েত হলে তাদের সাথে সালেকের বাহিনী পেরে উঠতে পারছিল না। সালেকের বাহিনীর গোলাবারুদ কমে গেলে তারা উত্তরে মন্দভাগ চলে আসে।

যুদ্ধের তীব্রতা দেখে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ৩৩ বেলুচ পুরা ব্যাটেলিয়ন কসবা ও কুটিতে অবস্থান নেয় এবং ৩০ পাঞ্জাব নয়নপুরে অবস্থান নেয়। পাক বাহিনীর শক্তিশালী অবস্থান নেয়ায় সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফ তার নতুন পরিকল্পনা সাজান। সে অনুযায়ী তিনি ক্যাপ্টেন গাফফার এর একটি কোম্পানি মোতায়েন করেন সালদা নদীর উত্তর বাকে। মেজর সালেক সালদা নদী পার হয়ে ষ্টেশনের পশ্চিমে গোডাউন এলাকায় অবস্থান নেন। ক্যাপ্টেন আশরাফ মন্দভাগ থেকে সালদা নদীর দিকে অগ্রসর হন। ক্যাপ্টেন পাশা মন্দভাগে আর্টিলারি অবস্থান নিয়ে থাকেন। সুবেদার জব্বার মর্টার সাপোর্ট নিয়ে সালদার বাকে অবস্থান নেন। খালেদ নিজেই কম্যান্ড নিয়ে অবস্থান করেন।

 

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!