২৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭১ঃ ভারত সোভিয়েত যুক্ত ইস্তেহার
ইন্দিরা গান্ধীর সফর শেষে প্রকাশিত যুক্ত ইস্তেহারে ক্রেমলিন ভারত মহাসাগরীয় এলাকাকে শান্তির এলাকা পরিনত করার ভারতীয় প্রস্তাব সমর্থন করে এবং এই লক্ষে অন্যান্য বৃহৎ শক্তির সহিত অংশ নিতে প্রস্তুত আছে। ভারতের এই প্রস্তাব বিগত লুসাকা জোট নিরপেক্ষ সম্মেলনে সমর্থিত হইয়াছিল। যুক্ত ইস্তাহারে বলা হয় উভয় দেশ পারস্পরিক সংযোগ রক্ষায় এবং উপমহাদেশের পরিস্থিতি সম্পর্কে মতামত অব্যাহত রাখিতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখিতে সম্মত হইয়াছে। সোভিয়েত প্রধানমন্ত্রী কোসিগীন বলেন তার দেশ উপমহাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বদ্ধপরিকর।
তিনি খুব শক্ত ভাষায় বলেন “সকলের ওপরে পাকিস্তানের কর্তব্য এমন অবস্থা সৃষ্টি করা যাতে করে শরণার্থীগন বিনা ভয়ে দেশে ফিরতে পারে এবং বিশ্বাস সৃষ্টি করা যে ভবিষ্যতেও তাদের ওপর অত্যাচার হবে না। তিনি বাংলাদেশের সমস্যার রাজনৈতিক সমাধান কামনা করেন। ইন্দিরা গান্ধী বলেন বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে বিশ্ব সম্প্রদায় এর সাড়া আশানুরূপ নয় তাহারা এই বিষয়ে অবহেলা করছে। ক্রেমলিন ভারত সরকা্রের ব্রেজনেভ এবং কোসিগিনের ভারত সফরের আমন্ত্রন গ্রহন করিয়াছেন। ইন্দিরা গান্ধী মস্কো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দেন।