You dont have javascript enabled! Please enable it!

১৯৪৯ সালের ২৩ ও ২৪ জুন ঢাকার কেএম দাশ লেনের কেএম বশির হুমায়ূনের বাসভবন ‘রোজ গার্ডেনে’ (হুমায়ুন সাহেবের বাড়ি বলে সমধিক পরিচিত) মুসলিম লীগের খাজা নাজিমউদ্দিন ও অফিসিয়াল নেতৃত্বের বিরোধী গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল অংশটি গণতান্ত্রিক কর্মী সম্মেলন আয়োজন করে।

আতাউর রহমান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলনে উদ্বোধনী ভাষণ দেন মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী। এই কর্মী সম্মেলনের প্রথম দিনেই একটি স্বতন্ত্র রাজনৈতিক দল, ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’ গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

সম্মেলনে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী সভাপতি, সহ-সভাপতি : আতাউর রহমান খান, অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন, আলী আহম্মদ এমএলএ, অ্যাডভোকেট আলী আমজাদ খান ও অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম খান, টাঙ্গাইলের শামসুল হক সাধারণ সম্পাদক এবং জেলে বন্দী শেখ মুজিবুর রহমান যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন। অন্য দু’জন সহ-সম্পাদক ছিলেন খন্দকার মোশতাক আহমেদ ও একেএম রফিকুল ইসলাম। কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হন ইয়ার মোহাম্মদ খান। গঠিত হয় ৪০ সদস্য বিশিষ্ট সাংগঠনিক কমিটি।

 

১৯৫৩-এর ৩, ৪ ও ৫ জুলাই ঢাকার মুকুল সিনেমা হলে আওয়ামী লীগের প্রথম কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। এই কাউন্সিলে গঠিত কমিটিতে ছিলেন

সভাপতি : ১. মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী; সহ-সভাপতি : ২. আতাউর রহমান খান; ৩. আবুল মনসুর আহমদ; ৪. আবদুস সালাম খান; ৫. খয়রাত হোসেন; ৬. সাধারণ সম্পাদক : শেখ মুজিবুর রহমান; ৭. সাংগঠনিক সম্পাদক : কোরবান আলী; ৮. প্রচার সম্পাদক : আবদুর রহমান; ৯. দফতর সম্পাদক : মোহাম্মদ উল্লাহ; ১০. কোষাধ্যক্ষ : ইয়ার মোহাম্মদ খান। সদস্য : ১১. মুজিবুর রহমান (রাজশাহী); ১২. শামসুল হক (রাজশাহী); ১৩. মশিউর রহমান (যশোর); ১৪. আবদুল খালেক (যশোর); ১৫. ডা. মাযহার উদ্দিন আহমেদ (রংপুর); ১৬. রহিমুদ্দিন আহমেদ (দিনাজপুর); ১৭. মজিবুর রহমান (বগুড়া); ১৮. ক্যাপ্টেন মনসুর আলী (পাবনা); ১৯. সৈয়দ আকবর আলী (পাবনা); ২০. জহুর আহমদ চৌধুরী (চট্টগ্রাম); ২১. আবদুল আজিজ (চট্টগ্রাম); ২২. আবদুর রহমান খান (কুমিল্লা); ২৩. আবদুল বারি (কুমিল্লা); ২৪. জসিমুদ্দিন আহমদ (সিলেট); ২৫. সিরাজ উদ্দিন আহমদ (নোয়াখালী); ২৬. এ ডবলু লকিতুল্লাহ (বরিশাল); ২৭. আবদুল মালেক (বরিশাল); ২৮. আবদুল হামিদ (ময়মনসিংহ); ২৯. আছমত আলী খান (ফরিদপুর); ৩০. খোদা বক্স (টাঙ্গাইল); ৩১. আকবর হোসেন আখন্দ (বগুড়া); ৩২. আবদুল হাই (যশোর); ৩৩. শেখ আবদুল আজিজ (খুলনা)।

অন্যদিকে ১৯৫৩ সালের ১৪ ও ১৫ নভেম্বর ময়মনসিংহে আওয়ামী লীগের একটি কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। এই কাউন্সিলে যুক্তফ্রন্টে অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত ও ২১-দফা অনুমোদন হয়।

১৯৫৫ সালের ২১, ২২ ও ২৩ অক্টোবর ঢাকার সদরঘাটের রূপমহল সিনেমা হলে আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে দেশে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। সম্মেলনে পূর্ব বাংলার স্বায়ত্তশাসন, জোট নিরপেক্ষ স্বাধীন পররাষ্ট্রনীতি গ্রহণ এবং অবিলম্বে পাকিস্তানের সংবিধান প্রণয়নের ওপরে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়। এই কাউন্সিলে আওয়ামী লীগকে একটি অসাম্প্রদায়িক দলে পরিণত করার লক্ষ্যে দলের নাম থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দিয়ে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ রাখা হয়। মওলানা ভাসানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই কাউন্সিলে নি¤œলিখিত সদস্যদের নিয়ে নতুন কমিটি গঠিত হয়

সভাপতি : ১. মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী; সহ-সভাপতি : ২. আতাউর রহমান খান; ৩. আবুল মনসুর আহমদ; ৪. খয়রাত হোসেন; ৫. সাধারণ সম্পাদক : শেখ মুজিবুর রহমান; ৬. সাংগঠনিক সম্পাদক : অলি আহাদ; ৭. প্রচার সম্পাদক : আবদুল হাই; ৮. শ্রম সম্পাদক : আবদুস সামাদ; ৯. সংস্কৃতি ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক : তাজউদ্দিন আহমদ; ১০. মহিলা সম্পাদিকা : মিসেস সেলিনা বানু; ১১. দফতর সম্পাদক : মোহাম্মদ উল্লাহ; ১২. কোষাধ্যক্ষ : ইয়ার মোহাম্মদ খান; সদস্য : ১৩. জহুরুদ্দিন আহমদ; ১৪. আবদুল আজিজ; ১৫. অধ্যাপক আসহাবুদ্দিন আহমদ; ১৬. আবদুল জব্বার খদ্দর; ১৭. আবদুল বারী; ১৮. রফিকুদ্দিন ভূঁইয়া; ১৯. হাতেম আলী খান; ২০. আবদুল হামিদ চৌধুরী; ২১. সৈয়দ আকবর আলী; ২২. শেখ আবদুল আজিজ; ২৩. মোমিনুদ্দিন আহমদ; ২৪. মশিউর রহমান; ২৫. সা’দ আহমদ; ২৬. জহুর আহমদ চৌধুরী; ২৭. কাজী গোলাম মাহবুব; ২৮. ক্যাপ্টেন মনসুর আলী; ২৯. আমজাদ হোসেন; ৩০. ডা. মাজহারুদ্দিন; ৩১. মাওলানা আলতাফ হোসেন; ৩২. রহিমুদ্দিন আহমদ; ৩৩. আমিনুল হক চৌধুরী; ৩৪. আকবর হোসেন আখন্দ; ৩৫. দবিরুদ্দিন আহমদ; ৩৬. পীর হাবিবুর রহমান; ৩৭. কামরুদ্দিন আহমেদ।

১৯৫৬ সালের ১৯ ও ২০ মে ঢাকার রূপমহল সিনেমা হলে আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিলে যথাসময়ে সাধারণ নির্বাচনের দাবি জানানো হয়।

১৯৫৭ সালের ৭-৮ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলের কাগমারীতে পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের বিশেষ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে সোহরাওয়ার্দী অনুসারী এবং ভাসানী অনুসারীদের মধ্যে মতপার্থক্য প্রকাশ্য বিরোধে পরিণত হয়। কাগমারী সম্মেলনের পর ১৯৫৭ সালের মার্চ মাসে মওলানা ভাসানী আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমানের নিকট পদত্যাগপত্র পাঠান। অন্যদিকে ১৯৫৭ সালের ১৩ ও ১৪ জুন ঢাকার শাবিস্তান হলে আওয়ামী লীগের কাউন্সিল আহ্বান করা হয়। এই কাউন্সিলে ভাসানীর পদত্যাগপত্র নিয়ে আলোচনা হয়, কিন্তু গৃহীত হয় না। দল থেকে পদত্যাগ করলেও কাউন্সিল ভাসানীকেই সভাপতি করা হয়। সেই সাথে সহ-সভাপতির ৩টি পদ শূন্য নির্বাচিত করে নতুন কমিটি নির্বাচন করে। এই কমিটির সদস্যরা হলেনÑ

সভাপতি : ১. মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী; সহ-সভাপতির পদ ৩টি খালি রাখা হয়। ২. … … …; ৩. … … …; ৪. … … …; ৫. সাধারণ সম্পাদক : শেখ মুজিবুর রহমান; ৬. সাংগঠনিক সম্পাদক : আবদুল হামিদ চৌধুরী; ৭. প্রচার সম্পাদক : অধ্যাপক হাফেজ হাবিবুর রহমান; ৮. শ্রম সম্পাদক : জহুর আহমদ চৌধুরী; ৯. সাংস্কৃতিক ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক : তাজউদ্দিন আহমদ; ১০. মহিলা সম্পাদক : মিসেস মেহেরুন্নেসা; ১১. দফতর সম্পাদক : মোহাম্মদ উল্লাহ; ১২. কোষাধ্যক্ষ : (এই পদটিও খালি রাখা হয়); সদস্য : ১৩. আবদুল আজিজ; ১৪. আবদুল জব্বার খদ্দর; ১৫. আবদুল বারী; ১৬. রফিকুদ্দিন ভূঁইয়া; ১৭. সৈয়দ আকবর আলী; ১৮. শেখ আবদুল আজিজ; ১৯. মোমিনুদ্দিন আহমদ; ২০. মশিউর রহমান; ২১. সা’দ আহমদ; ২২. জহুর আহমদ চৌধুরী; ২৩. কাজী গোলাম মাহবুব; ২৪. ক্যাপ্টেন মনসুর আলী; ২৫. আমজাদ হোসেন; ২৬. ডা. মাযহার আহমেদ; ২৭. মাওলানা আলতাফ হোসেন; ২৮. রহিমুদ্দিন আহমদ; ২৯. আমিনুল হক চৌধুরী; ৩০. পীর হাবিবুর রহমান; ৩১. কামরুদ্দিন আহমদ; ৩২. জসিমুদ্দিন আহমদ; ৩৩. মজিবুর রহমান; ৩৪. দেওয়ান মহিউদ্দিন আহমদ; ৩৫. রওশন আলী; ৩৬. শামসুল হক; ৩৭. আজিজ আহমদ; ৩৮. মওলানা আবদুর রশিদ তর্কবাগিশ।

১৯৬২ সালের ৪ অক্টোবর অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচির ভিত্তিতে আওয়ামী লীগ নেতা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর নেতৃত্বে ‘ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট’Ñ এনডিএফ নামে একটি ঐক্যবদ্ধ জোট গড়ে তোলে। সেনা শাসক আইউব খান কনভেনশন মুসলিম লীগ নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেন, জামায়াতে ইসলামি ও নিজাম-ই-ইসলামি প্রভৃতি দলও পুনরুজ্জীবিত হয়। ১৯৬৩ সালের ৫ ডিসেম্বর লেবাননের রাজধানী বৈরুতে সোহরাওয়ার্দীর আকস্মিক মৃত্যুর পর এনডিএফ কার্যকারিতা হারায়। ১৯৬৪ সালের ২৫ ও ২৬ জানুয়ারি দলের সাধারণ সম্পাদক শেখ মুজিবুর রহমানের বাসভবনে অনুষ্ঠিত হয় পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির সভা। এই সভায় দল পুনরুজ্জীবনের সিদ্ধান্ত হয়। পুনরুজ্জীবিত দলে মাওলানা আবদুর রশিদ তর্কবাগিশ ও শেখ মুজিবুর রহমান যথাক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে বহাল থাকেন।

১৯৬৪ সালের ৬, ৭ ও ৮ মার্চ ঢাকার হোটেলে ইডেন প্রাঙ্গণে আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। দলের সভাপতি মাওলানা আবদুর রশিদ তর্কবাগিশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলের উদ্বোধন করেন নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগ সভাপতি নবাবজাদা নসরুল্লাহ খান। এই কাউন্সিলে মাওলানা আবদুর রশিদ তর্কবাগিশ ও শেখ মুজিবুর রহমান পুনরায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। সহ-সভাপতি ও দলের অন্যান্য কর্মকর্তাসহ কমিটিতে নির্বাচিত সদস্যদের মধ্যে ছিলেন

১. অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম খান; ২. সৈয়দ নজরুল ইসলাম; ৩. শাহ আজিজুর রহমান; ৪. আবদুল মালেক উকিল; ৫. মোল্লা জালাল উদ্দিন; ৬. শেখ আবদুল আজিজ; ৭. এএইচএম কামারুজ্জামান; ৮. রফিকউদ্দিন ভূঁইয়া; ৯. ময়েজ উদ্দিন আহমেদ; ১০. আবদুল মোমেন তালুকদার; ১১. আবদুল মান্নান; ১২. রওশন আলী; ১৩. সোহরাব হোসেন; ১৪. মাহমুদুল্লাহ; ১৫. এবিএম নুরুল ইসলাম; ১৬. বাহাউদ্দিন চৌধুরী; ১৭. মোমেন উদ্দিন আহমেদ; ১৮. আবদুর রহমান খান; ১৯. আজিজুর রহমান; ২০. টি হোসেন; ২১. গাজী গোলাম মোস্তফা; ২২. আলী হাফিজ; ২৩. সা’দ আহমেদ; ২৪. লকিতুল্লাহ; ২৫. মোশারেফ হোসেন; ২৬. ডিএফ গাজী; ২৭. শামসুদ্দিন মোল্লা; ২৮. আবুল কালাম; ২৯. আমিনুল হক চৌধুরী; ৩০. অধ্যাপক ইউসুফ আলী; ৩১. আমজাদ হোসেন; ৩২. একে মজিবর রহমান; ৩৩. এমএ আজিজ; ৩৪. তাজউদ্দিন আহমদ।

১৯৬৬ সালের ১৮, ১৯ ও ২০ মার্চ হোটেল ইডেনে অনুষ্ঠিত কাউন্সিল অধিবেশনে পুস্তিকাকারে ছয়-দফা বিতরণ করা হয়। কাউন্সিল ৬-দফা অনুমোদন করে।

কাউন্সিলে মওলানা তর্কবাগিশ অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকেন। ‘সভাপতির পদ পাওয়ার আশায়’ সালাম খান দলে থেকে যান এবং ৬-দফার পক্ষে বক্তৃতা দেন। পরে তিনি ৬-দফার বিরোধিতা করেন। এই কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয়। নতুন ওয়ার্কিং কমিটির কর্মকর্তা ও সদস্যগণ হচ্ছেন

সভাপতি : ১. শেখ মুজিবুর রহমান; সহ-সভাপতি : ২. সৈয়দ নজরুল ইসলাম; ৩. আবদুস সালাম খান; ৪. খন্দকার মোশতাক আহমেদ; ৫. ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী; ৬. মজিবর রহমান; ৭. শাহ আজিজুর রহমান; ৮. সাধারণ সম্পাদক : তাজউদ্দিন আহমদ; ৯. সাংগঠনিক সম্পাদক : মিজানুর রহমান চৌধুরী; ১০. শ্রম সম্পাদক : জহুর আহমদ চৌধুরী; ১১. সমাজসেবা সম্পাদক : কেএম ওবায়দুর রহমান; ১২. প্রচার সম্পাদক : আবদুল মমিন; ১৩. মহিলা সম্পাদক : আমেনা বেগম; ১৪. দফতর সম্পাদক : মাহমুদুল্লাহ; ১৫. কোষাধ্যক্ষ : হাফেজ মুসা; সদস্য : ১৬. লকিয়তুল্লাহ; ১৭. এবিএম নুরুল ইসলাম; ১৮. জহির উদ্দিন; ১৯. নুরুল ইসলাম চৌধুরী; ২০. আবদুর রহমান খান; ২১. এমএ রশিদ; ২২. রওশন আলী; ২৩. মোমেন উদ্দিন আহমেদ; ২৪. আতিউর রহমান; ২৫. রহিম উদ্দিন আহমদ; ২৬. সা’দ আহমদ; ২৭. জালাল উদ্দিন আহমদ; ২৮. আমজাদ হোসেন; ২৯. সোহরাব হোসেন; ৩০. হোসেন মুনসুর; ৩১. অধ্যাপক ইউসুফ আলী; ৩২. আবদুল মালেক উকিল; ৩৩. নুরুল হক; ৩৪. বাহাউদ্দিন চৌধুরী; ৩৫. শামসুল হক; ৩৬. শেখ আবদুল আজিজ; ৩৭. আফজাল হোসেন; ৩৮. জাকিরুল হক; ৩৯. মহিবুল সামাদ; ৪০. আবদুর রশিদ তর্কবাগিশ; ৪১. মোল্লা জালাল উদ্দিন।

অন্যদিকে ১৯৬৭ সালের ১৯ আগস্ট হোটেল ইডেন প্রাঙ্গণে আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিলে পিডিএম-এ অংশগ্রহণ না করার প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।

১৯৬৮ সালের ১৯ ও ২০ অক্টোবর হোটেল ইডেন প্রাঙ্গণে আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। এ কাউন্সিলে শেখ মুজিবুর রহমান সভাপতি এবং তাজউদ্দিন আহমেদ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

স্বাধীনতার আগে সর্বশেষ আওয়ামী লীগ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭০ সালের ৪ ও ৫ জুন। হোটেল ইডেন প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এই কাউন্সিলে ১১৩৮ জন কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন। এই কাউন্সিলটি ছিল উদ্দীপনা ও আত্মবিশ্বাসে ভরপুর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের একটি মিলন মেলা। কাউন্সিলে সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এই কাউন্সিলে আসন্ন সাধারণ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয় এবং ৬-দফা আদায়ের লক্ষ্যে নির্বাচনকে একটি গণভোট হিসেবে গ্রহণ করার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নেতা-কর্মীদের প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানান। কাউন্সিলে নির্বাচিত নতুন কমিটিতে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন

সভাপতি : ১. শেখ মুজিবুর রহমান; সহ-সভাপতি : ২. সৈয়দ নজরুল ইসলাম; ৩. ক্যাপ্টেন মনসুর আলী; ৪. খন্দকার মোশতাক; ৫. সাধারণ সম্পাদক : তাজউদ্দিন আহমদ; ৬. সাংগঠনিক সম্পাদক : মিজানুর রহমান চৌধুরী; ৭. প্রচার সম্পাদক : আবদুল মমিন; ৮. দফতর সম্পাদক : মোহাম্মদউল্লাহ; ৯. শ্রম সম্পাদক : জহুর আহমদ চৌধুরী; ১০. কৃষি সম্পাদক : সোহরাব হোসেন; ১১. সমাজসেবা ও সংস্কৃতি সম্পাদক : কেএম ওবায়দুর রহমান; ১২. মহিলা সম্পাদক : বেগম বদরুন্নেসা; ১৩. কোষাধ্যক্ষ : মোহাম্মদ মোহসীন। (অসম্পূর্ণ তালিকা)।

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রথম কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয় ১৯৭২ সালের ৭ ও ৮ এপ্রিল। কাউন্সিলে সর্বসম্মতিক্রমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। বঙ্গবন্ধুর ওপর নির্বাহী সংসদের অন্যান্য কর্মকর্তা ও সদস্য মনোনয়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কাউন্সিলে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ১৬ এপ্রিল বঙ্গবন্ধু পরবর্তী পূর্ণাঙ্গ কাউন্সিলের পূর্ব পর্যন্ত মেয়াদের জন্য ৪৪ সদস্য বিশিষ্ট সাংগঠনিক কমিটি ঘোষণা করেন। কমিটির কর্মকর্তা ও সদস্যগণ হলেন

সভাপতি : ১. শেখ মুজিবুর রহমান; সহ-সভাপতি : ২. মো. কোরবান আলী; ৩. জহিরুল কাইয়ুম; ৪. মো. আবদুর রহিম; ৫. সাধারণ সম্পাদক : জিল্লুর রহমান; ৬. সাংগঠনিক সম্পাদক : মো. আবদুর রাজ্জাক; ৭. প্রচার সম্পাদক : সরদার আমজাদ হোসেন; ৮. সমাজকল্যাণ সম্পাদক : মুস্তাফা সারোয়ার; ৯. দফতর সম্পাদক : আনোয়ার চৌধুরী; ১০. কৃষি সম্পাদক : আবদুর রউফ; ১১. শ্রম সম্পাদক : রুহুল আমীন ভূঁইয়া; ১২. মহিলা সম্পাদিকা : মিসেস সাজেদা চৌধুরী; ১৩. কোষাধ্যক্ষ : আবদুল মোমিন; সদস্য : ১৪. সৈয়দ নজরুল ইসলাম; ১৫. তাজউদ্দিন আহমদ; ১৬. মনসুর আলী; ১৭. খোন্দকার মুশতাক আহমদ; ১৮. এএইচএম কামারুজ্জামান; ১৯. অধ্যাপক ইউসুফ আলী; ২০. শ্রী ফণীভূষণ মজুমদার; ২১. জহুর আহমদ চৌধুরী; ২২. দেওয়ান ফরিদ গাজী; ২৩. রফিক উদ্দিন ভূইয়া; ২৪. শামসুদ্দিন আহমদ মোল্লা; ২৫. রওশন আলী; ২৬. গাজী গোলাম মুস্তাফা; ২৭. মঈজুদ্দিন আহমদ; ২৮. নূরুল হক; ২৯. একে মুজিবর রহমান; ৩১. নূরুল ইসলাম মঞ্জু; ৩২. সালাহউদ্দিন ইউসুফ; ৩৩. আবদুল মোমিন তালুকদার; ৩৪. আবুল কাসেম; ৩৫. শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন; ৩৬. কেএম ওবায়দুর রহমান; ৩৭. আজিজুর রহমান আক্কাস; ৩৮. আবদুল হান্নান; ৩৯. শেখ ফজলুল হক মণি; ৪০. লুৎফর রহমান (রংপুর); ৪১. আবদুল মান্নান (শ্রমিক লীগ); ৪২. তোফায়েল আহমদ; ৪৩. শামসুর রহমান খান; ৪৪. ডা. ক্ষিতীশ চন্দ্র ম-ল; ৪৫. রাফিয়া আখতার ডলি।

১৯৭৪ সালের ১৮, ১৯ ও ২০ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিলে বঙ্গবন্ধু এক দীর্ঘ নীতি-নির্ধারণী ভাষণ দেন। এই কাউন্সিলেই এএইচএম কামারুজ্জামানকে আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং জিল্লুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার সদস্যগণ দলের কর্মকর্তা পদে থাকতে পারবেন না বিধায় বঙ্গবন্ধু সভাপতি পদ ত্যাগ করেন। সৃষ্টি হয় গণতন্ত্র চর্চায় নতুন ঐতিহ্য। এই সম্মেলনই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শেষ সম্মেলন। ওই কাউন্সিলে নি¤œলিখিত কমিটি নির্বাচিত হয়Ñ

সভাপতি : এএইচএম কামারুজ্জামান; সহ-সভাপতি : মহিউদ্দীন আহমদ; ডা. আসহাবুল হক; রফিক উদ্দিন ভূঁইয়া; সাধারণ সম্পাদক : জিল্লুর রহমান; সাংগঠনিক সম্পাদক : আবদুর রাজ্জাক; প্রচার সম্পাদক : সরদার আমজাদ হোসেন; দফতর সম্পাদক : আনওয়ার চৌধুরী; শ্রম সম্পাদক : কাজী মোজাম্মেল হক; কৃষি সম্পাদক : রহমত আলী; সংস্কৃতি সম্পাদক : মোস্তফা সারওয়ার; সমাজকল্যাণ সম্পাদক : শেখ শহীদুল ইসলাম; কোষাধ্যক্ষ : হামিদুর রহমান; মহিলা সম্পাদিকা : বেগম সাজেদা চৌধুরী। (অসম্পূর্ণ)।

পঁচাত্তরে সপরিবারে জাতির পিতা ও জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পর ১৯৭৬ সালের ২৮ জুলাই রাজনৈতিক দল বিধি জারি করা হয়। ৩০ জুলাই ঘরোয়া রাজনৈতিক তৎপরতার শুরু করার অনুমতি দেওয়া হলে ২৫ আগস্ট ঢাকায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের নেতৃবৃন্দের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। বর্ধিত সভায় মহিউদ্দিন আহমেদকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাজেদা চৌধুরীকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক করা হয়।

১৯৭৭ সালের ৩ ও ৪ এপ্রিল ঢাকার হোটেল ইডেন প্রাঙ্গণে দলীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু কাউন্সিলের আগেই দলের নেতৃত্ব নির্বাচন নিয়ে ঐকমত্যের অভাব প্রকাশ্য দলাদলির আকার ধারণ করে। কাউন্সিল প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক মিজানুর রহমান চৌধুরী দলের সভাপতি হওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন। কিন্তু দলের মূলধারার নেতাকর্মীরা মিজান চৌধুরীর নেতৃত্ব মেনে নিতে প্রস্তুত ছিল না।

৩ ও ৪ এপ্রিল হোটেল ইডেনে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলেও ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন সম্ভব হয় নি। দলের গুরুত্বপূর্ণ বহুসংখ্যক নেতা কারারুদ্ধ থাকায়। ওই কাউন্সিলে সিদ্ধান্ত হয় আপাতত পূর্ণাঙ্গ কমিটি না করে একটি সাংগঠনিক কমিটি গঠন করা হবে।

এই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দিনকে আহ্বায়ক করে তাকে নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা ১০ দিনের মধ্যে ৪৪ সদস্য বিশিষ্ট সাংগঠনিক কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণার দায়িত্ব দেওয়া হয়। কাউন্সিল সিদ্ধান্ত নেয় এই ৪৪ জন ছাড়াও কারারুদ্ধ নেতারা মুক্তি লাভের পর কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হবেন। সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দিন ১৫ এপ্রিল সাংগঠনিক কমিটির সদস্যগণের নাম ঘোষণা করেন।

সাংগঠনিক কমিটির সদস্যদের তালিকা

আহ্বায়ক : ১. সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দিন; সদস্য : ২. মোল্লা জালাল উদ্দীন আহমদ; ৩. শ্রী ফণীভূষণ মজুমদার; ৪. কাজী জহিরুল কাইয়ুম; ৫. মতিউর রহমান; ৬. মিজানুর রহমান চৌধুরী; ৭. আবদুল মান্নান; ৮. আবদুল মোমিন; ৯. সোহরাব হোসেন; ১০. আসাদুজ্জামান খান; ১১. মনোরঞ্জন ধর; ১২. দেওয়ান ফরিদ গাজী; ১৩. অধ্যাপক নূরুল ইসলাম চৌধুরী; ১৪. ডা. ক্ষীতিশ চন্দ্র ম-ল; ১৫. মো. ময়েজুদ্দিন আহমদ (ঢাকা); ১৬. মফিজুল ইসলাম খান কামাল; ১৭. ফজলুল করিম; ১৮. মোহাম্মদ হানিফ; ১৯. আনসার আলী; ২০. ওমর আলী; ২১. শামসুর রহমান খান (টাঙ্গাইল); ২২. ব্যারিস্টার শওকত আলী; ২৩. মহিউদ্দিন আহমদ (বরিশাল); ২৪. আহম্মদ আলী (কুমিল্লা); ২৫. আলী আজম ভূঁইয়া; ২৬. নূরুল ইসলাম; ২৭. এবিএম তালেব আলী (ফেনী); ২৮. অধ্যাপক মোহাম্মদ হানিফ (নোয়াখালী); ২৯. আবদুল হাকিম (ময়মনসিংহ); ৩০. খন্দকার আবুল কাশেম (পটুয়াখালী); ৩১. কামারুজ্জামান (যশোর); ৩২. হাদিউজ্জামান; ৩৩. আজিজুর রহমান আক্কাছ (কুষ্টিয়া); ৩৪. খন্দকার আবু তালেব (পাবনা); ৩৫. ডা. আলাউদ্দিন (রাজশাহী); ৩৬. একে মুজিবুর রহমান (বগুড়া); ৩৭. লুৎফর রহমান (রংপুর); ৩৮. আবদুর রহিম (দিনাজপুর); ৩৯. সিরাজুল ইসলাম; ৪০. মোহাম্মদ মহসিন (খুলনা); ৪১. সৈয়দ কামাল বখত; ৪২. নূরুন্নবী (ফরিদপুর); ৪৩. এমএ ওয়াহাব (চট্টগ্রাম); ৪৪. বেগম মাহমুদা চৌধুরী (ঢাকা); ৪৫. রওশন আরা মুস্তাফিজ (রংপুর)।

১৯৭৮ সালের ৩, ৪ ও ৫ মার্চ তিন দিনব্যাপী আওয়ামী লীগের দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। ৫ মার্চ, কাউন্সিলের শেষ দিনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নি¤œলিখিত কমিটি গঠিত হয়।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তিন দিনব্যাপী দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল অধিবেশনের শেষ দিন (৫ মার্চ ১৯৭৮) আবদুল মালেক উকিলকে সভাপতি ও আবদুর রাজ্জাককে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কমিটি গঠন করা হয়।

সভাপতি : ১. আবদুল মালেক উকিল; সহ-সভাপতি : ২. সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দিন; ৩. মতিউর রহমান; ৪. আবদুল মান্নান; ৫. রফিক উদ্দিন ভুঞা; ৬. মহিউদ্দিন আহমদ; ৭. আবদুল মমিন তালুকদার; ৮. সাধারণ সম্পাদক : আবদুর রাজ্জাক; যুগ্ম সম্পাদক : ৯. বেগম সাজেদা চৌধুরী; ১০. সালাহউদ্দিন ইউসুফ; ১১. সাংগঠনিক সম্পাদক : তোফায়েল আহমদ; ১২. প্রচার সম্পাদক : সরদার আমজাদ হোসেন; ১৩. দফতর সম্পাদক : সৈয়দ আহমদ; ১৪. শ্রম সম্পাদক : কাজী মোজাম্মেল হক; ১৫. কৃষি সম্পাদক : মানিক চৌধুরী; ১৬. শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক : এসএম ইউসুফ; ১৭. সমাজকল্যাণ সম্পাদক : ইয়াহিয়া চৌধুরী পিণ্টু; ১৮. মহিলা সম্পাদিকা : বেগম আইভি রহমান; ১৯. যুব সম্পাদক : আমির হোসেন আমু; ২০. কোষাধ্যক্ষ : ফজলুল করিম। (অসম্পূর্ণ)।

অন্যদিকে ১৯৭৮ সালে মিজান চৌধুরীর নেতৃত্বে পাল্টা আওয়ামী লীগ গঠনের চেষ্টা করা হয়। ৩, ৪ ও ৫ নভেম্বর মিজান চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বিভক্ত আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়; একটি কমিটিও গঠন করা হয়। মিজান চৌধুরীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের অবৈধ কমিটি গঠনের ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ১৯৭৮ সালের ২৩ নভেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একটি বিশেষ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিলে দল ত্যাগীদের আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয় এবং রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও ১১-দফা কর্মসূচি অনুমোদন হয়।

১৯৮১ সালের ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের তিন দিনব্যাপী দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয় হোটেল ইডেন প্রাঙ্গণে। আওয়ামী লীগের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ এই কাউন্সিলে দলে নেতৃত্বের শূন্যতা পূরণ এবং দলকে অধিকতর শক্তিশালী ও সংহত করার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনাকে তার অনুপস্থিতিতে দলের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। আবদুর রাজ্জাক সাধারণ সম্পাদক পুনর্নির্বাচিত হন। এই কাউন্সিলেই প্রথম গঠনতন্ত্র সংশোধন করে সর্বোচ্চ নীতি-নির্ধারক ‘সভাপতিম-লী’ গঠিত হয়। কাউন্সিলে নি¤œলিখিত নেতৃবর্গকে নিয়ে আওয়ামী লীগের নতুন কার্যনির্বাহী সংসদ গঠিত হয়।

সভাপতি : ১. শেখ হাসিনা; সভাপতিম-লী : ২. আবদুল মালেক উকিল; ৩. সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দিন; ৪. ডক্টর কামাল হোসেন; ৫. আবদুল মান্নান; ৬. কোরবান আলী; ৭. জিল্লুর রহমান; ৮. আবদুস সামাদ আজাদ; ৯. মহিউদ্দীন আহমদ; ১০. আবদুল মমিন তালুকদার; ১১. ফণীভূষণ মজুমদার; ১২. সাধারণ সম্পাদক : আবদুর রাজ্জাক; ১৩. যুগ্ম সম্পাদক : বেগম সাজেদা চৌধুরী; ১৪. যুগ্ম সম্পাদক : আমির হোসেন আমু; ১৫. সাংগঠনিক সম্পাদক : তোফায়েল আহমদ; ১৬. প্রচার সম্পাদক : সরদার আমজাদ হোসেন; ১৭. দফতর সম্পাদক : সৈয়দ আহমদ; ১৮. শিক্ষা ও গবেষণা : এসএম ইউসুফ; ১৯. সমাজকল্যাণ সম্পাদক : মফিজুল ইসলাম কামাল; ২০. মহিলা সম্পাদিকা : বেগম আইভি রহমান; ২১. শ্রম সম্পাদক : এবিএম তালেব আলী; ২২. কৃষি সম্পাদক : অধ্যাপক মো. হানিফ; ২৩. যুব সম্পাদক : মো. নাসিম; ২৪. আন্তর্জাতিক সম্পাদক : আবদুল জলিল; ২৫. সাংস্কৃতিক সম্পাদক : শফিকুল আজিজ মুকুল; ২৬. কোষাধ্যক্ষ : ফজলুল করিম।

অন্যদিকে ১৯৮২ সালে আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে কতিপয় নেতা-কর্মী আওয়ামী লীগ ত্যাগ করলে সাজেদা চৌধুরীকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব প্রদান করা হয় এবং দল ত্যাগকারীদের বহিষ্কার করা হয়।

১৯৮৭ সালের ১, ২ ও ৩ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল। কাউন্সিলে সর্বসম্মতিক্রমে শেখ হাসিনাকে সভাপতি ও সাজেদা চৌধুরীকে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন কার্যনির্বাহী সংসদ গঠিত হয়। যাদের নিয়ে নবনির্বাচিত কমিটি গঠিত হয়। তারা হলেনÑ

সভাপতি : ১. শেখ হাসিনা; সভাপতিম-লী : ২. ড. কামাল হোসেন; ৩. আবদুস সামাদ আজাদ; ৪. আবদুল মান্নান; ৫. পুলিন দে; ৬. সালাউদ্দিন ইউসুফ; ৭. সিরাজুল ইসলাম; ৮. খ. ম. আলাউদ্দীন; ৯. মতিউর রহমান; ১০. জিল্লুর রহমান; ১১. শেখ আবদুল আজিজ; ১২. সুধাংশু শেখর হালদার; ১৩. সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দিন; সাধারণ সম্পাদক : ১৪. বেগম সাজেদা চৌধুরী; ১৫. যুগ্ম সম্পাদক : আমির হোসেন আমু; ১৬. যুগ্ম সম্পাদক : আবদুল জলিল; ১৭. দফতর সম্পাদক : ফজলুল হক বিএসসি; ১৮. প্রচার সম্পাদক : মোহাম্মদ নাসিম; ১৯. সাংগঠনিক সম্পাদক : তোফায়েল আহমেদ; ২০. সমাজকল্যাণ সম্পাদক : মফিজুল ইসলাম; ২১. আন্তর্জাতিক সম্পাদক : অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম; ২২. কৃষি বিষয়ক সম্পাদক : বেগম মতিয়া চৌধুরী; ২৩. শ্রম বিষয়ক সম্পাদক : মন্নুজান সুফিয়ান; ২৪. খাদ্য বিষয়ক সম্পাদক : শাজাহান খান; ২৫. আইন বিষয়ক সম্পাদক : ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম; ২৬. মহিলা বিষয়ক সম্পাদক : আইভি রহমান; ২৭. তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক : শফিকুল আজিজ মুকুল; ২৮. সহ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক : মমতাজ হোসেন; ২৯. সহ-প্রচার সম্পাদক সম্পাদক : ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন; ৩০. সহ-দফতর সম্পাদক : খ. ম. জাহাঙ্গীর। (অসম্পূর্ণ)।

১৯৯২ সালের ১৯ ও ২০ সেপ্টেম্বর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে আওয়ামী লীগের দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিলের দ্বিতীয় দিন ২০ সেপ্টেম্বর নতুন অর্থনৈতিক নীতিমালার আলোকে দলের ঘোষণাপত্র ও গঠনতন্ত্রের সংশোধনী সর্বসম্মতিতে গৃহীত হয়। ২১ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনাকে সভাপতি ও জিল্লুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে কাউন্সিল। কমিটির কর্মকর্তা ও সদস্যগণ হচ্ছেন

সভাপতি : ১. শেখ হাসিনা এমপি; সভাপতিম-লী : ২. সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দিন; ৩. আবদুস সামাদ আজাদ এমপি; ৪. আবদুল মান্নান; ৫. কামরুজ্জামান; ৬. বেগম সাজেদা চৌধুরী এমপি; ৭. মহিউদ্দিন আহমেদ এমপি; ৮. ডা. আলাউদ্দিন; ৯. পুলিন দে; ১০. আমির হোসেন আমু; ১১. তোফায়েল আহমেদ এমপি; ১২. আবদুর রাজ্জাক এমপি; ১৩. আবদুল মমিন; ১৪. ডা. মো. সেলিম; ১৫. সাধারণ সম্পাদক : জিল্লুর রহমান; ১৬. যুগ্ম সম্পাদক : আবদুল জলিল; ১৭. যুগ্ম সম্পাদক : শামসুর রহমান খান শাহাজাহান; ১৮. সাংগঠনিক সম্পাদক : মো. নাসিম এমপি; ১৯. প্রচার সম্পাদক : মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু; ১৯. দফতর সম্পাদক : ফজলুল হক বিএসসি; ২০. কৃষি সম্পাদক : মতিয়া চৌধুরী এমপি; ২১. অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক : আতাউর রহমান কায়সার; ২২. শ্রম ও জনশক্তি সম্পাদক : বেগম মন্নুজান সুফিয়ান; ২৩. তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক : অধ্যাপক আবু সাঈদ; ২৪. শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক : ওবায়দুল কাদের; ২৫. সহ-শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক : আলমগীর কুমকুম; ২৬. আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক : আবুল হাসান চৌধুরী; ২৭. স্বাস্থ্য, জনসংখ্যা ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক : ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন; ২৮. আইন বিষয়ক সম্পাদক : ব্যারিস্টার কেএস নবী; ৩০. সহ-আইন বিষয়ক সম্পাদক : অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন। (অসম্পূর্ণ)।

অন্যদিকে ১৯৯৫ সালের ১১ সেপ্টেম্বর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে আওয়ামী লীগের বিশেষ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন এবং ত্রি-বার্ষিক কাউন্সিলের জন্য এক বছর সময় বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

১৯৯৭ সালের ৬ ও ৭ মে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিল শেখ হাসিনাকে সভাপতি ও জিল্লুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক পুনর্নির্বাচিত করে। ১৯৯৭ সালে গঠিত কমিটি ছিল

সভাপতি : ১. শেখ হাসিনা; সভাপতিম-লী : ২. সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দিন; ৩. আবদুস সামাদ আজাদ; ৪. আবদুল মান্নান; ৫. অধ্যক্ষ মো. কামরুজ্জামান; ৬. বেগম সাজেদা চৌধুরী; ৭. আবদুল মমিন; ৮. পুলিন দে; ৯. আমির হোসেন আমু; ১০. আবদুর রাজ্জাক; ১১. তোফায়েল আহমেদ; ১২. ড. মোহাম্মদ সেলিম; ১৩. সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত; ১৪. মো. আবদুল জলিল; ১৫. সাধারণ সম্পাদক : জিল্লুর রহমান; যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক : ১৬. শামসুর রহমন খান শাহজাহান; ১৭. আজিজুর রহমান; ১৮. মোজাফ্ফর হোসেন পল্টু; ১৯. সাংগঠনিক সম্পাদক : মোহাম্মদ নাসিম; ২০. প্রচার সম্পাদক : আবদুল মান্নান; ২১. দফতর সম্পাদক : আবদুল মান্নান খান; ২২. কৃষি সম্পাদক : বেগম মতিয়া চৌধুরী; ২৩. শ্রম সম্পাদক : রহমত উল্লাহ চৌধুরী; ২৪. অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক : আতাউর রহমান কায়সার; ২৫. শিক্ষা সম্পাদক : নূরুল ইসলাম নাহিদ; ২৬. শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক : আকতারুজ্জামান চৌধুরী; ২৭. তথ্য সম্পাদক : অধ্যাপক আবু সাইয়িদ; ২৮. যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক : ওবায়দুল কাদের; ২৯. ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক : আবুল হাসান চৌধুরী; ৩০. আইন সম্পাদক : অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন; ৩১. স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক : ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন; ৩২. সাংস্কৃতিক সম্পাদক : আলমগীর কুমকুম; ৩৩. কোষাধ্যক্ষ : এইচএন আশিকুর রহমান; সহ-প্রচার সম্পাদক : ৩৪. নুরুল ফজল বুলবুল; ৩৫. সিদ্দিকুর রউফ খান; সদস্য : ৩৬. সৈয়দ ফজলুল হক বিএসসি; ৩৭. ফজলুল করিম; ৩৮. মোহাম্মদ হানিফ; ৩৯. আবদুল কাদের সিদ্দিকী; ৪০. দেওয়ান ফরিদ গাজী; ৪১. ইউনুস আলী অ্যাডভোকেট; ৪২. সিদ্দিক হোসেন; ৪৩. আবদুল আউয়াল; ৪৪. অ্যাডভোকেট এবিএম তালেব আলী; ৪৫. মতিউর রহমান তালুকদার; ৪৬. ইমাম উদ্দিন আহম্মেদ; ৪৭. মো. রহমত আলী; ৪৮. সুধাংশু শেখর হালদার; ৪৯. রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু; ৫০. আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ; ৫১. শেখ ফজলুল করিম সেলিম; ৫২. এমএ মান্নান; ৫৩. বেগম মন্নুজান সুফিয়ান; ৫৪. ফজলুর রহমান খান অ্যাডভোকেট; ৫৫. খ ম জাহাঙ্গীর; ৫৬. মির্জা সুলতান রাজা; ৫৭. নুরুল মজিদ হুমায়ুন; ৫৮. ফুলু সরকার; ৫৯. অধ্যাপক ফজলুল হক; ৬০. মাহমুদুর রহমান মান্না; ৬১. আখতারুজ্জামান; ৬২. সুলতান মো. মনসুর আহমেদ; ৬৩. নূহ-উল-আলম লেনিন।

অন্যদিকে ২০০০ সালের ২৩ জুন পল্টন ময়দানে আওয়ামী লীগের বিশেষ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। কাউন্সিলে ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের জন্য এক বছর সময় বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হয়।

২০০২ সালের ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল। কাউন্সিলে শেখ হাসিনা গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেন। কাউন্সিলের ভেতর দিয়ে আওয়ামী লীগের নতুন প্রাণের সঞ্চার হয়। নির্বাচিত হয় নতুন নেতৃত্ব। শেখ হাসিনা সভাপতি হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হন। সাধারণ সম্পাদক হন মো. আবদুল জলিল এমপি। কাউন্সিলের পর ঘোষিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি হচ্ছে

সভাপতি : ১. শেখ হাসিনা এমপি; সভাপতিম-লী : ২. সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দিন; ৩. জিল্লুর রহমান এমপি; ৪. সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এমপি; ৫. আমির হোসেন আমু এমপি; ৬. আবদুর রাজ্জাক এমপি; ৭. তোফায়েল আহমেদ এমপি; ৮. সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এমপি; ৯. মতিয়া চৌধুরী এমপি; ১০. শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি; ১১. ড. মহীউদ্দীন খান; আলমগীর এমপি; ১২. আতাউর রহমান খান কায়সার; ১৩. কাজী জাফর উল্লাহ; ১৪. সাধারণ সম্পাদক : মো. আবদুল জলিল এমপি; যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক : ১৫. ওবায়দুল কাদের এমপি; ১৬. সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এমপি; ১৭. মুকুল বোস; সাংগঠনিক সম্পাদক : ১৮. সাবের হোসেন চৌধুরী এমপি; ১৯. আবদুল মান্নান এমপি; ২০. মাহমুদুর রহমান মান্না; ২১. আখতারউজ্জামান; ২২. সুলতান মো. মনসুর আহমেদ; ২৩. আবদুর রহমান এমপি; ২৪. বীর বাহাদুর এমপি; ২৫. অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক : অধ্যাপক আলী আশরাফ এমপি; ২৬. আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক : সৈয়দ আবুল হোসেন এমপি; ২৭. আইন বিষয়ক সম্পাদক : অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন এমপি; ২৮. কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক : ড. আবদুর রাজ্জাক এমপি; ২৯. তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক : নূহ-উল-আলম লেনিন; ৩০. ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক : অধ্যাপিকা নাজমা রহমান; ৩১. দফতর সম্পাদক : অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান খান এমপি; ৩২. ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক : আলহাজ অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ; ৩৩. প্রচার সম্পাদক : আসাদুজ্জামান নূর এমপি; ৩৪. বন ও পরিবেশ সম্পাদক : ড. হাছান মাহমুদ এমপি; ৩৫. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক : স্থপতি ইয়াফেস ওসমান; ৩৬. মহিলা বিষয়ক সম্পাদক : ডা. দীপু মনি এমপি; ৩৭. মুক্তিযোদ্ধা সম্পাদক : ক্যাপ্টেন এবি তাজুল ইসলাম (অব.) এমপি; ৩৮. যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক : দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুল; ৩৯. শিক্ষা সম্পাদক : নূরুল ইসলাম নাহিদ এমপি; ৪০. শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক : লে. কর্নেল মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি (অব.); ৪১. শ্রম সম্পাদক : হাবিবুর রহমান সিরাজ; ৪২. সাংস্কৃতিক সম্পাদক : আলমগীর কুমকুম; ৪৩. স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক : ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন এমপি; ৪৪. উপ-দফতর সম্পাদক : বিএম মোজাম্মেল হক এমপি; ৪৫. উপ-প্রচার সম্পাদক : অসীম কুমার উকিল; ৪৬. কোষাধ্যক্ষ : এইচএন আশিকুর রহমান এমপি; সদস্য : ৪৭. মোহাম্মদ নাসিম; ৪৮. আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ; ৪৯. অধ্যাপক আবু সাইয়িদ; ৫০. মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম; ৫১. আবদুল লতিফ সিদ্দিকী এমপি; ৫২. অধ্যাপক মো. হানিফ; ৫৩. রাজিউদ্দিন আহম্মেদ রাজু এমপি; ৫৪. আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন; ৫৫. বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি; ৫৬. মির্জা সুলতান রাজা; ৫৭. আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু এমপি; ৫৮. ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি; ৫৯. এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী; ৬০. তালুকদার আবদুল খালেক; ৬১. মোস্তফা রশিদী সুজা; ৬২. আ হ ম মুস্তফা কামাল (লোটাস কামাল) এফসিএ, এমপি; ৬৩. মো. একেএম রহমতউল্লাহ এমপি; ৬৪. হাবিবুর রহমান মোল্লা এমপি; ৬৫. অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী এমপি; ৬৬. হাবিবুর রহমান খান; ৬৭. শরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু; ৬৮. মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার এমপি; ৬৯. খায়রুজ্জামান লিটন; ৭০. শ্রী বিপুল ঘোষ।

২০০৯ সালের ২৪ জুলাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অষ্টাদশ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে।

সভাপতি : ১. শেখ হাসিনা এমপি; সভাপতিম-লী : ২. সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দিন; ৩. সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এমপি; ৪. অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন; ৫. বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি; ৬. শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি; ৭. ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি; ৮. কাজী জাফর উল্লাহ; ৯. রাজিউদ্দিন আহম্মেদ রাজু এমপি; ১০. আবদুল লতিফ সিদ্দিকী এমপি; ১১. সতীশ চন্দ্র রায়; ১২. অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন এমপি; ১৩. ওবায়দুল কাদের এমপি; ১৪. আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু এমপি। (* আতাউর রহমান খান কায়সারের মৃত্যুজনিত শূন্য পদে আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু এমপি স্থলাভিষিক্ত হন।) ১৫. সাধারণ সম্পাদক : সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এমপি; যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক : ১৬. মাহবুব-উল-আলম হানিফ; ১৭. ডা. দীপু মণি এমপি; ১৮. জাহাঙ্গীর কবীর নানক এমপি (প্রথমে পদটি শূন্য ছিল। বছরাধিক পরে সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব অর্পিত।); ১৯. অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক : আ হ ম মুস্তফা কামাল, এফসিএ, এমপি; ২০. আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক : সৈয়দ আবুল হোসেন এমপি; ২১. আইন বিষয়ক সম্পাদক : অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু এমপি; ২২. কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক : ড. মো. আবদুর রাজ্জাক এমপি; ২৩. তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক : অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন; ২৪. ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক : ফরিদুন্নাহার লাইলী এমপি; ২৫. দফতর সম্পাদক : অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান খান এমপি; ২৬. ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক : আলহাজ অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ; ২৭. প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক : নূহ-উল-আলম লেনিন; ২৮. বন ও পরিবেশ সম্পাদক : ড. হাছান মাহমুদ এমপি; ২৯. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক : স্থপতি ইয়াফেস ওসমান; ৩০. মহিলা বিষয়ক সম্পাদক : ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এমপি; ৩১. মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক : ক্যাপ্টেন এবি তাজুল ইসলাম (অব.) এমপি; ৩২. যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক : দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুল; ৩৩. শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক : নূরুল ইসলাম নাহিদ এমপি; ৩৪. শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক : লে. কর্নেল মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি (অব.); ৩৫. শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক : হাবিবুর রহমান সিরাজ; ৩৬. সাংস্কৃতিক সম্পাদক : আসাদুজ্জামান নূর এমপি; 41৩৭. স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক : ডা. বদিউজ্জামান ভুইয়া ডাবলু; সাংগঠনিক সম্পাদক : ৩৮. আহমদ হোসেন; ৩৯. মো. মিসবাহ্ উদ্দিন সিরাজ অ্যাডভোকেট; ৪০. বিএম মোজাম্মেল হক এমপি; ৪১. আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম; ৪২. আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন; ৪৩. খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি; ৪৪. বীর বাহাদুর এমপি (জাহাঙ্গীর কবির নানকের স্থলাভিষিক্ত); ৪৫. উপ-দফতর সম্পাদক : মৃণাল কান্তি দাস; ৪৬. উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক : অসীম কুমার উকিল; ৪৭. কোষাধ্যক্ষ : এইচএন আশিকুর রহমান এমপি; সদস্য : ৪৮. মোহাম্মদ নাসিম; ৪৯. আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ; ৫০. মো. আলতাফ হোসেন; ৫১. অধ্যক্ষ মতিউর রহমান এমপি; ৫২. ইঞ্জি. মোশাররফ হোসেন এমপি; ৫৩. শেখ হারুন অর রশিদ; ৫৪. মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম; ৫৫. মো. একেএম রহমতউল্লাহ এমপি; ৫৬. সৈয়দা জেবুন্নেছা হক এমপি; ৫৭. বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি; ৫৮. খায়রুজ্জামান লিটন; ৫৯. অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী এমপি; ৬০. শ্রী বিপুল ঘোষ; ৬১. আবদুর রহমান এমপি; ৬২. আখতারউজ্জামান; ৬৩. টিপু মুন্সী এমপি; ৬৪. মোস্তফা ফারুখ মোহাম্মদ এমপি; ৬৫. এমএ মান্নান এমপি; ৬৬. মজিবর রহমান মজনু; ৬৭. মির্জা আজম এমপি; ৬৮. অ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন মেহেদী; ৬৯. আখতার জাহান; ৭০. ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি; ৭১. শ্রী সুজিত রায় নন্দী; ৭২. আমিনুল ইসলাম আমিন; ৭৩. একেএম এনামুল হক শামীম।

২০১২ সালের ২৯ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলের ১৯তম জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। একদিনের এই কাউন্সিলে ঘোষণাপত্রের সংশোধনী গৃহীত হয়। এবার গঠনতন্ত্রে কোনো সংশোধনী আনা হয় নি। কাউন্সিলে মূলত পূর্বতন কমিটি বহাল থাকলেও কিছু কিছু পদে পরিবর্তন হয়। ২০১২ সালে গঠিত কার্যনির্বাহী সংসদ নিম্নরূপ –

সভাপতি : ১. শেখ হাসিনা এমপি; সভাপতিম-লী : ২. সৈয়দা জোহরা তাজউদ্দিন (২০১৩ সালের ২০ ডিসেম্বর তারিখে প্রয়াত); ৩. সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এমপি; ৪. বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি; ৫. আবদুল লতিফ সিদ্দিকী এমপি (২০১৪ সালের ১২ অক্টোবর তারিখে বহিষ্কৃত); ৬. শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি; ৭. মোহাম্মদ নাসিম; ৮. কাজী জাফর উল্লাহ; ৯. সতীশ চন্দ্র রায়; ১০. অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন এমপি; ১১. ওবায়দুল কাদের এমপি; ১২. নূহ-উল-আলম লেনিন; ১৩. ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন (পরে অন্তর্ভুক্ত); ১৪. শূন্য; ১৫. সাধারণ সম্পাদক : সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এমপি; যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক : ১৬. মাহবুব-উল-আলম হানিফ; ১৭. ডা. দীপু মণি এমপি; ১৮. জাহাঙ্গীর কবীর নানক এমপি; ১৯. অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক : আ হ ম মুস্তফা কামাল, এফসিএ, এমপি; ২০. আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক : ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি (দশম সংসদে স্পিকার হওয়ার পর পদটি শূন্য হয়); ২১. আইন বিষয়ক সম্পাদক : অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু এমপি; ২২. কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক : ড. মো. আবদুর রাজ্জাক এমপি; ২৩. তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক : অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন; ২৪. ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক : ফরিদুন্নাহার লাইলী এমপি; ২৫. দফতর সম্পাদক : অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান খান এমপি; ২৬. ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক : আলহাজ অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ; ২৭. প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক : ড. হাছান মাহমুদ এমপি; ২৮. বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক : শূন্য; ২৯. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক : স্থপতি ইয়াফেস ওসমান; ৩০. মহিলা বিষয়ক সম্পাদক : ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা এমপি; ৩১.

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক : ক্যাপ্টেন এবি তাজুল ইসলাম (অব.) এমপি; ৩২. যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক : দেওয়ান শফিউল আরেফিন টুটুল; ৩৩. শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক : নূরুল ইসলাম নাহিদ এমপি; ৩৪. শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক : লে. কর্নেল মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি (অব.) (পরে এই পদের স্থলে আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক করা হয় এবং তার পরিবর্তে এমএ সাত্তারকে উক্ত পদের দায়িত্ব দেওয়া হয়); ৩৫. শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক : হাবিবুর রহমান সিরাজ; ৩৬. সাংস্কৃতিক সম্পাদক : আসাদুজ্জামান নূর এমপি; ৩৭. স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক : ডা. বদিউজ্জামান ভুইয়া ডাবলু; সাংগঠনিক সম্পাদক : ৩৮. আহমদ হোসেন; ৩৯. মো. মিসবাহ্ উদ্দিন সিরাজ অ্যাডভোকেট; ৪০. বিএম মোজাম্মেল হক এমপি; ৪১. আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম; ৪২. বীর বাহাদুর এমপি; ৪৩. আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন; ৪৪. খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি; ৪৫. উপ-দফতর সম্পাদক : মৃণাল কান্তি দাস; ৪৬. উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক : অসীম কুমার উকিল; ৪৭. কোষাধ্যক্ষ : এইচএন আশিকুর রহমান এমপি; সদস্য : ৪৮. আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ; ৪৯. অধ্যক্ষ মতিউর রহমান এমপি; ৫০. মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম; ৫১. সিমিম হোসেন রিমি এমপি; ৫২. খায়রুজ্জামান লিটন; ৫৩. ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি (পরে সভাপতিম-লীর সদস্য); ৫৪. অ্যাডভোকটে সুভাষ চন্দ্র বোস; ৫৫. বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি; ৫৬. মো. একেএম রহমতউল্লাহ এমপি; ৫৭. অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী এমপি; ৫৮. অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ শম্ভু এমপি; ৫৯. এমএ মান্নান এমপি; ৬০. মোস্তফা ফারুখ মোহাম্মদ এমপি; ৬১. আবদুর রহমান এমপি; ৬২. আখতারউজ্জামান; ৬৩. অ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন মেহেদী; ৬৪. র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি; ৬৫. মির্জা আজম এমপি; ৬৬. ড. আবদুস সোবহান গোলাপ; ৬৭. শ্রী সুজিত রায় নন্দী; ৬৮. আমিনুল ইসলাম আমিন; ৬৯. একেএম এনামুল হক শামীম; ৭০. নসরুল হামিদ বিপু এমপি; ৭১. জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি। পরে শূন্য পদে এসএম কামাল হোসেন, সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ এমপি; নুরুল মজিদ হুমায়ুন সদস্য হন।

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!