“পাকিস্তানিরা কচি শিশুদের বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করেছে। তাদের অপরাধ তাদের মায়ের উপর যখন পশুরা অত্যাচার করছিল তখন তারা কাঁদছিল।“
“শান্তিকমিটি ও রাজাকারদের সবরাহকৃত তথ্যের উপর ভিত্তি করে মিলিটারীরা বিভিন্ন এলাকায় এসে অপারেশন করেছে। তারা লুটপাট করেছে, অগ্নিসংযোগ করেছে, নারী ধর্ষণ করেছে এবং মানুষ হত্যা করেছে। তাদের অপারেশনগুলির মধ্যে নিম্মোক্তগুলি প্রধানঃ
তারা মে মাসের মাঝামাঝি যোগীদের পালশায় অপারেশন করে ৪২ জন হিন্দুকে হত্যা করে। সেখানে মেয়েদের উপর অত্যাচার করেছে।
জুন মাসে তারা দুর্গাপুরে অপারেশন করে ৮/৯ জনকে হত্যা করে। এখানেও তারা হৃদয়হীনভাবে নারী নির্যাতন করে। তাদের নির্যাতনের ফলে জনৈক অফিসারের একটি মেয়ে মারা যায় এবং অপর একজন পঙ্গু হয়ে যায়। এখানে তারা লুটপাট করে।
১লা রমজান শুক্রবার পাক সেনারা গগণবাড়িয়ায় অপারেশন করে। এখানে ত্রিমুখী অভিযান চালিয়ে ১০/১১ শত জন লোককে ধরে এনে তাদের দিয়ে গর্ত করিয়ে নিয়ে হত্যা করে মাটিচাপা দিয়ে রাখে। এখানে কচি শিশুদের বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করেছে। তাদের অপরাধ তাদের মায়ের উপর যখন পশুরা অত্যাচার করছিল তখন তারা কাঁদছিল। এখানে ১০০ বছরের উপর বয়স্ক অন্ধ একটি বৃদ্ধকে বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করেছে। গ্রামে আগুন দিলে মেয়েরা যখন প্রাণভয়ে মাঠে পালায় তখন সেখানেও তাদের ধরে শ্লীলতাহানি করে। বাপের সামনে মেয়েকে, স্বামীর সামনে স্ত্রীকে নির্যাতন করেছে।
আবদুল মালেক
দুর্গাপুর
রাজশাহী