বেতিলার অ্যামবুশ
মানিকগঞ্জ জেলা সদরের মাত্র ২-৩ মাইল পূর্বে ধলেশ্বরী নদীর তীরে বেতিলা অবস্থিত। ১৯৭১ সালের ২১ আগস্ট মুক্তিবাহিনী আব্দুর রউফের নেতৃত্বে দুপুর আড়াইটায় সিঙ্গাইর থেকে নৌকাযােগে মানিকগঞ্জ গমনরত ১২-১৩ সদস্যের রাজাকার বাহিনীর ছােটো দলের উপর বেতিলার কাছে অ্যামবুশ করে। প্রথমে বেতিলা বাজারের পূর্ব প্রান্ত থেকে নৌকার উপর গুলি বর্ষণ করলে ২জন রাজাকার নিহত হয়। পরবর্তী সময় নৌকাটি তীরে ভিড়িয়ে বাকি রাজাকাররা যখন বেতিলা স্কুলের পিছনে হীরালাল শাহ নামক জনৈক ব্যক্তির বাড়িতে আশ্রয় নেয়ার চেষ্টা করে, তখন মুক্তিবাহিনীর গুলিতে ১জন রাজাকার নিহত হয় এবং বাকিরা মানিকগঞ্জ অভিমুখে পলায়ন করে।
বালিরটেক অভিযান
মানিকগঞ্জ সদর থানায় বালিরটেক অবস্থিত। ঢাকা থেকে বালিরটেক পর্যন্ত পাকা সড়ক বিস্তৃত। ১৯৭১ সালের ২৬ আগস্ট আব্দুল হাকিমের নেতৃত্বে বালিরটেক অভিযান পরিচালিত হয়। মানিকগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন বালিরটেকে খাদ্য গুদামে পাহারারত পাকিস্তানিরা বিশিষ্ট শিল্পপতি মুনুকে ধরে নিয়ে যায় । ২ মাস পর শিবালয় অভিযানে তাঁকে উদ্ধার করা হয়। যুদ্ধে আব্দুল হাকিম, মােক্তার খান, জিন্নাত আলী, বরকত আলী, কোরবান আলী খান, ফজলুর রহমান খানসহ ৩০-৩৫জন মুক্তিযােদ্ধা অংশগ্রহণ করেন।
নয়াডিঙি ব্রিজ ধ্বংস
১৯৭১ সালের ২৯ আগস্ট মুক্তিবাহিনী ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের উপর সাটুরিয়া। থানাধীন নয়াডিঙি ব্রিজ ধ্বংস করে দেয়। ফলে ঢাকার সাথে সাময়িক যােগাযােগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। যুদ্ধে ফরিদ, জাহাঙ্গীরসহ ১৫-২০জন মুক্তিযােদ্ধা অংশ নেন।
সূত্র : মুক্তিযুদ্ধে সামরিক অভিযান – তৃতীয় খন্ড