পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নৌকায় অ্যামবুশ
১৯৭১ সালের ৩ অক্টোবর মানিক গ্রুপের মুক্তিযােদ্ধারা সাভার থানাধীন বংশী নদীতে শত্রু সৈন্যদের জন্য রসদ বহনকারী ১টি বড়াে নৌকায় আক্রমণ করেন। ঐ নৌকায় ছিল শ্রীনগর থানার ওসি, ১১জন পাকিস্তানি পুলিশ এবং ২০জন রাজাকার। এ আক্রমণে শত্রুপক্ষের ৩০জন মারা যায়। মুক্তিযােদ্ধাদের ১জন। আহত হন। তাদের কাছ থেকে মুক্তিযােদ্ধারা ৯টি ৩০৩ রাইফেল উদ্ধার করেন।
রােয়াইল গ্রামে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আক্রমণ প্রতিহতকরণ
১৯৭১ সালের ৬ অক্টোবর পুলিশ ও রাজাকারসহ ১৫০জন পাকিস্তানি সেনা ঢাকা শহরের সন্নিকটে সাভার থানাধীন রােয়াইল গ্রামে মুক্তিযােদ্ধাদের অবস্থানে। আক্রমণ করে এবং উভয় পক্ষের মধ্যে প্রচণ্ড গােলাগুলি আরম্ভ হয়। এতে শত্রুপক্ষের ১৬জন মারা যায় এবং আরও অনেকে আহত হয়। এর ফলে শত্রু সেনারা পিছু হটে যায় এবং মুক্তিযােদ্ধারা গােপনে অন্য জায়গায় সরে যান। মুক্তিযুদ্ধের সময় সাভার অঞ্চলের মুক্তিযােদ্ধারা বেশির ভাগ অ্যামবুশই। পরিচালনা করতেন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে শত্রুর টহলরত গাড়ি ও শত্রু চলাচলের উপর মুক্তিযােদ্ধারা অ্যামবুশ করেই মহাসড়ক থেকে ৩-৪ মাইল অভ্যন্তরে বিভিন্ন গ্রামে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতেন রােয়াইল গ্রামটি সাভার থানা সদর দপ্তর থেকে পশ্চিমে এবং ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক যেখানে ধামরাই থানা অতিক্রম করেছে, সেখান থেকে দক্ষিণে একটি প্রত্যন্ত গ্রাম। এ গ্রামের সাথে থানা সদরের রয়েছে একমাত্র হাটা পথ। নৌকা ছাড়া কোনাে রাস্তা নেই। তাই মুক্তিযােদ্ধাদের কাছে গ্রামটি খুবই নিরাপদ স্থান। দালালদের মাধ্যমে শত্রু সেনারা খবর পেয়েই এ গ্রামে মুক্তিযােদ্ধাদের অবস্থানের উপর আক্রমণ করে।
ধামরাই থানার ভায়াডুবি ব্রিজ ধ্বংস
১৯৭১ সালের ১৪ নভেম্বর রেজাউল করিম মানিকের নেতৃত্বে মুক্তিযােদ্ধারা ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের উপর ধামরাই থানাধীন ভায়াডুবি নামক স্থানে ১টি ব্রিজ ধ্বংস করে দেন। ফলে ঢাকা-আরিচা সড়কের যােগাযােগ বিচ্ছিন্ন হয়।
সূত্র : মুক্তিযুদ্ধে সামরিক অভিযান – তৃতীয় খন্ড