বসন্তপুর বিওপি’র যুদ্ধ
ভূমিকা
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে আমাদের বীর মুক্তিযােদ্ধারা অসীম সাহসিকতার সাথে যে-সব যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে বিজয় লাভ করেছিলেন বসন্তপুর যুদ্ধ সেগুলাের মধ্যে অন্যতম। এ যুদ্ধে মুক্তিবাহিনী পাকিস্তানি বাহিনীর একটি অত্যন্ত শক্ত ঘাঁটি ধ্বংস করে তাদের মনােবল ভেঙে দেয়। সাতক্ষীরা জেলার যুদ্ধগুলাের মধ্যে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধ ভৌগােলিক অবস্থান বসন্তপুর ভারতীয় সীমান্তের পার্শ্ববর্তী একটি স্থান, যা সাতক্ষীরা জেলার অন্তর্গত ভারতীয় সীমান্ত ও বসন্তপুরের মাঝে শুধু ইছামতি নদী অবস্থিত। ইছামতি নদীর পূর্ব তীরে বসন্তপুরের অবস্থান বসন্তপুর হতে ২টি রাস্তা সাতক্ষীরার দিকে চলে গেছে। পারুলিয়া, কালিগঞ্জ ও নাজিমগঞ্জ হয়ে একটি এবং অন্যটি শ্যামনগর রাস্তা বসন্তপুরের গুরুত্ব বসন্তপুর সীমান্তবর্তী একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। যেহেতু সীমান্ত থেকে সাতক্ষীরা যাওয়ার দুটি প্রধান পথের মুখে হচ্ছে বসন্তপুর, তাই পাকিস্তানি বাহিনী সেখানে শক্ত প্রতিরক্ষা ব্যুহ গড়ে তােলে পারুলিয়া, কালিগঞ্জ ও নাজিমগঞ্জ রাস্তাটি বেশ প্রশস্ত এবং ভারী সামরিক যানবাহন সহজেই এ রাস্তায় যাতায়াত করতে পারে। শ্যামনগরের রাস্তাটি বেশি সুবিধাজনক না হলেও পাকিস্তানি বাহিনী। প্রায়ই এ রাস্তায় চলাচল করত এ কারণে সৈন্য চলাচল এবং আক্রমণ পরিচালনার জন্য সামরিক দিক দিয়ে মুক্তিবাহিনীর কাছে বসন্তপুর অতি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যুদ্ধের অবস্থান ক. পাকিস্তানি বাহিনী: পাকিস্তানি বাহিনী ইছামতি নদীর কূলঘেঁষে। প্রতিরক্ষা ঘাঁটি তৈরি করে। যেহেতু ভারতীয় সীমানার মাঝে ইছামতি নদী রয়েছে, তাই তারা ইছামতি নদীর তীর বরাবর ২-৩ মাইল অন্তর অন্তর পর্যবেক্ষণ ঘাঁটি স্থাপন করে। এ ঘাঁটিগুলাের মধ্যে সর্ব-উত্তরে শংকরা, দক্ষিণে টাউন শ্রীপুর, দেবহাটা, খানজী, বসন্তপুর, উকসা এবং সবশেষে কৈখালি। এ ঘাঁটিগুলাের শক্তি বিভিন্ন রকম ছিল।
পাকিস্তানি বাহিনী নদীর তীরে অসংখ্য বাংকার খুঁড়ে প্রতিরক্ষাব্যুহ তৈরি করে। খ, মুক্তিবাহিনী: সাতক্ষীরা অঞ্চলের দায়িত্বে ছিলেন মেজর জলিল। তার অধীনস্থ বাহিনীর মধ্যে অধিকাংশই ছিল মুক্তিযােদ্ধা এবং বাকিরা ছিলেন সশস্ত্রবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর সদস্য। এঁদের নিয়েই তিনি। পাকিস্তানি বাহিনীর প্রতিরক্ষা ব্যুহ ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নেন। প্রারম্ভিক পরিকল্পনা হিসেবে তিনি ক্যাপটেন হুদাকে ভারতীয় ৭২ নম্বর সীমান্ত নিরাপত্তা ফাড়ির নিকটে হিঙ্গলগঞ্জে ঘাঁটি তৈরির নির্দেশ দেন। ক্যাপটেন হুদা নিরাপত্তা ফাড়ির অধিনায়ক ক্যাপটেন পান্ডের সাহায্যে ঘাঁটি স্থাপন করেন। এ ঘাঁটি ইছামতি নদী হতে মাত্র আধা মাইল।
ভিতরে ছিল এর ঠিক উলটোদিকে ছিল বসন্তপুর শত্রু ক্যাম্প। মুক্তিবাহিনীর যুদ্ধ পরিকল্পনা। মেজর জলিল, ক্যাপটেন হুদা, লে, সেন, লে. বেগ ও কমান্ডার ওয়াহিদসহ আরও কয়েকজন জুন মাসের প্রথম দিকে মুক্তিবাহিনীর পরবর্তী কার্যক্রম নিয়ে বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে এ যুদ্ধের গুরুত্ব বিচার করে মেজর জলিল বসন্তপুর ঘাঁটি আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেন। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মুক্তিবাহিনীকে বেশ কয়েকটি দলে ভাগ করা হয়। এ অভিযান পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয় ক্যাপটেন হুদার ওপর। ক্যাপটেন হুদা পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে তথ্যসংগ্রহ করেন। তা ছাড়া হাবিলদার সােবাহান তাকে এ ব্যাপারে সাহায্য করেন। কেননা সে পূর্বে বসন্তপুরে গােয়েন্দার কাজ করত। তথ্যসগ্রহ এবং পরিস্থিতি বিবেচনা করে ক্যাপটেন হুদা বসন্তপুর আক্রমণের পরিকল্পনা করেন। তিনি সমগ্র বাহিনীকে নিমরূপভাবে বিভিন্ন দলে বিভক্ত করেন: ক. ‘ক’ দল ১. অধিনায়ক নাসির উদ্দিন। ২. জনবল; ৯জন। ৩. কাজ: ৫ মিনিটব্যাপী বসন্তপুর ক্যাম্পের উপর গুলি বর্ষণ। খ, ‘খ’ দল। ১. অধিনায়ক: লিয়াকত। ২. জনবল: ৯জন। ৩. কাজ: বসন্তপুর সেনাশিবিরের ৪০০ গজ দক্ষিণে অবস্থান নেয়া। এবং মুক্তিবাহিনীর আক্রমণে পাকিস্তানি সৈন্যরা পালাতে গেলে। তাদের উপর আক্রমণ করা। গ, ‘গ’ দল।
১, অধিনায়ক: ইপিআর-এর আব্দুল হক।
২. জনবল: ১১জন।
৩. কাজ: সংরক্ষিত দল হিসেবে কাজ করা। ঘ, ‘ঘ’ দল
১. অধিনায়ক: ক্যাপটেন হুদা। ২. জনবল: ২২জন।
৩, কাজ: ইছামতির দিক হতে আক্রমণ করা। ৬. ঙ’ দল
১. অধিনায়ক: ওয়াহিদুজ্জামান। ২. জনবল: সংখ্যা জানা যায় নি।
৩. কাজ: দক্ষিণ দিক হতে শত্রু ক্যাম্পের উপর আক্রমণ করা। চ, ‘চ’ দল।
১. অধিনায়ক লে. বেগ। ২. জনবল: ২২জন।
৩. কাজঃ বসন্তপুর শিবিরের দিক হতে আক্রমণ পরিচালনা করা। মূলত ‘ঘ’, ‘ঙ’ এবং ‘চ’ দলই হচ্ছে আক্রমণকারী দল, যারা তিন দিক হতে একত্রে আক্রমণ পরিচালনা করবে। অন্যান্য দল তাদের পরিকল্পনা। অনুযায়ী কাজ করবে। প্রথম আক্রমণ পরিকল্পনা অনুযায়ী আক্রমণ পরিচালনার দিন নির্ধারিত হয় ১০ জুন। এদিন রাতে ক্যাপটেন হুদা হিঙ্গলগঞ্জ ক্যাম্প হতে আক্রমণের জন্য অগ্রসর হন। ইছামতি নদী পার হয়ে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতিটি দলের অধিনায়ককে নিজ নিজ স্থানে অবস্থান নেয়ার আদেশ দেন। ‘ক’ দল বসন্তপুর ক্যাম্পের কাছে। অবস্থান নেয় এবং ৫ মিনিট ফায়ার দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়। ‘খ’ দল লিয়াকতের নেতৃত্বে বসন্তপুর শিবিরের ৪০০ গজ দক্ষিণে অবস্থান নেয় এবং বিচ্ছিন্নকারী দল হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। ‘গ’ দল সংরক্ষিত দলের ভূমিকা নেয়।
ক্যাপটেন হুদা ‘ঘ’ দল নিয়ে ইছামতির দিক হতে, ওয়াহিদ ‘ঙ’ দল নিয়ে। দক্ষিণ দিক হতে এবং লে, বেগ বসন্তপুর শিবিরের দিক থেকে ‘চ’ দল নিয়ে আক্রমণ করেন। ১০ জুন রাত সাড়ে ১০টায় পরিকল্পনা অনুযায়ী তিন দিক থেকে আক্রমণ চালানাে হয়। মুক্তিযোেদ্ধাদের আক্রমণের জবাবে পাকিস্তানি বাহিনীও পালটা আক্রমণ চালায়। তিন দিক থেকে আক্রমণ করেও মুক্তিবাহিনী তেমন সুবিধা করতে পারে নি। পাকিস্তানি বাহিনী আগে থেকেই আক্রমণের জন্য প্রস্তুত ছিল। তারা তাদের সুরক্ষিত বাংকার ও ট্রেঞ্চ হতে প্রবল গুলি বর্ষণ শুরু করে। তাদের প্রবল প্রতিরােধের মুখে মুক্তিবাহিনী পিছু হটতে বাধ্য হয়। শেষ পর্যন্ত বসন্তপুর ঘাটি দখলের প্রচেষ্টায় মুক্তিবাহিনী ব্যর্থ হয়।
দ্বিতীয় আক্রমণ
মুক্তিবাহিনী প্রথম প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে পুনরায় বসন্তপুর আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেয়। ক্যাপটেন হুদা এবার গেরিলা আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেন। ১২ জুন সকাল থেকে ভয়ানক ঝড় শুরু হয়। ঝড়ের মধ্যে মেজর জলিল ক্যাপটেন হুদার হিঙ্গলগঞ্জ ক্যাম্পে আসেন। ক্যাপটেন হুদা মেজর জলিলকে বসন্তপুর আক্রমণের কথা বলেন। যেহেতু প্রচণ্ড দুর্যোগের রাতে পাকিস্তানি বাহিনী আক্রমণের জন্য প্রস্তুত থাকবে না, তাই স্বল্পসংখ্যক সৈন্য নিয়ে তাদের উপর আক্রমণ করে বসন্তপুর দখল করা সম্ভব হতে পারে। মেজর জলিল ক্যাপটেন হুদার সঙ্গে একমত হন। এবং ১২ জুন সন্ধ্যায় বসন্তপুর আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বসন্তপুরের পার্শ্ববর্তী পাকিস্তানি বাহিনীর ক্যাম্প ছিল টাউন শ্রীপুর। মেজর জলিল ২টি প্লাটুনকে সে দুর্যোগের রাতে ২টি ঘাঁটি আক্রমণের নির্দেশ দেন। ক্যাপটেন হুদা ৩৫জনের ১টি প্লাটুন নিয়ে রাত ১২টার পর বসন্তপুর আক্রমণ করবেন এবং হাবিলদার সােবহান ও শাহজাহানের নেতৃত্বে আরেকটি দল শ্রীপুর শত্রু ঘাটি একই সময় আক্রমণ করবে। উভয় দলেরই উদ্দেশ্য ছিল নিঃশব্দে শত্রুর নিকটে গিয়ে বাংকার ও ট্রেঞ্চে গ্রেনেড হামলা করা এবং পরবর্তী সময় আক্রমণ করে দখল করা। ১২ জুন রাতে প্রবল ঝড়ের মধ্যে ক্যাপটেন হুদা ও হাবিলদার শাহজাহান তাঁদের দল নিয়ে ক্যাম্প থেকে যাত্রা করেন। অন্যদিকে, ডাক্তার শাহজাহান ও লেফটেন্যান্ট মুখার্জি টাকি হতে শ্রীপুর আক্রমণের জন্য রওনা হন। উভয় দলই প্রথমে ইছামতি পার হয়ে বহু কষ্টে শত্রু এলাকায় পৌছেন।
ক্যাপটেন হুদা রাত সাড়ে ১২টার দিকে ক্যাম্পের খুব নিকটে এসে পৌঁছেন। তিনি তার প্রশিক্ষিত গেরিলাদের গ্রেনেড দিয়ে প্রতিটি বাংকারের নিকটে পাঠান। দুর্যোগের রাতে পাকিস্তানি বাহিনী মুক্তিবাহিনীর আক্রমণের কথা ঘুণাক্ষরেও টের পায় নি। সমগ্র ক্যাম্প তখন ঘুমন্ত ছিল। ক্যাপটেন হুদা ঠিক এমনই আশা করছিলেন। তিনি রাত ১টার দিকে ঘুমন্ত পাকিস্তানি বাহিনীর উপর অকস্মাৎ আক্রমণ করেন। পাকিস্তানি বাহিনী ভাবতেও পারে নি যে, এ দুর্যোগের রাত্রে প্রমত্ত ইছামতি পেরিয়ে মুক্তিবাহিনী তাদের উপর আক্রমণ করতে পারে। মুক্তিবাহিনীর তীব্র আক্রমণের মুখে তারা চরমভাবে মার খায়। শেষ পর্যন্ত মুক্তিবাহিনী তাদের অপারেশন শেষ করে ভােরবেলা মূল ঘাটিতে ফেরত আসে ফলাফল এ আক্রমণের ফলে মুক্তিযােদ্ধাদের মনােবল বৃদ্ধি পায়। বসন্তপুর সংঘর্ষে পাকিস্তানি বাহিনীর ২০জন নিহত হয়। মুক্তিবাহিনী ৫০টি রাইফেল, ২টি এলএমজি, বেশ কিছু গ্রেনেড ও বিস্ফোরকসহ বিপুল পরিমাণ গােলাবারুদ উদ্ধার করে। অপর পক্ষে ১জন মুক্তিযােদ্ধা আহত হন। মুক্তিবাহিনী অপারেশন শেষে নিরাপদে মূল ঘাটিতে ফেরত আসে। অন্যদিকে, শাহজাহানের নেতৃত্বে শ্রীপুরেও মুক্তিবাহিনীর আক্রমণ সফল হয়।
শিক্ষণীয় বিষয়
ক. আকস্মিকতা: সঠিক পরিকল্পনা প্রতিটি যুদ্ধে সফলতার জন্য অপরিহার্য। বসন্তপুরের যুদ্ধে আমরা দেখতে পাই, প্রথম বার সুপরিকল্পিত আক্রমণ সত্ত্বেও শক্রর প্রতিরােধের জন্য মুক্তিবাহিনী সফল হয় নি। এতে তারা উপলব্ধি করে যে, পাকিস্তানি বাহিনীর ওপর অকস্মাৎ আক্রমণ করে তাদের পর্যুদস্ত করতে হবে। সে জন্য দুর্যোগের রাতে আক্রমণ করে মুক্তিবাহিনী তাদের হারাতে সক্ষম হয়। তাই বলা যায়, এ যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর সময়ােচিত ও আকস্মিক আক্রমণই পাকিস্তানি বাহিনীর পরাজয়ের প্রধান কারণ। উচ্চ মনােবল: দেশমাতৃকার স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযােদ্ধাদের মনােবল ছিল উচ্চ। অন্যদিকে, পাকিস্তানি বাহিনী জানত যে, তারা অন্যায় যুদ্ধ করছে। তাই তাদের উচ্চ মনােবল ছিল না। উচ্চ মনােবলের কারণেই মুক্তিবাহিনী প্রবল দুর্যোগের রাতে প্রমত্ত ইছামতি নদী পেরিয়ে আক্রমণ করতে পেরেছে এবং সফল হয়েছে। তাই যে-কোনাে যুদ্ধজয়ের জন্য দৃঢ় মনােবল রাখা উচিত। গ. সঠিক রেকি পরিচালনা: সঠিক এবং সুষ্ঠু রেকি সম্পাদন যে-কোনাে যুদ্ধে বিজয়ের পূর্বশর্ত। মুক্তিযােদ্ধাদের কাছে এ এলাকা পরিচিত, অপর পক্ষে পাকিস্তানি বাহিনীর কাছে এ এলাকা ছিল অপরিচিত। বসন্তপুরের আক্রমণের সময় আমরা দেখতে পাই, ক্যাপটেন হুদাকে সাহায্য করেছে হাবিলদার সােবাহান, যিনি বসন্তপুরে গােয়েন্দার কাজ করতেন। এ কারণে আক্রমণের পূর্বেই পাকিস্তানি বাহিনীর অবস্থানসংক্রান্ত সব তথ্য মুক্তিবাহিনী অবগত ছিল, যা তাদের জন্য সফলতা বয়ে আনে। সঠিক নেতৃত্ব প্রদান: সঠিক নেতৃত্ব প্রদান যুদ্ধজয়ের অন্যতম প্রধান কারণ। বসন্তপুরের যুদ্ধে ক্যাপটেন হুদা নিজ বাহিনীকে সঠিকভাবে নেতৃত্ব দিয়ে সফল আক্রমণ পরিচালনা করেন। তাঁর উপস্থিতবুদ্ধি ও সাহসিকতাপূর্ণ মনােভাব মুক্তিযােদ্ধাদের অনুপ্রাণিত করেছে। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বই মুক্তিবাহিনীকে একের পর এক সফলতা এনে দিয়েছে।
উপসংহার
বসন্তপুর যুদ্ধ একটি ক্ষুদ্র অপারেশন হলেও এর গুরুত্ব অপরিসীম। এ যুদ্ধের ফলে পাকিস্তানি বাহিনীর অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং বিপুল অস্ত্র উদ্ধারের ফলে মুক্তিবাহিনীর মনােবল বৃদ্ধি পায়। এ যুদ্ধে বিজয়ের পর মুক্তিবাহিনী সাতক্ষীরা অঞ্চলে আরও গভীরভাবে প্রবেশ করে এবং সাফল্য লাভ করে।
সূত্র : মুক্তিযুদ্ধে সামরিক অভিযান – সপ্তম খন্ড