You dont have javascript enabled! Please enable it! ঝিনাইদহের যুদ্ধ - সংগ্রামের নোটবুক
ঝিনাইদহের যুদ্ধ
ভৌগােলিক অবস্থান যশাের জেলার ৩৯ কিলােমিটার উত্তরে অবস্থিত ঝিনাইদহ একটি ছােটো জেলা শহর। ১৯৭১ সালে এটি ছিল একটি সাধারণ শহর। এর পশ্চিমে চুয়াডাঙ্গা, পূর্বে ফরিদপুর ও উত্তরে কুষ্টিয়া। ভারত সীমান্ত ঝিনাইদহের ৪০ কিলােমিটার পশ্চিমে অবস্থিত। মুক্তিযুদ্ধে এলাকার গুরুত্ব ঝিনাইদহ এলাকা উত্তরে রাজাপুর এবং দক্ষিণে দর্শনা থেকে গােয়ালন্দ ঘাট পর্যন্ত বিস্তৃত ছিল। যৌথবাহিনী প্রায় বড় ধরনের কোনাে যুদ্ধ ছাড়াই খণ্ড খণ্ড যুদ্ধের মাধ্যমে এলাকাটি শত্রুমুক্ত করে। ছােটো শহর হওয়া সত্ত্বেও যােগাযােগ সুবিধার জন্য এটি ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি স্থান। উত্তর-দক্ষিণের প্রধান সড়কের হার্ডিঞ্জ ব্রিজ, কুষ্টিয়া, যশাের ও খুলনাকে সংযুক্ত করেছে এবং পশ্চিমে সংযুক্ত করেছে মাগুরা, ফরিদপুর ও গােয়ালন্দ ঘাটকে। রাজধানী ঢাকার দিকে সংক্ষিপ্ত যােগাযােগের পথ হওয়ায় কৌশলগত দিক দিয়ে এটা ছিল যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। যুদ্ধের সংগঠন ক. পাকিস্তানি বাহিনী: ৫৭ পদাতিক ব্রিগেডের অধীন নিমােক্ত রেজিমেন্টসমূহ: • স্কোয়াড্রন ২৯ সিএভি • ২৯ বালুচ রেজিমেন্ট • ১৮ পাঞ্জাব রেজিমেন্ট • ৫০ পাঞ্জাব রেজিমেন্ট • ৪৮ ফ্রন্টিয়ার ফোর্স রেজিমেন্ট (২ কোম্পানি ব্যতীত)। খ, যৌথবাহিনী: ৪ মাউন্টেন ডিভিশন • ৭ মাউন্টেন ব্রিগেড (২২ রাজপুত, ৫ জাট, নাগা রেজিমেন্ট) • ৪১ মাউন্টেন ব্রিগেড (৫ গার্ডস, ৯ ডােগরা, ৫/১ গােখা রাইফেলস) • ৬২ মাউন্টেন ব্রিগেড (৫ মারাঠা লাইট ইনফ্যান্ট্রি, ৪ শিখ লাইট ইনফ্যান্ট্রি, ২/৯ গােখা রাইফেলস)
• ১টি স্কোয়াড্রন ৪৫ ক্যাভালরি • ২২ মাউন্টেন আর্টিলারি রেজিমেন্ট • ১৯৪ মাউন্টেন আর্টিলারি রেজিমেন্ট • ৭ ফিল্ড আর্টিলারি রেজিমেন্ট • ১৮১ লাইট আর্টিলারি রেজিমেন্ট •১ ব্যাটারি ৭৮ মিডিয়াম রেজিমেন্ট। পাকিস্তানি বাহিনীর অবস্থান। পাকিস্তানি বাহিনীর ৫৭ পদাতিক ব্রিগেডের সেনা দল ব্রিগেড অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার মঞ্জুর আহমেদের নেতৃত্বে নিম্নলিখিত এলাকায় অবস্থান গ্রহণ করে: ক. ২৯ বালুচ রেজিমেন্ট এবং ১ টুপ ট্যাংক হার্ডিঞ্জ ব্রিজের নিকটে। খ, ১৮ পাঞ্জাব রেজিমেন্টের ২টি কোম্পানি যথাক্রমে মেহেরপুর ও দর্শনায় এবং অপর ২টি কোম্পানি ব্যাটালিয়ন সদরের সাথে চুয়াডাঙ্গায়। ৫০ পাঞ্জাব রেজিমেন্টের কিছু অংশ সােয়াদী-কোটচাদপুর এবং ১টি কোম্পানি ব্রিগেড রিজার্ভ হিসেবে চুয়াডাঙ্গায় । ঘ. ১০৭ ব্রিগেডের ৪৮ ফ্রন্টিয়ার ফোর্স রেজিমেন্টের ২টি কোম্পানি ব্যতিরেকে ৫৭ ব্রিগেডের সাথে সংযুক্ত হিসেবে জীবননগরে অবস্থান
গ্রহণ করে।
যুদ্ধের পরিকল্পনা
ক, পাকিস্তানি বাহিনী: ৫৭ পদাতিক ব্রিগেড অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার মঞ্জুর গােয়ালন্দ ঘাটের পরিবর্তে হার্ডিঞ্জ ব্রিজের দিকে মিত্রবাহিনীর আক্রমণের আশঙ্কা করেন। পাকিস্তানি বাহিনী ঝিনাইদহের অনেক সম্মুখে তাদের প্রতিরক্ষা ঘাঁটি স্থাপন করে। ফলে ঝিনাইদহ হয়ে পড়ে তাদের দুর্বল ঘাঁটি। ৫৭ পদাতিক ব্রিগেড দর্শনা এবং সীমান্তবর্তী। এলাকা বরাবর অবস্থানের পরিকল্পনা নেয়। যােগাযােগের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে বিবেচিত হওয়ায় চুয়াডাঙ্গাকে পাকিস্তানি বাহিনীর শক্ত ঘাঁটি হিসেবে গণ্য করা হয়। যৌথবাহিনী: নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ দখল করার জন্য জেনারেল রায়না আগে থেকেই পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। ৪ মাউন্টেন ডিভিশন অধিনায়ক মেজর জেনারেল এম এস ব্রার মাগুরা ও কামারখালী ফেরিঘাট দখলের জন্য আদেশ প্রাপ্ত হন। পরবর্তী সময় ফরিদপুর ও গােয়ালন্দ ফেরিঘাট দখল করে কুষ্টিয়া ও হার্ডিঞ্জ ব্রিজ এলাকায় অপারেশন পরিচালনার দায়িত্ব তাঁকে দেওয়া হয়। প্রয়ােজনে ব্রিজ অতিক্রম করে তাকে বগুড়া অঞ্চলে অপারেশন পরিচালনা করার জন্য প্রস্তুত থাকতেও বলা হয়। জেনারেল ব্রারকে ডি + ৬ দিনে। কালিগঞ্জ, ডি + ৮ দিনে ঝিনাইদহ দখল করার জন্য বলা হয়। মাগুরা ও মধুমতি ফেরিঘাট ডি + ১১ দিনের মধ্যে শত্রুমুক্ত করার জন্য তিনি আদেশ প্রাপ্ত হন।
যুদ্ধের বিবরণ ঝিনাইদহের যুদ্ধ (১৯৭১ সালের ৪-৭ ডিসেম্বর) ক. ১৯৭১ সালের ৪ ডিসেম্বর মধ্যরাতে ৪১ মাউন্টেন ব্রিগেডের ২টি ব্যাটালিয়ন দর্শনা আক্রমণ করে। মুক্তিবাহিনীর সহায়তায় ২২ রাজপুত ব্যাটালিয়ন দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে অনুপ্রবেশ করে ব্লকিং পশিজন স্থাপন করে। খ. অপর ১টি ব্যাটালিয়ন একই দিন ৪টায় লােকমানপুর দখল করে। গ. ৯ ডােগরা রেজিমেন্ট দিনের প্রথম আলােয় দর্শনা দখল করে। এ যুদ্ধে মিত্রবাহিনীর হতাহতের সংখ্যা ছিল ৯২জন। ঘ, ১৮ পাঞ্জাব রেজিমেন্ট দর্শনা থেকে চুয়াডাঙ্গা পশ্চাদপসরণ করে সেখানে প্রতিরক্ষা অবস্থান নেয়। ৬, ৪১ ব্রিগেড চুয়াডাঙ্গার দিকে না গিয়ে ২২ রাজপুত ব্যাটালিয়নকে দর্শনা রেখে কোটচাদপুর ও ঝিনাইদহের দিকে অগ্রসর হয়। ইতােমধ্যে ৬২ মাউন্টেন ব্রিগেড জীবননগরের শত্রুর অবস্থানকে বাইপাস করে খালিশপুর-কোটচাদপুরের দিকে অগ্রসর হয় এবং ৪ ডিসেম্বর বিকাল ৪টায় সােয়দী দখল করে। একই দিনে তারা বেলা ২টার মধ্যে কোটচাদপুর দখল করে। যৌথবাহিনী কর্তৃক সােয়াদী দখলের পর ৪৮ ফ্রন্টিয়ার ফোর্স রেজিমেন্ট জীবননগরে অবস্থান নেয় এবং ৫০ পাঞ্জাব রেজিমেন্ট ঝিনাইদহে পশ্চাদপসরণ করে। জ, সােয়াদী, কোটচাদপুর ও দর্শনার যুদ্ধ শেষে ৪১ ব্রিগেড ৪ ডিসেম্বর পশ্চিম সােয়াদীতে সমবেত হয়। ঝ, ৬২ মাউন্টেন ব্রিগেড ৫ ডিসেম্বর দিনশেষে কোটচাঁদপুরে সমবেত হয়ে ঝিনাইদহ আক্রমণের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে। ট, জেনারেল ব্রার পরিকল্পনা অনুযায়ী ৪১ ব্রিগেডের ৫ গার্ডস সাধুহাটিতে 
একটি রােডব্লক স্থাপনের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গাকে বিচ্ছিন্ন করে। ৪১ ব্রিগেডের বাকি অংশ পশ্চিম দিক থেকে ঝিনাইদহ আক্রমণের জন্য যাত্রা করে। ৬২ ব্রিগেড প্রধান সড়ক ধরে অগ্রসর হয়ে কালিগঞ্জ শত্রুমুক্ত করে এবং ঝিনাইদহ আক্রমণের জন্য রওনা হয়। ৪১ ব্রিগেড ২৮ ঘণ্টা অগ্রাভিযানের পর ৭ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় শক্রর বাধার সম্মুখীন হয় এবং সাড়ে ১১টায় আক্রমণ করে কোনাে বাধা ছাড়াই ঝিনাইদহ দখল করে। পাকিস্তানি বাহিনী (প্যারামিলিটারি সমন্বয়ে গঠিত) নিজেদের অবস্থান ছেড়ে যায়, এমনকি তারা নিজস্ব অ্যামুনিশন ডাম্প ধ্বংস করতেও ব্যর্থ হয়।
যুদ্ধের বিস্তারিত বিবরণ
১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসের প্রথম দিকে পাকিস্তানি বাহিনী খালিশপুর ও দর্শনা দখল করে। খালিশপুর ব্রিজটিও তখন ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। ৪ মাউন্টেন ডিভিশন মেজর জেনারেল বারারের নেতৃত্বে ২টি অক্ষ ধরে অগ্রসর হতে থাকে। ৪১ ব্রিগেডের অধিনায়ক ব্রিগেডিয়ার টনি মিশিগানের নেতৃত্বে উথলী-সােয়াদীকোটচাদপুর অক্ষে এবং ৬২ ব্রিগেড ব্রিগেডিয়ার রাজিন্দর নাথের নেতৃত্বে জীবননগর-কালিগঞ্জ-ঝিনাইদহ অক্ষ ধরে অগ্রসর হয়। ৪১ ব্রিগেডকে পরবর্তী সময় শক্রর যােগাযােগ লাইন ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে দর্শনা দখল করার জন্য আদেশ দেওয়া হয়। এ লক্ষ্যে চৌগাছাকে দর্শনা থেকে আলাদা করার জন্য একটা রােডব্লক তৈরি করা হয়। ব্রিগেডিয়ার মঞ্জুর আহমেদ চুয়াডাঙ্গাকে অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করে ব্রিগেড সদর দপ্তর ঝিনাইদহ থেকে চুয়াডাঙ্গায় স্থানান্তর করেন। তিনি ভেবেছিলেন, যদি যৌথবাহিনী চুয়াডাঙ্গা দখল করে ফেলে, তাহলে তিনি ঝিনাইদহ বা কুষ্টিয়ার দিকে চলে আসবেন কিন্তু তাঁর উপস্থিতি সত্ত্বেও যৌথবাহিনী ৪ ডিসেম্বর দর্শনা দখল করে নেয়। ব্রিগেডিয়ার মঞ্জুর তাঁর সৈন্যদের বিওপি থেকে সরিয়ে চুয়াডাঙ্গায় সংঘবদ্ধ করেন। পাকিস্তানি বাহিনী ভেবেছিল, যৌথবাহিনী চুয়াডাঙ্গা অথবা কালিগঞ্জ দিয়ে অগ্রসর হবে। কিন্তু তারা দুই অক্ষের কোনােটাতেই না গিয়ে স্থানীয় মুক্তিবাহিনীর সহায়তায় সােয়াদী হয়ে চলে আসে এবং সাধুহাটিতে রােডব্লক দিয়ে চুয়াডাঙ্গাকে ঝিনাইদহ থেকে পৃথক করে ফেলে। অগ্রসর হওয়ার সময় মিত্র বাহিনী সােয়াদীর কাছে পাকিস্তানি বাহিনী দ্বারা অপ্রত্যাশিত বাধার সম্মুখীন হয়। পাকিস্তানি বাহিনী দীর্ঘ ২৪ ঘণ্টা যুদ্ধের পর ৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় পশ্চাদপসরণ করে। 
পাকিস্তানি বাহিনীর কিছু যানবাহন ৫ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় মিত্র বাহিনীর ৫ গার্ড রেজিমেন্ট কর্তৃক সাধুহাটিতে তৈরি রােড ব্লকের সম্মুখীন হয়। তারা ইতঃপূর্বে এ সম্পর্কে অবহিত ছিল না।  ইতােমধ্যে ৪১ ব্রিগেডের ৫ গার্ড রেজিমেন্ট এবং ৯ ডােগরা রেজিমেন্ট ৫ ডিসেম্বর দুপুর ১২টার মধ্যে কোটচাদপুর দখল করে ফেলে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ৯ ডােগরা রেজিমেন্ট ৭ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় ঝিনাইদহ পৌছে যায়। সাধুহাটি থেকে আগত ২ টুপ ট্যাংকের সহায়তায় মিত্র বাহিনী দ্রুত আক্রমণ চালিয়ে দুপুর ১টার মধ্যে ঝিনাইদহ দখল করে নেয়। শিক্ষণীয় বিষয়  ক, সঠিক লক্ষ্য: পাকিস্তানি বাহিনীর লক্ষ্য ছিল চুয়াডাঙ্গাকে নিজেদের দখলে রেখে মিত্র বাহিনীর অগ্রাভিয়ান বন্ধ করা কিন্তু তারা তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারে নি। পক্ষান্তরে, মিত্র বাহিনীর লক্ষ্য। ছিল পাকিস্তানি বাহিনীর বাধা অতিক্রম করে ঝিনাইদহ দখল করা। তারা নির্দিষ্ট লক্ষ্য থেকে তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে। সঠিক লক্ষ্য স্থির করা এবং তাতে অটল থাকা যুদ্ধের একটি অন্যতম মূলনীতি। শত্রু সম্পর্কে তথ্য: পাকিস্তানি বাহিনীর পক্ষে মিত্র বাহিনী সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যসংগ্রহ এবং তাদের গতিবিধি জানা ছিল প্রায় অসম্ভব কিন্তু মিত্র বাহিনী স্থানীয় জনসাধারণের কাছ থেকে পাকিস্তানি বাহিনী সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়ায় তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সম্ভব হয়। সঠিক ভূমি নির্বাচন: ব্রিগেডিয়ার মঞ্জুর ঝিনাইদহ অরক্ষিত রেখে চুয়াডাঙ্গাকে বেশি প্রাধান্য দেন। যােগাযােগ কেন্দ্র হিসেবে অতীব গুরুত্বপূর্ণ ঝিনাইদহ অরক্ষিত থাকায় মিত্র বাহিনী প্রায় বিনা বাধায় চুয়াডাঙ্গা বাইপাস করে ঝিনাইদহ দখল করে নেয়।
সুতরাং সঠিক ভূমি নির্বাচনে ব্যর্থ হওয়ায় পাকিস্তানি বাহিনী পরাজিত হয়। আকস্মিকতা অর্জন: মিত্র বাহিনী অত্যন্ত দক্ষতার সাথে গােপনীয়তা বজায় রেখে আকস্মিকতা অর্জনে সক্ষম হয়েছিল। যার ফলে সাধুহাটিতে তৈরি রােডব্লক পাকিস্তানি বাহিনীর যথেষ্ট ক্ষতি করে। জনগণের সহায়তা: মুক্তিযােদ্ধারা স্থানীয় জনগণের কাছ থেকে সব ধরনের সহায়তা লাভ করতেন। স্থানীয় জনগণ তাদের শত্রু সম্পর্কে আগাম তথ্য, আশ্রয় ও প্রয়ােজনীয় রসদ সরবরাহ করেছিল। পক্ষান্তরে, পাকিস্তানি বাহিনী স্থানীয় জনগণের তেমন কোনাে সাহায্যই পায় নি। উপসংহার। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে ঝিনাইদহের রয়েছে গৌরবােজ্জ্বল ভূমিকা। পাকিস্তানের ২৫ বছরের শাসনামলে প্রতিটি আন্দোলনে এ জেলার মানুষ ব্যাপকভাবে সাড়া দিয়েছে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকে এ জেলার যুবক, কৃষকসহ সব মেহনতি মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে যুদ্ধে অংশ নেয়।

সূত্র : মুক্তিযুদ্ধে সামরিক অভিযান – সপ্তম খন্ড