বাংলা ভাগ ১৯৪৭
রেডক্লিফ বাংলা ভাগাভাগির জন্য একটা নীতিমালা করেছিলেন। নীতিমালার একটি ছিল রেললাইনকে বিভক্ত করা যাবে না এবং ধর্মীয় জনসংখ্যা নির্ধারণে তিনি থানাকে ইউনিট গণ্য করবেন। তিনি দিনাজপুরকে এবং নদীয়াকে দুভাগ করতে কোন সমস্যায় পড়েননি। রেললাইনকে ঠিক রাখতে পাকিস্তান জয়পুরহাট দিনাজপুরে বাড়তি এলাকা পায়। সম্পূর্ণ সিলেট গণভোটে পাকিস্তানে আসে কিন্তু হবিগঞ্জের দুটি এবং মৌলভীবাজারের ৬ টি থানা হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় মৌলভীবাজারের ৬ থানা ভারতে যাওয়ার কথা এবং করিমগঞ্জ মহকুমা পাকিস্তানে থাকার কথা।
আসাম বেঙ্গল রেললাইন গিয়েছিল সেই ৬ থানার ভিতর দিয়ে। সুত্র অনুযায়ী তা ভারতকে দিতে পারছেন না। এই ৬ থানার পরিবর্তে ভারতকে করিমগঞ্জ দেয়া হয়। ভারতের মালদহ মুর্শিদাবাদ দুদিন ছিল পাকিস্তানের। খুলনা পার্বত্য চট্টগ্রাম দুদিন ছিল ভারতের। শেষ মুহূর্তের এওাজ বদল হয় এ দু এলাকার। পাকিস্তানকে খুশী রাখতে মালদহের কয়েকটি থানা বাড়তি হিসেবে পাকিস্তানে দেয়া হয় যা এখন চাপাই নবাবগঞ্জ নামে পরিচিত। পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশকে এক এবং অভিন্ন রাখতে দুটি জেলা ভারতের দরকার ছিল। তারপরেও পশ্চিমবঙ্গ দুভাগে বিভক্ত ছিল। বিহার থেকে কিছু অংশ পরে পশ্চিমবঙ্গে যুক্ত করে অখণ্ড করা হয়।