You dont have javascript enabled! Please enable it! উর্দ্দু বাংলাকে সরকারী ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি - সংগ্রামের নোটবুক
শিরোনাম সূত্র তারিখ
উর্দ্দু বাংলাকে সরকারী ভাষা হিসাবে স্বীকৃতি দ্যা ডন ৮ই মে, ১৯৫৪

উর্দু এবং বাংলা দাপ্তরিক ভাষা

পাকিস্তানের সাংবিধানিক সংসদ কর্তৃক একটি নতুন ৮ খন্ডের অধ্যায় “প্রজাতন্ত্রের ভাষা” মূলনীতি কমিটির প্রতিবেদনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মাদ আলী কর্তৃক “প্রজাতন্ত্রের ভাষা” অধ্যায়টি সংসদে উত্থাপিত হয় এবং কোনো প্রকার সংশোধনী ছাড়াই গৃহিত হয়। এটি নিম্নরূপ ছিলোঃ

(১)প্রজাতন্ত্রের দাপ্তরিক ভাষা হতে পারে উর্দু,বাংলা এবং অন্য প্রদেশগুলোর ভাষা যা সংশ্লিষ্ট্য প্রাদেশিক আইন পরিষদের সুপারিশ অনুযায়ী রাষ্ট্রপ্রধান কর্তৃক এরূপে ঘোষিত হতে পারে।
(২) সংসদ সদস্যদের ইংরেজীর সাথে উর্দু এবং বাংলা-তে কথা বলার অধিকার থাকবে।
(৩) উপরোক্ত অনুচ্ছেদে যা কিছুই থাকুক, সংবিধান প্রণয়নের পরবর্তী ২০ বছর সময়কাল পর্যন্ত প্রজাতন্ত্রের সকল কার্যক্রমের জন্য ইংরেজি ভাষার ব্যবহার চালু থাকবে যেক্ষেত্রে তা সংবিধান প্রণয়নের অব্যবহিতপূর্বে ব্যবহার করা হতো।

(৪) সেন্ট্রাল সার্ভিসের পরীক্ষার জন্য, সকল প্রাদেশিক ভাষা সমভাবে ব্যবহৃত হবে।

অতিরিক্ত ভাষাঃ
(৫) মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে আরবি,উর্দু এবং বাংলা ভাষা শেখানোর জন্যবিধি প্রণয়ন করা যেতে পারে যেনশিক্ষার্থীরা একটি অথবা দুটি ভাষাকে অতিরিক্ত ভাষা হিসেবে তাদের নির্দেশনার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করতে পারে।

(৬) সাধারন জাতীয় ভাষার উন্নয়ন এবং বিকাশের জন্য রাষ্ট্র প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।

(৭) ইংরেজী ভাষার পরিবর্তনের সুপারিশকল্পে সংবিধান প্রণয়নের দশ বছর পরে একটি কমিশন নিয়োগ দেয়া যেতে পারে ।

আরো একটি তথ্য হল খান আব্দুল গাফফার খান জানতে চেয়েছিলেন প্রাদেশিক ভাষার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে কি না ।

প্রধানমন্ত্রী ব্যাখ্যা করে বলেনঃ
(১) সমস্ত প্রদেশ তাদের পছন্দ অনুযায়ী প্রাদেশিক ভাষা ব্যবহার করতে স্বাধীন ছিলো।
(২) সংশ্লিষ্ট্য প্রাদেশিক সভার সুপারিশে, যে কোনো প্রাদেশিক ভাষাকে দাপ্তরিক ভাষা হিশেবেঘোষনা দেওয়ার ক্ষমতারাষ্ট্রপ্রধান এর থাকবে।