লাহোর প্রস্তাব
সুত্রঃ পাকিস্তান মুভমেন্ট- হিস্টরিক ডকুমেন্টস, পৃষ্ঠা – ১৭২
তারিখঃ ২৩শে মার্চ, ১৯৪০
সর্ব ভারতীয় মুসলিম লীগ তেইশতম বার্ষিক অধিবেশনে ২৭শে মার্চ, ১৯৪০ এ সমাধান গৃহীত হয় যা সাধারনত “ পাকিস্তানী প্রস্তাব ” নামে পরিচিত।
যখন সমগ্র ভারত মুসলিম লীগ কমিটির সংসদ ও কর্ম পরিষদ দ্বারা অনুমোদন গ্রহন করা হয়েছে; যা সমাধানকেই নির্দেশ করেছে। ২৭শে অগাস্ট, ১৭ই এবং ১৮ই সেপ্টেম্বর এবং ২২শে অক্টোবর ১৯৩৯ এবং ৩ই ফেব্রুয়ারী ; ১৯৪০ সংবাধানিক বিষয়ে সর্ব ভারতীয় মুসলিম লীগ এই অধিবেশনে সজোরে পুনরাবৃত্তি করে ফেডারেশনের পরিকল্পনা সরকারের দেহী ভারত শাসন আইন ১৯৩৫ যা সম্পূর্ণই দেশের এই অদ্ভুত অবস্থার জন্য অনুপযুক্ত এবং অকার্যকর এবং পুরো মুসলিম ভারতে তা অগ্রহণযোগ্য।
এটা আরও জোরালো দৃশ্য রেকর্ড করা হয় যখন মহামান্য সরকারের পক্ষ থেকে রাজপ্রতিনিধি ১৮ই অক্টোবর, ১৯৩৯ তারিখে ঘোষণা করে পুনরায় ভরসা প্রদান করা হয় যে যতদূর পর্যন্ত ১৯৩৯ এর ভারত শাসন আইন নীতি এবং পরিকল্পনা গ্রহন করা হয়েছে; তা যদি ভারতের সম্প্রদায় ও মুসলিম ভারত যদি সন্তুষ্ট না হয় তাহলে পুরো সাংবিধানিক পরিকল্পনা নতুন করে পুনর্বিবেচনা করা হবে এবং ততক্ষণ পর্যন্ত সংশোধিত পরিকল্পনা গ্রহণযোগ্য হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত তা মুসলিমদের অনুমোদন এবং সম্মতি নিয়ে প্রণীত হয়।
সর্ব ভারতীয় মুসলিম লীগের এই অধিবেশনে সংশোধিত দৃশ্য হল কোন সাংবিধানিক পরিকল্পনা এই দেশে অথবা মুসলিমদের কাছে কার্যকর হবে না যদি তা নিম্নলিখিত মৌলিক নীতির উপর নকশা না করা হয় ; যথা, যে ভূগোলিকভাবে সংলগ্নন একক অঞ্ছল যা অঞ্চলগুলোর সীমা নির্দেশ করে যেমন স্থানিক পুনরায় সমন্বয় প্রয়োজন হতে পারে, যে এলাকায় মুসলমান সংখাসুচকভাবে একটি সংখ্যা গরিষ্ঠ ভারতের উত্তর পশ্চিম এবং পূর্ব জোনের হিসাবে হওয়া উচিত যেখানে “স্বাধীন রাষ্ট্র ” হিসাবে স্বায়ত্তশাসিত ও সার্বভৈাম সংবিধানিক ইউনিট থাকবে।
এই পর্যাপ্ত, কার্যকরী এবং বাধ্যতামূলক রক্ষাকবচ যা বিশেষভাবে সংখ্যা লঘুদের জন্য জোগান দেওয়া উচিত এবং তাদের সঙ্গে আলোচনাতে তাদের ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, প্রশাসনিক এবং অন্যান্য অধিকার রক্ষায় তাদের সঙ্গে আলোচনা করে এবং ভারতের অন্যান্য অংশে যেখানে মুসলমানরা সংখালঘু তাদের এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, প্রশাসনিক ও অন্যান্য অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায় পরামর্শ করে পর্যাপ্ত কার্যকর এবং বাধ্যতামূলক সংবিধান রক্ষাকবচ বিশেষভাবে জোগান দেওয়া হবে।
এই অধিবেশনে আরও একটি প্রকল্প গঠন করা হবে কার্যকর কমিটির অনুমোদন এর সাথে মৌলিক নীতি অনুযায়ী সংবিধান ধারনাটি পরিশেষে প্রদান করা হবে। সমস্ত অধিকার যেমন প্রতিরোধ, বাহ্যিক ব্যপার, যোগাযোগ, রীতিনীতি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয় নিজ নিজ অঞ্চল দ্বারা প্রদান করা হবে।
প্রস্তাবিত – মাননীয় মৌলভি এ কে ফজলুল হক (বাংলার প্রধানমন্ত্রী )
সহকারিত্ত – চৌধুরী খালিকুজ্জামান সাহেব; এম এল এ ( ইউ পি )
সমর্থিত – মাওলানা জাফর আলী খান সাহেব; এম এল এ (কেন্দ্রীয় )
- সরদার আড়ঙ্গ জেব খান সাহেব; এম এল এ ( এন ডব্লিউ এফ প্রদেশ )
- হাজী স্যার আবদুল্লাহ হারুন; এম এল এ ( কেন্দ্রীয় )
- কে বি নওয়াব ইসমাইল খান সাহেব, এম এল সি ( বিহার )
- কাজী মোহাম্মদ ঈসা খান সাহেব, বেলুচিস্তানের রাষ্ট্রপতি, প্রাদেশিক মুসলিম লীগ।
- আব্দুল হামিদ খান সাহেব ; এম এল এ ( মাদ্রাজ )
- আই আই চুনদরিগার সাহেব ; এম এল এ ( বোম্বে )
- সৈয়দ আব্দুল রউফ শাহ সাহেব; এম এল এ ( সি পি )
- ডঃ মোহাম্মদ আলম; এম এল এ ( পাঞ্জাব)
- সৈয়দ জাকির আলী সাহেব ( ইউ পি )
- বেগম সাহিবা মাওলানা মোহাম্মদ আলী
- মাওলানা আব্দুল হামিদ সাহেব কাদের ( ইউ পি )।