You dont have javascript enabled! Please enable it!

সিলেটে মুক্তিবাহিনীর ৬০ জনের সুতারকান্দি পাকঘাঁটি আক্রমণ করে। পাকসেনারা পাল্টা গুলি শুরু করলে উভয়পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। উভয় পক্ষ ৩ ইঞ্চি মর্টার ব্যাবহার করে। এই সংঘর্ষে পাকবাহিনীর ২ জন সৈন্য নিহত হয়। সিলেটের সীমান্তে হেলিকপ্টারের আনাগোনা দেখা যায়। পাকসেনা্রা মুক্তিবাহিনীর ক্যাম্পে ২৫ রাউনড ১০৫ এমএম শেল নিক্ষেপ করে। শেল গুলি ক্যাম্পের কাছাকাছি পরেছিল। শাবাজপুরের ঝিঙ্গালায় ৬০ জনের মুক্তিবাহিনীর একটি দল ৩ ইঞ্চি মর্টারের সাহায্যে পাকবাহিনীর উপর হামলা করে ৭ জন শত্রু নিহত হয়। জৈন্তাপুরে পাকবাহিনীর সাথে সংঘর্ষে মুক্তিবাহিনীর ওয়ারলেস সেট হারাতে হয়।
খুলনার ডুমুরিয়ায় সন্ধায় একদল রাজাকার সামরিক ক্যাম্প থেকে ফেরার পর রঘুনাথপুর বাজারের কাছে নক্সালিদের হামলার মুখে পড়ে। রাজাকাররাও পাল্টা আক্রমন করে। একজন নক্সাল, ২ জন রাজাকার নিহত হয়। কয়েক রাজাকার আহত হয়।
নিলফামারির ডিমলায় ৩টি পৃথক মাইন বিস্ফোরণে ১ জন গ্রামবাসী নিহত হয়। ২ টি গরুগারি ধ্বংস হয়।
পাক বাহিনী রাজশাহী এর রামনগর ত্রিমোহিনীতে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশ সরকারের প্রচারপত্র আটক করে। এই সকল প্রচার পত্রে মুক্তিবাহিনীতে যোগদানের কথা ও এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম শ্লোগান লিখা ছিল।
৭নং সেক্টরে মুক্তিবাহিনী ইপিআর কমান্ডার সালেক, বেঙ্গল রেজিমেন্টের মান্নান, ঢাকা পুলিশের হাবিলদার রজব আলী এবং ছাত্র রঞ্জিত কুমার মহন্ত, প্রদীপ কুমার কর প্রমুখের নেতৃত্বে হিলির কাছে পাকসেনাদের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এই সংঘর্ষে কতক পাকসৈন্য হতাহত হয়। মাইন বিস্ফোরণে একটি বেডফরড ট্রাক ধংশ হয়।
শ্রীনগর এলাকায় ১৯ রাজপুতানা রাইফেলস এর কর্নেল শর্মার মেজর রফিকের প্রথম মিটিং হয়। বর্ডারের কাছে ভারতীয় সৈন্যদের সহায়তায় পাকসেনাদের ছোট কয়েকটি অবস্থান হামলা করে মুক্ত করা্র সিদ্ধান্ত হয়। পাকসেনারা বর্ডার ক্রস করে যাতে পুনরায় আক্রমণ না চালাতে পারে সে ব্যাপারে ভারতীয় বাহিনীর সমর্থন পাওয়া কাজে লাগছে। রাজপুতানা রাইফেলস একটি গোলন্দাজ ব্যাটেলিয়ন।

 

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!