১৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১
মুক্তিবাহিনী ৪ নং সেক্টরের মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার লুবাচরা এলাকায় পাকসেনাদের বিরুদ্ধে এক দুঃসাহসিক অভিযান চালায়।
মুক্তিবাহিনী ৮ নং সেক্টরের আশাশুনি উপজিলার গোয়াল ডাঙ্গা নামক স্থানে পাক বাহিনীর উপর হামলা চালায়। এতে পাক বাহিনীর অনেক হতাহত হয়। কিছু অস্র আটক করা হয়।
মুক্তিবাহিনী ২ নং সেক্টরের দাউদকান্দি থেকে মাছ বোঝাই একটি ট্রাক কুমিল্লার দিকে যাওয়ার সময় চান্দিনার দোতালা গ্রামের কাছে মাইন বিস্ফোরণে ধ্বংস হয়।
মুক্তিবাহিনী ১১ নং সেক্টরের ঈশ্বরগঞ্জ উপজিলার আঠারোবাড়িতে রাজাকার ক্যাম্প এ রাত ১১ টায় হামলা চালায় এতে ২ রাজাকার নিহত ও এক রাজাকার আহত হয়।
মুক্তিবাহিনীর ২০০ জনের একটি দল ৬/১১ নং সেক্টরের গাইবান্দার সাদুল্লাপুর থানা আক্রমন করে। থানা মালখানা লুট হয়। মহকুমা ডি এস পি তখন থানাতে অবস্থান করছিলেন। তার গাড়িও পোড়াইয়া দেয়া হয়।
ক্যাপ্টেন শফিকুল্লাহ এর অধিনায়কে মুক্তিবাহিনী ৮ নং সেক্টরের কলারোয়া থানার বালিয়াডাঙ্গা এলাকায় ( মেজর রফিক তার বইয়ে ৯ বেলুচ উল্লেখ করেছেন পাকবাহিনির ৯ বেলুচ এই নামে কোন ব্যাটেলিয়ন খুলনা বা প্রদেশেই ছিল না) এর একটি কোম্পানির সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পরে ক্যাপ্টেন এআর আজম এর বাহিনি এতে যোগ দেয়। ২ দিন তীব্র সংঘর্ষ হয়। ক্যাপ্টেন শফিকুল্লাহ এই যুদ্ধে গুরুতর আহত হন। তার যায়গায় ক্যাপ্টেন মাহবুবকে পাঠানো হয়। ক্যাপ্টেন মাহবুব গোলার আঘাতে আহত হন। ক্যাপ্টেন এ আর আজম পিছু হটে আসেন। পাকিস্তানীদের ক্ষতি বেশি হয় মুক্তিবাহিনীর ৮ জন নিহত হয় ২ জন বর্ণিত অফিসার সহ অনেক আহত হয়। সুবেদার মেজর তবারক পাক বাহিনীর হাতে বন্দী হন। তার উপর অনেক নির্যাতন করা হয়।