পদত্যাগ প্রসঙ্গে তাজউদ্দীন বলেন, “এটা তাে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতা। তিনি যখন খুশি তখন যে কাউকে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দিতে পারেন এবং নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করতে পারেন। আপনারা কেন আমাকে এই প্রশ্ন করছেন? এটা প্রশ্ন করার মত কোন বিষয় না। মন্ত্রিসভার উপর তার সম্পূর্ণ অধিকার আছে।’ তাজউদ্দীন সাহেবের কাছ থেকে এই কথা শুনে আমি এবং ময়েজউদ্দীন সাহেব সােজা বঙ্গবন্ধুর কাছে গেলাম। বঙ্গবন্ধু বললেন, কী খবর?’ আমি বললাম, ‘তাজউদ্দীন সাহেবকে তো আপনি আজকে পদত্যাগ করতে বলেছেন।’ বঙ্গবন্ধু বললেন, হ্যা, ওকে সরিয়ে দিয়েছি, কী হয়েছে তাতে! চট্টগ্রামের নূরুল ইসলাম (সেই সময় মন্ত্রী) আমাকে বলেছে, তাজউদ্দীন নাকি একটা দূতাবাসে গিয়ে নানা ধরনের উল্টাপাল্টা কথাবার্তা বলেছে। আমি সাথে সাথে বললাম, ‘বঙ্গবন্ধু, আপনি কি এটা যাচাই করেছেন? উনি বললেন, না, তা তো করিনি। তারপর উনি আমার গলা জড়িয়ে ধরলেন, কাঁদলেন কিছুক্ষণ। বললেন, ‘তাজউদ্দীনের সাথে আমার সম্পর্ক কী তােমরা তাে জান। নূরুল ইসলামের কাছ থেকে ওই কথা শােনার পর আমার একটা প্রতিক্রিয়া হল। যাই হােক, এটা তাে অল্প, কয়দিনের ব্যাপার, আমি অন্যভাবে চিন্তা করছি।“ একদিন বঙ্গবন্ধু আমাকে বললেন যে, তাজউদ্দীনকে আমি আমার প্রধান উপদেষ্টা বানাব এবং ওর মর্যাদা কোন অংশেই প্রধানমন্ত্রীর চাইতে কম হবে না।’ [1, pp. 31–32]
Reference:
[1] রিমি সিমিন হোসেন, তাজউদ্দীন আহমদ আলোকের অনন্তধারা, 3rd ed. প্রতিভাস, 2006.