You dont have javascript enabled! Please enable it!

১৬ মার্চ ১৯৬৯ঃ পশ্চিম পাকিস্তানে মওলানার উপর হামলা 

গোল টেবিল বৈঠকে ভাসানীকে আমন্ত্রন জানানো হয়নি। তিনি সে সময়ে পশ্চিম পাকিস্তানের পাঞ্জাবে ব্যাপক রাজনৈতিক সভা সমাবেশ করছিলেন। শেখ মুজিব গোলটেবিল বৈঠক থেকে ফিরে চুপচাপ থেকেই কিছু সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন। তিনিও মওলানার গোপন কার্যকলাপে অতিষ্ঠ ছিলেন। তিনি গোলটেবিল বৈঠক থেকে ফিরে বিমানবন্দরে রাগের মাথায় বলেছিলেন মওলানার বয়স হয়েছে তার অবসর নেয়া উচিত। মওলানার চামচারা এ বক্তব্য এর প্রতিবাদ জানায়। পুরা মার্চ মাস পশ্চিম পাকিস্তানে তখন জ্বালাও পোড়াও তুঙ্গে ঢাকায় যা ২২ ফেব্রুয়ারী স্তিমিত হয়ে গিয়েছিল। সে সময় জুলফিকার আলী ভুট্টো একটি প্রস্তাব নিয়েই এগুচ্ছিলেন আইউব সরে গেলে সংবিধান অনুযায়ী স্পীকার আব্দুল জব্বার খান প্রেসিডেন্ট হোক। ভাসানি নাকি ইয়াহিয়ার পক্ষে ওকালতি করছিলেন যা তখন পত্রিকায় প্রকাশ না হলেও পরবর্তীকালে পত্রিকায় প্রকাশ হয়েছে এবং বই পুস্তকেও বর্ণীত আছে। অবশ্য তখন মওলানা সেনাবাহিনীর ক্ষমতা নেয়ার ব্যাপারে লোকদেখানো হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিলেন। 

মওলানা পশ্চিম পাকিস্তানে তখন যে ভাষণ দিচ্ছিলেন তা ছিল আজ বামপন্থী, কাল ইসলামিক, পরশু আরেক ইসলামিক কমুনিজম আরেকদিন এর কোনটিও না। এধরনের ভাষণে ক্ষিপ্ত হয়েই শাহিওাল রেল স্টেশনে একদল সাধারন রাজনৈতিক কর্মী তার উপর হামলা করে। মওলানাকে মুলতান রেল হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল। ডাক্তার কোন ইনজুরি পায়নি। মারের ধরন ছিল ধাক্কাধাক্কি গালিগালাজ গুঁতাগুঁতি বোতল ছুড়ে মারা ( তখন কিন্তু প্লাস্টিক বোতল ছিলনা)। আঘাতের কোন চিহ্ন শরীরে না পাওয়ায় মামলার ভিত্তি ছিল না এবং মামলা পরে যথারীতি খারিজ হয়ে যায়। রাজনৈতিক দলগুলো জামাতকে দায়ী করলেও জামাত তা অস্বীকার করে। সে সময় ন্যাপ এর সকল নেতাই মাহমুদ রাজা কাসুরি নেতৃত্ব এ পিপিপিতে চলে যাচ্ছিল এবং ন্যাপ অত্যন্ত দুর্বল হয়ে যায়।  একজন পূর্ব পাকিস্তানী পশ্চিম পাকিস্তানে নাজেহাল হলেও পশ্চিম পাকিস্তানী কোন বড় নেতা কোনোদিন পূর্ব পাকিস্তানে নাজেহাল হননি।

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!