You dont have javascript enabled! Please enable it! 1948.09.11 | শেখ মুজিবের কারাজীবনের হিসাব বিতর্ক - সংগ্রামের নোটবুক

শেখ মুজিবের জেল জীবনের উপর আরেকটি ভুয়া গ্রাফ। 

বলার কিছু নাই করারও কিছু নাই সংসদেও তোফায়েল আহমেদ একটি গোঁজামিল হিসাব দিয়েছেন। ৫৪ সালের পর এতদিন ছিলেন ৬৪ সালের পর এতদিন ছিলেন এভাবে। বড় বড় কলামিস্টরাও প্রথম আলো, কালের কণ্ঠ, বিডি নিউজ গোঁজামিল হিসাব দিয়ে লিখেছেন। এক কলামিস্ট কাম টক শো পারফরমার বলেছেন অসমাপ্ত আত্মজীবনী ১৯৫৫ সন পর্যন্ত। তাহলে সেখানে যুক্ত ফ্রন্ট গঠন নির্বাচন মন্ত্রীসভা গঠন ও বাতিল, শেখ মুজিবের গ্রেফতার এগুলি নাই কেন? 
এই গ্রাফের ভুল গুলি 
১৯৫০-৫৩ঃ ৩৬ মাসে ২৬ মাস। তা হলে শেখ মুজিবের অসমাপ্ত আত্মজীবনী ভুয়া হয়ে যায় না? 
১৯৬৪-৬৫ এর ২৪ মাসের মধ্যে ২০ মাস জেল। তা হলে মুজিব আলফা ইন্সুরেন্সে চাকরী করে নাই? পত্রিকায় আওয়ামী লীগ পুনর্গঠন নিয়ে সারা দেশ সফর। কপ গঠন একাধিকবার পশ্চিম পাকিস্তানে যাওয়া। দল ও জোটের এত মিটিং কি ভুয়া। ফাতেমা জিন্নাহকে নিয়ে সারা দেশ সফর সব ভুয়া। ৬৫ যুদ্ধের সময় শেখ মুজিব মুক্ত অবস্থায় রাজনীতি করেছেন তাও ভুয়া। 
১৯৬৭ভুলে (৬৬ লিখছে)-৬৯ঃ ৩৬ মাসের মধ্যে ২৯ মাস জেলে। তা হলে ৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারী মুক্তি পাননি? 
১৯৭১ সালে ১১ মাস জেলে। তো স্বাধীনতা ঘোষণা কি ২৬ জানুয়ারী করেছিল।

সঠিক হিসাব (অসমাপ্ত ঠেকার কাজ চালানোর জন্য করা হয়েছে ) 
১১ সেপ্টেম্বর ১৯৪৮ থেকে ১১ জানুয়ারী ১৯৪৯= 
১৯ এপ্রিল ১৯৪৯ থেকে ২৮ জুন ১৯৪৯ = 
২৫ অক্টোবর ১৯৪৯ থেকে ২৭ ডিসেম্বর ১৯৪৯ = 
১ জানুয়ারী ১৯৫০ থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারী ১৯৫২ = 
৩০ মে ১৯৫৪ থেকে ২৩ ডিসেম্বর ১৯৫৪ = 
১১ অক্টোবর ১৯৫৮ থেকে ২৭ ডিসেম্বর ১৯৫৯ = 
৬ ফেব ১৯৬২ থেকে ১৮ জুন ১৯৬২ = 
১৮(২৮) ডিসেম্বর ৬৪ থেকে ১৯৬৫ এর ৩ জানুয়ারী= 
৮ মে ১৯৬৬ থেকে ২২ ফেব্রুয়ারী ১৯৬৯।
২৬ মার্চ ১৯৭১ থেকে ৮ জানুয়ারী ১৯৭২= 
২৭ ডিসেম্বর ১৯৫৯ মুক্তি পাওয়ার পর তার গতিবিধি পুলিশকে রিপোর্ট দেয়ার কারনে পরবর্তী কয়েকমাসকে অনেকে কারাজীবন গণ্য করে বাস্তবে ইহা কারা জীবন নয়।