You dont have javascript enabled! Please enable it!

বাংলার বাণী
ঢাকা: ২৫শে ডিসেম্বর, মঙ্গলবার, ৯ই পৌষ,১৩৮০

জাতির স্বার্থে উৎসর্গকৃত প্রাণ

রাষ্ট্রপতি বিচারপতি জনাব আবু সাঈদ চৌধুরী গতকাল জাতির বৃহত্তর স্বার্থে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন৷ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকালীন ত্যাগ, তিতিক্ষা, সংগ্রাম ও সাধনার জলন্ত প্রতীক বিচারপতি জনাব চৌধুরী প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে লেখা চিঠিতে বলেছেন, “আপনার সঙ্গে আলোচনার পর এবং জরুরি জাতীয় স্বার্থের তাগিদে আমি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে পদত্যাগ করছি। যাতে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় যেভাবে বাংলাদেশের সেবা করতে প্রয়াসী হয়েছিলাম তেমনি আবার করতে পারি।” প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিচারপতি জনাব চৌধুরীর জবাবে লিখেছেন, “সত্যিই সৌভাগ্যের কথা যে, বাংলাদেশে আপনার ন্যায় একজন মহৎ ও বিশেষ সম্মানিত নাগরিককে রাষ্ট্রপতি হিসেবে পেয়েছিল। এই পদে দায়িত্ব পালনে আপনি যে মর্যাদাবোধ ও আদর্শ নিষ্ঠার পরিচয় দিয়েছেন তা সমগ্র জাতি সপ্রশংস কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করবে।”
বাহাত্তর সালের ১২ই জানুয়ারি বিচারপতি জনাব চৌধুরী রাষ্ট্রপতির গুরুভার দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। পাক হানাদার বাহিনীর নজিরবিহীন ধ্বংসলীলায় বিধ্বস্ত ও বিপর্যস্ত বাংলাদেশকে সুখ-সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাবার উদ্দেশ্যে বিচারপতি জনাব চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে এগিয়ে এসেছিলেন দেশ ও জাতির সেবা করতে। এমন একটি দুর্যোগময় মুহূর্তে তিনি রাষ্ট্রপতির গুরুভার দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন যখন এক সাগর রক্তের বিনিময়ে সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত বাংলাদেশের সম্মুখে ছিলো সমস্যার ও সংকটের পাহাড়। প্রায় ১ কোটি মানুষের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও তাদের পুনর্বাসনের সমস্যা, বিপর্যস্ত প্রশাসন যন্ত্রের পুনর্গঠন, আইন ও শৃংখলা পরিস্থিতি থেকে আরম্ভ করে সম্ভাব্য দূর্ভিক্ষ প্রতিরোধের মতো কঠিন সমস্যা ছিল দেশের সম্মুখে।
এমন একটি সংকট ও সমস্যার ক্রান্তিলগ্নে বিচারপতি জনাব চৌধুরী তার দায়িত্ব সঠিকভাবেই পালন করে গেছেন। পরবর্তী সময়ে সংবিধান প্রণয়ন, সাধারণ নির্বাচন এবং নবীন জাতির জন্য বিশ্বজনীন স্বীকৃতি ও পাকিস্তানে আটক বাঙ্গালীদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মত সমস্যাগুলোর সমাধান তারই আমলে হয়েছে। তাছাড়া এ সময়ের মধ্যে বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে অভাবনীয় সাফল্যের সূচনাও হয়েছে। আজ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি জানিয়েছে একশ’রও বেশি দেশ। স্বাধীনোত্তর কালে যেমন তেমনি প্রাক স্বাধীনতা পর্বেও বিচারপতি জনাব চৌধুরী ন্যায়নীতি ও আদর্শ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। জল্লাদ শিরোমনি ইয়াহিয়া খানের বর্বর বাহিনী একাত্তরের পঁচিশে মার্চ তারিখে নিরীহ নিরপরাধ ও নিরস্ত্র জনসাধারণের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল মেশিনগান, ট্যাঙ্ক আর কামান নিয়ে। ‘মানুষ চাই না মাটি চাই’ এই অমানবিক ও পাশবিক নীতি অবলম্বন করে হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতির অস্তিত্বকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল সেদিন। বিচারপতি চৌধুরী সেদিন ছিলেন দেশের মাটি থেকে অনেক দূরে। সুদূর জেনেভায়। জেনেভা থেকে লন্ডনে প্রত্যাবর্তন করে বিচারপতি জনাব চৌধুরী তীব্র প্রতিবাদে ফেটে পড়েছিলেন। বিশ্ববাসীকে ডাক দিয়েছিলেন ইয়াহিয়ার অত্যাচার-অবিচার, শোষণ শাসন আর ব্যাপক গণহত্যার বিরুদ্ধে এগিয়ে আসার জন্য। একাত্তরের অগ্নিঝরা দিনগুলোতে ব্রিটিশ টেলিভিশনের এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ইয়াহিয়ার বর্বর বাহিনীকে বঙ্গোপসাগরে ডুবিয়ে মারতে বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষ বদ্ধপরিকর। বাংলার প্রতিটি মানুষ আজ স্বাধীনতার দূর্জয় শপথে দীপ্ত।
বাংলার স্বাধীনতাকে কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না। জয় আমাদের সুনিশ্চিত। বিচারপতি জনাব চৌধুরী সেদিন উল্কার মতো ছুটে বেড়িয়েছিলেন বৃটেনের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত। ছুটে গেছেন জাতিসংঘের সদর দফতরে। বিশ্ব জনমত গঠনের জন্য সেদিন কঠোর পরিশ্রম করেছেন। সেদিন তিনি স্বাধীনতা সূর্যকে ছিনিয়ে আনার জন্য যে আদর্শ ও ন্যায়নিষ্ঠার সংগ্রামে লিপ্ত হয়েছিলেন তা কোন দিনই ভুলবার নয়৷ বাঙালি জাতি সে কথা চিরদিন স্মরণ রাখবে। বাহাত্তরের ১০ই জানুয়ারি ইয়াহিয়ার কারাগার থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করার পর বিচারপতি জনাব চৌধুরী সোহরাওয়ার্দী ময়দানের জনসভায় বঙ্গবন্ধু হাতে তুলে দেন প্রবাসী বাঙালিদের দেওয়া ২ লক্ষ পাউন্ডের একটি চেক। সে দিনকার সেই ২ লক্ষ পাউন্ড বাংলাদেশের জন্য ছিল সোনার চেয়ে দামি ধনের মত।
বিচারপতি জনাব চৌধুরীর রাষ্ট্রপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য কোন কোন মহলে জল্পনা-কল্পনার সূত্রপাত হয়তো হতে পারে ৷ কেউ কেউ কল্পনার ফানুসও উড়াতে পারেন। কিন্তু এক্ষেত্রে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান হবে বিচারপতি জনাব চৌধুরী ও বঙ্গবন্ধুর লেখা দুটি চিঠিতে। চিঠি দুটোতে স্পষ্টভাবেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থেই বিচারপতি জনাব চৌধুরী পদত্যাগ করেছেন। বিচারপতি জনাব চৌধুরী বিদেশে বাংলাদেশের বিশেষ প্রতিনিধিরূপে দায়িত্বভারও গ্রহণ করেছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, তেল সংকটের আবর্তে বিশ্বের সব দেশগুলোই আজ নিমজ্জিত। বাংলাদেশ বিশ্বের বাইরের কোন দেশ নয়। বাংলাদেশেও এ সংকটের ঝাপটা লাগবে। বাংলাদেশ এখনো পর্যন্ত জাতিসংঘের সদস্যপদ পায়নি। তাছাড়া আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সদ্য স্বাধীনপ্রাপ্ত বাংলাদেশের ভূমিকাও কম নয়। এমনি অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি জনাব চৌধুরীর মতো ব্যক্তি সম্পন্ন জ্ঞানী গুণীরই আজ প্রয়োজন। আর এ দায়িত্ব জনাব চৌধুরী চৌধুরী সেচ্ছায় গ্রহণ করেছেন বলে আমরা আনন্দিত। আমরা তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।

কারিগরী ও প্রকৌশলী শিক্ষায় সমতা বিধান

আধুনিক যান্ত্রিক জগতে বিজ্ঞানী, কারিগরি বা প্রকৌশলী প্রশিক্ষণের সম্প্রসারণ বা প্রশিক্ষিত জন-সম্পদের উপযুক্ত ও পর্যাপ্ত সদ্ব্যবহার বা স্থানায়ন যন্ত্র ও বিজ্ঞানের সমানই গুরুত্বপূর্ণ ও মূল্যবান। বিশেষ করে, বাংলাদেশের মমতা সদ্য-স্বাধীন বা উন্নয়নশীল দেশে যে কোন সার্বিক জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে গেলে বা তা’ প্রকৃতই বাস্তবায়িত করতে গেলে এদিকের প্রতি কনক্রমেই অলক্ষ্য রাখা চলেনা। আবার, এক্ষেত্রে দেশে ঠিক কি পরিমাণ প্রশিক্ষণ ও প্রশিক্ষণের প্রয়োজন তারও একটি টেকনিকাল ডাটা নিরূপণ করে তদানুযায়ী পরবর্তী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা বা কর্মে নিয়োজিত হবার সুযোগ সৃষ্টি করা ও উভয়ের মধ্যে সমতা সংবিধানের জন্য একান্ত অপরিহার্য। তা না হলে অসম পরিকল্পনাজনিত যে কোনো কারিগরি বা প্রকৌশলী প্রশিক্ষার অংগনে নানান অসুবিধা, গণ-রোষ ও হানাহানি হতে বাধ্য এবং এ জন্য সরকার বা কর্তৃপক্ষের অপর এক অপ্রিয় ঝুঁকি বা দায়িত্ব আসাও অত্যন্ত স্বাভাবিক।
সুতরাং, সরকার বা কর্তৃপক্ষকে প্রথমেই লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে শুধুমাত্র প্রশিক্ষণ দানের খাতিরেই যেন বছর বছর একগাদা প্রশিক্ষিত যুবক সৃষ্টি করা না হয় এবং সেই সঙ্গে প্রশিক্ষিতদের কর্মসংস্থানেরও যেন উপযুক্ত ব্যবস্থা করা হয় কিম্বা অচিরে কর্মলাভের সুযোগকেও প্রশস্ত করা হয়। বলতে গেলে এও একটা ফ্যামিলি প্লানিং বা পরিবার পরিকল্পনা। বছর বছর এবং ডজন ডজন সন্তান প্রজনন যেমন কোনো কৃতিত্বের বিষয় নয় কিম্বা তা যেমন কোনো অর্থেই প্রকৃত দেশের পক্ষে কল্যাণকর নয়, তেমনি কারিগর বা প্রকৌশলী সৃষ্টির ক্ষেত্রেও একটি নির্দিষ্ট প্ল্যানিংয়ের প্রয়োজন। কোনো জন্মদাতা অহেতুক একগাদা সন্তানের প্রজনন দিয়ে তাদের সবার জন্য সমান ও উপযুক্ত ব্যবস্থা করতে না পারলে যেমন জীবনভর সন্তানদের অভিসম্পাতে জর্জরিত হন এবং সংসারে অকল্পনীয় জঞ্জাল ও অশান্তির সৃষ্টি হয়, তেমনি আমাদের কারিগরি বা প্রকৌশলী শিক্ষা ক্ষেত্রে সু-পরিকল্পিক বা সু-উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে আমাদের জাতীয় জীবনে নানান অসুবিধা সৃষ্টি হতে বাধ্য৷
পূর্ব পরিকল্পনা থাকলে যেমন অপ্রয়োজনীয় প্রজনন নিরোধ করা সম্ভব হয় এবং পক্ষান্তরে অনাদৃত ও দুঃখে জর্জরিত সন্তানদের অভিসম্পাত এড়ানো যায়, তেমনি আমাদের বিজ্ঞান, কারিগরি বা প্রকৌশলী শিক্ষা ক্ষেত্রেও ইচ্ছে করলে একটি সমতা রক্ষা করা যায় এবং অপ্রিয় অবস্থা বা পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব হয়। কারণ, শিশু ভূমিষ্ঠ হলেই তার জীবন ধারণ ও বিকাশের জন্য প্রকৃতিগতভাবে বা অবশ্যম্ভাবীভাবে উপযুক্ত আহার ও বিকাশ ক্ষেত্রের নিশ্চয়তা বিধান করতেই হয় এবং এটা তার জন্মগত অধিকার। এ অধিকার তাকে না দেয়া হলে সে স্বভাবতঃই অভাব বোধ করবেই এবং তারস্বরে প্রতিবাদ জানাবেই। সর্বোত্তম পন্থাঃ এক নির্দোষ শিশুকে নিজের অভাব ও অক্ষমতার জগতে অহেতুক আমন্ত্রণ না জানানো। এ প্রসঙ্গে গতকাল ‘বাংলার বাণী’তে প্রকাশিত প্রথম পৃষ্ঠার প্রথম সংবাদটি নিয়ে একটু পর্যালোচনা করা যাক।
সংবাদে প্রকাশ, বাংলাদেশে ঠিক এই মুহূর্তে ২০ হাজার ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারের প্রয়োজন। কিন্তু দেশে আছে মাত্র ১৩ হাজার পাশ করা ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার। প্রয়োজনের অনুপাতে ডিপ্লোমা পাশ প্রকৌশলীর সংখ্যা শতকরা ৩৩ ভাগ কম হওয়া সত্ত্বেও, বাংলাদেশে এখনো ৬ ডিপ্লোমা পাশ প্রকৌশলী বেকার রয়েছেন৷ অর্থাৎ মাত্র ৭ হাজার প্রকৌশলী চাকরিতে বহাল হতে পেরেছেন এবং বাকি সব বেকারত্বের অভিশাপে জর্জরিত, কন্ঠে তাদের তীব্র প্রতিবাদ। সম্প্রতি প্রকাশিত প্রথম পাঁচশালা পরিকল্পনার রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে বাংলাদেশে একজন ডিগ্রী ইঞ্জিনিয়ারের সাথে চারজন ডিপ্লোমা ও ২৫ জন দক্ষ শ্রমিকের প্রয়োজন। অর্থাৎ আনুপাতিক হার ১ঃ৪ঃ২৫। সুতরাং, বাংলাদেশ যেখানে আছে চার হাজার ডিগ্রী ইঞ্জিনিয়ার চাকুরীরত আছেন সেখানে ষোল হাজার ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারের প্রয়োজনে। ’৭৮ সালের মধ্যে আমাদের মোট ৬ হাজার ডিগ্রী ইঞ্জিনিয়ারের প্রয়োজন। সে হিসেবে ২৪ হাজার ডিপ্লোমাধারীদেরও কর্মসংস্থান হওয়া প্রয়োজন।
এসব বিভিন্ন সমস্যা দূর করণের জন্য ও শিক্ষানীতি পর্যালোচনা করার জন্য আজ মঙ্গলবার ঢাকায় ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের একটি বার্ষিক সম্মেলন হতে যাচ্ছে। এরা দাবি তুলেছেন বাংলাদেশে প্ল্যানিং, ডিজাইন ও রিসার্চের জন্য ঠিক কত ডিগ্রী ইঞ্জিনিয়ার দরকার এবং বিভিন্ন প্রকৌশলী মহাবিদ্যালয়ে ও পলিটেকনিকে ঠিক কতজন শিক্ষক দরকার, কত ডিপ্লোমা প্রকৌশলী দরকার, তার একটি স্পষ্ট পরিসংখ্যান ঘোষণা করতে হবে এবং সে অনুপাতে ছাত্রভর্তির ব্যবস্থা করতে হবে। আমাদের উল্লেখিত আলোচনার আলোকে নিঃসন্দেহে এ দাবী ন্যায়সঙ্গত এবং অচিরেই কর্তৃপক্ষ এদিকে শুভ দৃষ্টি দেবেন বলে সবাই প্রত্যাশা রাখে। সেই সঙ্গে আরো লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে আমাদের দেশে কোন রকমের জনসম্পদের বা প্রকৌশলী ও কারিগরী জ্ঞানের যেন অহেতুক অপচয় না হয় এবং সমস্ত জ্ঞান ও সম্পদকে দেশের প্রকৃত ও সার্বিক কাজে সর্বাঙ্গীন সুন্দরভাবে সদ্ব্যবহার করা যায়।

কালেক্টেড অ্যান্ড ইউনিকোডেড বাই- সংগ্রামের নোটবুক

পত্রিকার মূল কপি পড়তে এখানে ক্লিক করুন 

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!