২৫ মার্চের আগে আওয়ামী লীগের প্রস্তুতি
সমালোচকরা বলে থাকেন আওয়ামী লীগ বা শেখ মুজিবের স্বাধীনতার কোন প্রস্তুতিই ছিল না। যাদের সাথে যুদ্ধ তারা আবার শ্বেতপত্র প্রকাশ করে বলে ১ মার্চ থেকেই আওয়ামী লীগের স্বাধীনতার প্রস্তুতি ছিল। পাকিস্তানী জেনারেলরা অনেক বই প্রকাশ করে সবই প্রকাশ করে দিয়েছেন। পরাজিত পক্ষের জেনারেলরা বিজয়ী ভারত বা বাংলাদেশের সেনা অফিসারের চাইতে বেশি বই লিখেছেন। আমার এক পোস্টে আমি লিখেছিলাম যুগপৎ ২৫ মার্চ ক্র্যাক ডাউনের সাথে সাথেই বা কোন ক্ষেত্রে আগেই আওয়ামী লীগ বা তাদের অনুগত সামরিক বা বেসামরিক বাহিনী কমপক্ষে ৭০০ পাকিস্তানী বেসামরিক/ সামরিক অফিসার, এনসিও, জওয়ান হত্যা করে জানান দিয়েছে আমরা কিন্তু স্বাধীনতার যুদ্ধ শুরু করে দিয়েছি। এদের মধ্যে অন্তত ১০০ জন ২৫ মার্চের কাল রাত্রের আগেই নিহত হয়। এরকম ঘটনা ঘটেছে গাজীপুর সমরাস্র্ কারখানায়, টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসনে ও সেখানে মোতায়েন ২ ইষ্ট বেঙ্গলের ১ কোম্পানিতে, রংপুর ২৯ কেভেলরি ও ৩ বেঙ্গলের ২ টি কোম্পানিতে, দিনাজপুরে ২ জন আর্মি অফিসার সহ ই পি আর পোস্ট গুলিতে, চট্টগ্রামে বিক্ষিপ্ত ভাবে , কুষ্টিয়া, ব্রাহ্মানবারিয়া, খুলনায় (সাতক্ষীরা সহ)।
ছবিতে দুই জন ২৫ মার্চের রাত্রের আগেই স্বাধীনতাকামী আওয়ামী কর্মীদের হাতে নিহত। আব্বাস ১৮ তারিখে আহত হন ২-১ দিন পর মারা যান ছবিতে মারা যাওয়ার তারিখ ২৫ মার্চ ভুল। রংপুরের আব্বাস হত্যার জের ধরে তারা সেখানে ২৫ মার্চের আগেই পাক বাহিনী গণহত্যা চালাইয়াছিল।