সাবেক পূর্ব পাকিস্তান চীফ সেক্রেটারি এস এম শফিউল আজম কে জাতীয় সংসদের সচিব করা হয় এই দিন।
এস এম শফিউল আজম
১৯৭১ সালের আগস্ট পর্যন্ত তিনি সাবেক পূর্ব পাকিস্তানের চিফ সেক্রেটারি ছিলেন। টিক্কা খানের শপথের কার্যক্রম তাহার হাতে সম্পন্ন। ১৯৭৩ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশে আসার প্রাক্কালে চাকুরীর নিশ্চয়তা আছে কিনা খোজ খবরে নিয়া জানেন তিনি বাংলাদেশীই নন। তিনি পরে বাংলাদেশে আসেন। চাকরি কবে ফিরে পান তা জানা যায় নাই। ১৯৭৫ সালের ২৭ আগস্ট এইচ টি ইমামের পরিবর্তে বাংলাদেশ সরকারের ক্যাবিনেট সেক্রেটারি এবং ১৯৭৬ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত টানা ১০ বছর শিল্প, বাণিজ্য, পাট, বস্ত্র, যোগাযোগ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, পরিকল্পনা, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী কিংবা উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তারা ৮০ জনের তাবলীগের একটি দল গিয়েছিলেন পাকিস্তানীদের হাইব্রিড মুসলমান বানাইতে। যাওয়ার ৩ মাসের মাথায় দেখল তাদের দেশ আর নাই। ভুটটো ঘোষণা দিলেন বাঙালি ধরাইয়া দিতে পারিলে জন প্রতি নগদ ১০০০ রুপি। আর যায় কোথায় তাদের যায়গা হইল ক্যাম্পে। টানা দেড় বছর পর সিমলা চুক্তির পর প্রথম বাঙালি দল হিসাবে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করে। ২-৩ জন বাদে সব নোয়াখালীর। জব্বার খদ্দর, জাস্টিস বাকের, হামিদুল হক, অবায়দুল্লাহ মজুমদার, ইব্রাহিম হোসেন জাঁদরেল পাকিস্তানী নেতাদের এলাকার ছিল তারা।