You dont have javascript enabled! Please enable it!

ওমেগা টিম (ভিডিও)

অপারেশন ওমেগা

পল কনেট, অ্যালান কনেট, মারিয়েটা প্রকোপি ও আরো কয়েকজনকে নিয়ে গঠিত হয়, অ্যাকশন কমিটি বাংলাদেশের অধীন, “অপারেশন ওমেগা’। এই সংস্থার উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তানী আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্থদের সাহায্য পৌছানো। ১ আগস্ট অ্যাকশন ট্রাফালগার স্কোয়ারে এক সমাবেশ করে। সেখান থেকে ওমেগার সদস্যরা রওয়ানা হল বাংলাদেশের। দিকে। ১৭ আগস্ট পশ্চিমবঙ্গ সীমান্ত দিয়ে ওমেগা বা পিসটিমের কয়েকজন সদস্য সাহায্য নিয়ে বাংলাদেশ প্রবেশ করেন। পাকিস্তানী সৈন্যরা সঙ্গে সঙ্গে তাদের গ্রেফতার করে। একদিন আটক রাখার পর তাদের মুক্তি দেয়া হয়। এই দলে ছিলেন ৮ জন ব্রিটিশ ও ৩ জন মার্কিন নাগরিক। ৫ সেপ্টেম্বর ওমেগার চারজন তাদের পিঠের ব্যাগে প্রতীকী সাহায্য নিয়ে আবার পেট্রাপোল দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। ৪০০ গজ এগোনোর পর পাকিস্তানী সেনারা তাদের ঘিরে ফেলে। এই চারজন হলেন ৩২ বছরের ক্রিশ্চিন প্র্যাট, তিনি পারিবারিক ছোট গ্যারেজ ব্যবসায় সেক্রেটারি হিসেবে লন্ডনে কাজ করতেন। ২৪ বছরের জয়েস কেনিওয়েল, [ভারতে তিনি দু’বছর ছিলেন। অ্যাংলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অংকে ডিগ্রি নিয়েছিলেন। ২৪ বছরের বেন ক্রো] ক্যামডেন কাউন্সিলের ট্রাফিক ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করতেন এবং ২৬ বছরের ড্যান ডিউ, মার্কিন নাগরিক। একরাত তাদের আটক রেখে পরদিন সীমান্তে ফেরৎ পাঠানো হয়।একই দিন সীমান্তের অন্য এক অংশ দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন ৩ জন। এরা হলেন, ৩৭ বছরের মার্কাস ডুরান। ১০ বছর সেনাবাহিনীতে চাকরির পর পুলিশে চাকরি নিয়েছিলেন। একজন স্বেচ্ছাসেবী কর্মী ২০ বছরের গর্ডন স্লেভেন ও ২৩ বছরের ক্লিয়ার স্কেলে। এদেরও আটক করা হয়। পরে অবশ্য তারা মুক্তি লাভ করেন।
ওমেগার সদস্যদের লক্ষ্য ছিল শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ। এবং এ ঘটনার মাধ্যমে তারা বাংলাদেশ অবস্থার প্রতি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছিলেন। তবে, আবদুল মতিন জানিয়েছেন, স্বেচ্ছাসেবীদের মধ্যে তিনজন ১৬ ডিসেম্বরের পরে মুক্তি লাভ করেন।

সূত্র: আবদুল মতিন
Daily Telegraph, 6.9.71
Financial Times, 12.8.1971
মুক্তিযুদ্ধের ১৩ নং সেক্টর, pp. 132-133

 

 

 

 

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!