৬ পৌষ ১৩৭৮ বুধবার, ২২ ডিসেম্বর ১৯৭১
The Government of Bangladesh issued on Dec. 22 a list of proposed measures to deal with immediate tasks. An interim constitution would be adopted, it stated, and would include clauses protecting the rights of minority groups. Special courts would be set up to try war criminals and collaborators; the property of those found guilty would be confiscated, and agricultural land acquired in this way would be distributed among landless peasants. The statement gave a warning against black market activities and profiteering, and said that government officials would tour camps in India to arrange for the return of the refugees. A number of Policy decisions were announced during the next few days.
মুজিবনগর থেকে ভারতীয় বিমানবাহিনীর বিমানে বিপ্লবী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রীসভার সদস্যগণ বিকেল ২টা ৩৮ মিনিটে তেজগাঁ বিমানবন্দরে পৌঁছেন। উল্লেখ্য শত্রুমুক্ত বাংলাদেশে বেসামরিক প্রশাসন প্রতিষ্ঠা এবং তাঁর আশু করণীয় নির্ধারণের জন্য ২২ নভেম্বর বাংলাদেশ মন্ত্রীসভা সচিবদের সমবায়ে যে সাব-কমিটি গঠন করেছিলেন, সেই সাব-কমিটি এবং পরিকল্পনা সে পাশাপাশি নিরবিচ্ছিন্নভাবে এ যাবৎ কাজ করে চলেন।
ফলে বেসামরিক প্রশাসন এবং আইন ও শৃঙ্খলার পুনঃ প্রতিষ্ঠা, যোগাযোগ ও পরিবহণ ব্যবস্থার পুনঃস্থাপন, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের পুনরুজ্জীবন, শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তন ও পুনর্বাসন, খাদ্য ও জ্বালানিসহ জরুরী পণ্য সরবরাহকৃ অস্ত্রশাস্ত্রের পুনরুদ্ধার, জাতীয় পুনর্গঠনের কাজে মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়োগ প্রভৃতি বিষয়ে সচিব, সাব কমিটি ও পরিকল্পনা সেলের সুপারিশসমূহ মন্ত্রীসভায় প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্তের পর জেলা পর্যায়ে জরুরী করণীয় ও দায়িত্ব সম্পর্কে জেলা প্রশাসকদের প্রতি নির্দেশপত্র প্রেরিত হয়। ৭ ডিসেম্বর যশোর মুক্ত হওয়ার পর থেকে ১৫ ডিসেম্বর মধ্যে উনিশটি জেলার জন্য জেলা-প্রশাসকদের মনোয়ন ও নিয়োগ সম্পন্ন হয়। ১৭ ডিসেম্বর ঐসব জেলার সহকারী প্রশাসক পর্যায়ে নিয়োগ করা হয়। আরো ছয়চল্লিশ
Dec 19 “The time has come when President Yahya Khan must quit. I hold him responsible for this chaos. He produced the perfect solution for the dissolution of Pakistan…….. I do not want him to be hurt physically, but unless we call him to account it will be easy for
Someone else to come along with a gun and assume power. He has to be given a full and fair trial, and if he is found guilty the punishment he deserves. That is the only way we can save the one half of the country we have left. বিপ্লবী বাংলাদেশ সরকারের সেক্রেটারী জেনারেল জনাব রুহুল কুদ্দুসের নেতৃত্বে স্বল্পসংখ্যক অফিসার ও কর্মচারীর উপস্থিতিতে ঢাকার কেন্দ্রীয় সেক্রেটারীয়েট প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু হয়। ঢাকার অফিস-কাছারী খুলতে শুরু করে। ওদিকে পাকিস্তানের ইয়াহিয়ার বিরুদ্ধে বিক্ষোভে সারা পশ্চিম পাকিস্তান টলমল। মিঃ ভুট্টোকে দেশে ফেরার জন্য ওয়াশিংটনে জরুরী তলব পাঠানো হয়েছে মর্মে খবর জানা যায়। উল্লেখ্য বেসামরিক প্রশাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠার কর্মসূচী কাগজপত্রে যত নির্ভুলভাবেই ব্যক্ত করা হোক, প্রায় ন’মাস দীর্ঘ এক রকক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধের পর সারাদেশের প্রশাসন, অর্থনৈতিক অবকাঠামো, কৃষি, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা ইত্যাদি প্রতিটি ক্ষেত্রেই তখন বিপর্যস্ত অবস্থা বিরাজমান।
আইন ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্য পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর শক্তি ছিল নামে মাত্র। দেশের আয়তন ও সমস্যার তুলনায় বাংলাদেশের নিজস্ব সৈন্যবলও ছিল অতিশয় নগণ্য। দেশের অফিস-আদালত ছিল জনশূন্য, ডাক বিভাগ সম্পূর্ণ বন্ধ; তার বিভাগ প্রায় আচল; অসংখ্য ব্রিজ ও সেতু বিধ্বস্ত হওয়ায় রেল ও সড়ক পথে যোগাযোগ প্রতিপদে বিঘ্নিত; সচল অসামরিক বাস ও ট্রাক বিরল বস্তু; যান্ত্রিক জলযান প্রায়শঃই জলমগ্ন অথা বিধ্বস্ত; ব্যাংক বন্ধ ৩ ডিসেম্বর থেকে; প্রচলিত মুদ্রার আইনগত কোন মূল্য নেই; স্বর্ণ ও বৈদেশিক মুদ্রা তহবিল বলতে কোন কিছুর অস্তিত্ব নেই; কল-কারখানা সব বন্ধ; বন্দর অচল ও বহির্বাণিজ্য নিশ্চল। অন্যদিকে পাকিস্তানী নির্যাতনের কবল থেকে জীবন ও সম্ভ্রম রক্ষার প্রচেষ্টায় দেশের ভিতরেই তখন দেড় থেকে দু’কোটি লোকের উদ্বাস্তু দশা; ভারতে আশ্রয়লাভকারী এক কোটি শরণার্থীকেও সেখানকার সাধারণ নির্বাচনের আগে স্বদেশ ফিরিয়ে আনার তাগিদ রয়েছে। মোট প্রায় আড়াই থেকে তিন কোটি লোকের পুনর্বাসন ছিল দেশের জরুরী সমস্যাগুলির মধ্যে সর্ববৃহৎ। খাদ্যশস্যের ঘাটতি ৪০ লক্ষ টন বলে অনুমিত। স্বাধীনতা অর্জনের অব্যহতি পরে বাংলাদেশের দিগন্ত ছিল এমনই ঘোর মেঘাচ্ছান্ন। (মূলধারা ‘ ৭১ পৃঃ ২৩৯)
Reference:
একাত্তরের দশ মাস – রবীন্দ্রনাথ ত্রিবেদী