You dont have javascript enabled! Please enable it!

৯ আগস্ট ১৯৭১ঃ গেরিলা তৎপরতা 

ঢাকা শহর মুক্তি সেনা নামে একটি গুপ্ত সংস্থার প্রচার পত্র ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ প্রচার পত্রে সংগঠনটি জামাত মুসলিম লীগ কর্মী পাক দালাল রেডিও টেলিভিশন কর্মচারীদের মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। প্রচারপত্রে পশ্চিম পাকিস্তানী পণ্য বর্জন অবাঙ্গালীদের সাথে বাণিজ্য সম্পর্ক বন্ধ করা, সকল প্রকার কর দেয়া বর্জন ও উর্দু সিনেমা বর্জন, পাটের পরিবর্তে ধান চাষ করার এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়ার আহবান জানানো হয়। হোম ইকনোমিকস কলেজের গেটে লাগানো সাইক্লস্টাইল প্রচার পত্রে ঢাকা শহর জাতীয় সংগ্রাম কমিটির ব্যানারে পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস ১৪ আগস্ট হরতাল পালনের আহবান জানানো হয়।  শেখ মুজিবের বিচার বন্ধের দাবীতে সাইক্লস্টাইল প্রচার পত্র পাওয়া যায় আজিম পুর আজাদ অফিস বাস স্ট্যান্ডে। উক্ত প্রচারপত্রে শান্তি কমিটির সদস্যদের হুশিয়ার করে দেয়া হয় এবং ১৪ আগস্টের পরিবর্তে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস পালনের আহ্বান জানানো হয়।  ৩০০ বিদ্রোহীদের একটি দল নরসিংদীর মনোহরদি থানা আক্রমন করে।

তারা থানার সকল অস্র লুট করে থানায় আগুন জ্বালিয়ে দেয়।  গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থানায় বিদ্রোহীদের আক্রমনে পুলিশের একজন ডিআইও(ইন্সপেক্টর), ২ জন সাব ইন্সপেক্টর ১০ জন কনস্টেবল, ১০ জন রাজাকার, ২ জন স্থানীয় শান্তি কমিটি সদস্য নিহত হয়। ২ জন এএসআই ও ৮ জন কনস্টেবল আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশের আরেক উদ্ধারকারী দল সেখানে গেলে তাদের দলের ৩ জন কনস্টেবল বিদ্রোহীদের হাতে নিহত হয়। দলের বাকী সদস্যদের এখনো খোজ পাওয়া যায়নি।  ২০০ বিদ্রোহীদের একটি দল বগুড়ার আদমদিঘী থানা আক্রমন করে। পুলিশ পাল্টা আক্রমন করে এক পর্যায়ে পুলিশের গুলি শেষ হয়ে গেলে বিদ্রোহীরা কিছু অস্র ও অর্থ লুট করে। তারা স্থানীয় পোস্ট অফিসে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনায় কয়েকজন রাজাকার ও এক কনস্টেবল আহত হয়।  (পাকিস্তান সরকারের গোপন পাক্ষিক প্রতিবেদন)

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!