৮ আগস্ট ১৯৭১ঃ শ্রমিক লীগের বিবৃতি
ইয়াহিয়ার পাক বাহিনীর নিরীহ বাঙ্গালীদের নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা আন্দোলন ও যুদ্ধ অব্যাহত রয়েছে। লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত জনগনের এ প্রতিরোধ চলবে। মুক্তিকামী বাঙ্গালীর এ আন্দোলনে ৪০ লাখ শ্রমিক নিবেদিত আছে। ব্রিটিশ শাসন শোষণ এবং পরবর্তী পাকিস্তানী শাসন শোষণ নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলার অবিসংবাদিত নেতা শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালে বাংলার বাচার দাবী ৬ দফা ঘোষণা করেছিলেন। এর ফলে তাদের শাসন শোষণ নিপীড়নের মাত্রা আরও বেড়ে যায় এবং শেখ মুজিনুর রহমানকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় আটক ও বিচার করা হয়। পরে গন আন্দোলনের মুখে মামলা প্রত্যাহার ও শেখ মুজিবকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরুঙ্কুশ জয়লাভের পর শুরু হয় জুলফিকার আলী ভুট্টো ইয়াহিয়া ষড়যন্ত্রের নতুন খেলা। বাধ্য হয়ে আওয়ামী লীগকে দিতে হয় অসহযোগ কর্মসূচী।
ইয়াহিয়া বাংলার মানুষের গনতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করার জন্য ২৫ মার্চ কালো রাত্রিতে ঘুমন্ত বাঙ্গালির উপর আক্রমন করে হাজার হাজার লোক হত্যা করে। ফলে শুরু হয় স্বাধীনতার যুদ্ধ। তারা এ পর্যন্ত আদমজী পাটকল সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ১ লাখ শ্রমিক হত্যা করেছে। এমতাবস্থায় আমরা সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে আর্থিক ও বৈষয়িক সহায়তা চাই। দেশের বাহিরে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের স্বীকৃতির দাবীতে আন্দোলন গড়ে তুলুন। রাষ্ট্রপ্রধান শেখ মুজিবের মুক্তির দাবীতে আন্দোলন গরে তুলুন। পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করুন। সকল সামুদ্রিক জাহাজের কর্মচারীদের পাকিস্তানের বন্দর যাওয়া আসা পরিহার করুন। অস্র সহযোগিতা বন্ধ করুন। জয়বাংলা