বিভিন্ন রণাঙ্গনে মুক্তি ফৌজের সাফল্য অব্যাহত
আগরতলা, ৩রা আগস্ট (ইউ এন আই)-মুক্তিবাহিনী আজ শ্রীহট্ট রণাঙ্গনে কালচেরা টী এষ্টেটের কাছে পঞ্চাশজন পাক সৈন্যকে হত্যা ও দু-জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এদের মধ্যে একজন বালুচিও আছে। সীমান্তের ওপারে বাংলাদেশ মুক্তিফৌজের সদর দপ্তর থেকে পাওয়া খবরে জানা যায় যে, মুক্তিফৌজ পাক বাহিনীর কাছ থেকে একটি মেশিনগান, একটি এল এম জি, ছ’টি রাইফেল, আঠারাে হাজার কার্তুজ এবং বিরাট পরিমাণ খাদ্যদ্রব্য কেড়ে নিয়েছে। গতকাল মুক্তিবাহিনীর গেরিলা ইউনিট কুমিল্লা অঞ্চলে সালেয়া নদীতে দেশী নৌকায় অগ্রসররত সাতটি পাক বাহিনীর গতি রােধ করে। এর ফলে ৯০/জন পাক সৈন্য নদীতে ডুবে মারা যায়। ২৮শে জুলাই থেকে শুরু করে চার দিনে কুমিল্লার মান্দাভাগে একশােজনেরও বেশী পাক সৈন্য নিহত হয়েছে।
৩১শে জুলাই। গেরিলা বাহিনী কুমিল্লা জেলায় কুড়িজন পাক সৈন্যকে খতম করেছে। ২৯শে জুলাই নােয়াখালি জেলায় মুক্তি বাহিনী ও রাজাকারদের মধ্যে এক সশস্ত্র সংঘর্ষে আটজন রাজাকার নিহত হয়েছে। এদের কাছ থেকে দুটি রাইফেল ছিনিয়ে নেওয়া হয়। গতকাল কুমিল্লার আখাউড়া রণাঙ্গনের কাছে সিঙ্গের ঝিল অঞ্চলে বারােজন পাক সৈন্য নিহত হয় এবং মুক্তিবাহিনী বারােটি রাইফেল ও কিছু গােলাবারুদ ছিনিয়ে নেয়। গেরিলা বাহিনী কুমিল্লা জেলায় পঁচিশটি বিদ্যুৎ সরবরাহ যন্ত্র বিকল করে দেওয়ায় সমগ্র জেলা ও ময়নামতি ক্যান্টনমেন্ট অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে থাকে। গতকাল সকালে কুষ্টিয়া জেলার মেহেরপুর মহকুমার মুজিবনগর থেকে প্রায় ৬ কিলােমিটার দূরে কানিফনগরে মুক্তিফৌজ ও পাক বাহিনীর মধ্যে এক সংঘর্ষে অন্ততঃ সাতজন পাক সৈন্য নিহত হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ থেকে আমাদের নিজস্ব সংবাদদাতা, জানাচ্ছেন, গতকাল দিনাজপুরের পাক হিলি অঞ্চলে আটাপাড়ার কাছে মুক্তিফৌজ গেরিলারা তিনটি জায়গায় রেল লাইন উড়িয়ে দিয়েছে।
Reference:
৪ আগস্ট ১৯৭১, দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা