You dont have javascript enabled! Please enable it!

 

প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরও তার সংগে দেখা করার ব্যাপারে আমাকে কখনাে কোন সরকারি বাধ্যবাধকতা মানতে হয়নি। তার প্রেস সেক্রেটারী আবদুল তােয়াব খানকে ফোন করে প্রেসিডেন্টের সংগে দেখা করার ইচ্ছে প্রকাশ করলেই তিনি বলতেন, আপনি চলে আসুন। এক ফাঁকে দেখা হয়ে যাবে।’ দুপুরে যে কদিন গণভবনে গেছি, বঙ্গবন্ধুর সংগে না খেয়ে ফিরতে পারিনি। তিনি খুবই অল্প খেতেন। ভাত, একটা শাক, একটা মাছ অথবা মুরগীর ঝােল। শেষে পাকা পেপে অথবা দই অথবা একটু পুডিং। প্রেসিডেন্ট হাউসের রান্নাকরা  খাবার তিনি খেতেন না। দুপুরে তার খাবার আসতাে বত্রিশ নম্বর ধানমণ্ডির বাসা। থেকে। বেগম মুজিবের নিজের হাতে রান্নাকরা ভাত-তরকারি। একটা টিফিন কেরিয়ারে করে বাসা থেকে তার খাবার আসতাে। একদিন ওই টিফিন-কেরিয়ার। থেকে আমার পাতে ভাত তুলে দিয়ে মুজিব বলেছিলেন, “বিশ বছর ধরে এই টিফিন কেরিয়ারটা তােমার ভাবী আমাকে পাঠিয়েছেন জেলে। এখন পাঠাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট হাউসে।’

Source: ইতিহাসের রক্তপলাশ-পনেরই আগস্ট পঁচাত্তর – আবদুল গাফফার চৌধুরী

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!