You dont have javascript enabled! Please enable it!

‘আটলান্টিক স্লেভারি’ বনাম ‘সিনেসাইড’

Atlantic Slavery

ছবিতে দেখা যাচ্ছে গলায় কাঠের লক পরিয়ে অথবা হাতে-গলায় লোহার শিকল পরিয়ে হাঁটিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কিছু কালো মানুষদের। হয়ত এক সময় এটি ছিলো খুব সাধারণ বিষয়। গরু-ঘোড়ার কেনাবেচার মতো বেচাকেনা হত মানুষের। এক মহাদেশ থেকে আরেক মহাদেশে।

ষোড়শ থেকে উনবিংশ শতাব্দী পর্যন্ত লক্ষ লক্ষ আফ্রিকানদের ধরে ভৃত্য হিসেবে আমেরিকা ও বিভিন্ন জায়গায় বেচাকেনা করা হয়। ৩০০ বছরে প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিলিয়ন লোক মারা যায়।গবেষকরা এটিকে জেনোসাইড হিসেবে গণ্য করেন। ৩০০ বছরের এই সুদীর্ঘ জেনোসাইড হয়ত সিনেসাইডের (একাত্তরের গণহত্যার নামকরণ) তুলনায় সংখ্যায় বেশী হতে পারে। তবে অল্প সময়ে পরিকল্পিত ঢালাও গণহত্যায় একাত্তরের পাকিস্তানী আর্মি ও তার সাহায্যকারী বাহিনীর কর্মকাণ্ড নিশ্চই আলাদা স্থান করে নেবে। কারণ আটলান্টিক স্লেভারির চাইতে এখানে যা বেশী হয়েছে তা হচ্ছে বয়স, লিঙ্গ, বর্ণ বা ধর্ম কিছুই সিনেসাইডে আলাদা করা হয়নি। অর্থাৎ এটি শুধুমাত্র কৃষ্ণাঙ্গ বা পুরুষদের কাজ করানোর জন্য বেচাকেনা নয়। বরং এটি আরও অনেক বড় কিছু।

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!