৩০ জুলাই ১৯৭১ঃ সিলেটে শান্তি কমিটির সভা
সিলেট রেজিস্টার ময়দানে জেলাপরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও সদর মহকুমা শান্তি কমিটি আহ্বায়ক ডাঃ আবদুল মজিদের সভাপতিত্বে শান্তি কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন মওলানা আব্দুল লতিফ ফুলতলী, সাবেক মন্ত্রী আজমল আলী চৌধুরী, সাবেক মন্ত্রী আব্দুস সালাম, মওলানা হাসুনুল্লাহ, শান্তি কমিটির সদস্য নাজমুল হোসেন ও আব্দুল বারী। সভাশেষে রাজাকাররা কুচকাওয়াজ করে। সভায় বক্তারা ভারতীয় দুষ্কৃতিকারী দ্বারা কুমিল্লায় ব্যাপক গোলাবর্ষণের নিন্দা করা হয়। সভায় পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ব্রিটিশ প্রোপাগান্ডা বন্ধ করার আহবান জানানো হয়। সভায় কমনওয়েলথ থেকে পাকিস্তানকে প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানানো হয়।
সভার সভাপতি আব্দুল মজিদ বলেন ভারত পাকিস্তাঙ্কে ধ্বংসের জন্য যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। মওলানা আব্দুল লতিফ ফুলতলী জনগণকে কঠোর ইসলামী অনুশাসন পালন করার আহবান জানান। ইসলামী আদর্শ ধারন করেই পাকিস্তানকে রক্ষা করা সম্ভব। তিনি বলেন ব্রাহ্মণ্য বাদীদের কাছে হারের আগে মুসলমানেরা মৃত্যুকে বরন করে নেবে। আজমল চৌধুরী বলেন পাকিস্তান সৃষ্টির পর হতেই ভারত পাকিস্তান ভাঙ্গার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা ৬৫ সালে পরাজিত হয়েও শিক্ষা নেয়নি। তারা এখন প্রদেশে প্রশিক্ষিত অস্র ধারী অনুপ্রবেশকারী পাঠিয়ে দেশকে বিভক্ত করতে চাচ্ছে। তিনি সময়মত সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপের জন্য ইয়াহিয়াকে ধন্যবাদ জানান। সভায় আগত উরদু ভাষীদের জন্য বক্তৃতার তর্জমা করে শুনান মওলানা হাসুনুল্লাহ। সভায় মহকুমার সকল রাজাকারকে উপস্থিত করানো হয়।