You dont have javascript enabled! Please enable it! 1955.05.15 | যুক্তফ্রন্টের ভাঙ্গন ও অন্যান্য সংকট সম্পর্কে ভাষণ, ১৫ মে ১৯৫৫ - সংগ্রামের নোটবুক

যুক্তফ্রন্টের ভাঙ্গন ও অন্যান্য সংকট সম্পর্কে ১৯৫৫ সালের ১৫ মে বঙ্গবন্ধু একটি ভাষণ দেন। পাঠকের জন্য এটি অডিও করে দিয়েছেন কণ্ঠযোদ্ধা Tahia Tabassum Trena.

এটি অডিও আকারে ওয়েবসাইটে দেয়া হল। পূর্নাঙ্গ টেক্সটও যুক্ত হয়েছে। ভিডিও আকারে ইউটিউবেও দেয়া হয়েছে। আপনি যেখানেই থাকুন খুব সহজেই ভাষণটি শুনতে পারেন। ধীরে ধীরে সংগ্রামের নোটবুক বঙ্গবন্ধুর প্রায় চারশত ভাষণ পাঠকের কাছে সহজভাবে পৌঁছে দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ।
জয় বাংলা। জয় বঙ্গবন্ধু।

 

টেক্সট

যুক্তফ্রন্টের ভাঙ্গন ও অন্যান্য সংকট সম্পর্কে ভাষণ

১৫ মে ১৯৫৫

ঢাকা

ফেডারেল কোর্টের অভিমতের ফলে পাকিস্তানের রাজনৈতিক আকাশ পরিষ্কার হইয়া গিয়াছে। অবশ্য আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত সম্পর্কে জনগণের একাংশের মনে যে সন্দেহের সৃষ্টি হইয়াছে আওয়ামী লীগ অবশ্য তাহা অবহিত আছে। আওয়ামী লীগ বিনা শর্তে কনভেনশন গ্রহণ করিয়াছে বলিয়া জনগণের যে ধারণা হইয়াছে তাহা ঠিক নহে। গোঁড়ায় আওয়ামী লীগ প্রত্যাখ্যান বা গ্রহণ করে নাই। জাতির সম্মুখে উপস্থিত গুরুতর পরিস্থিতির বিষয় সচেতন হওয়ায় পূর্ব পাক আওয়ামী ভাব প্রবণতা লইয়া এপ্রশ্নের বিবেচনা করেনা বা জনগণের ভাবাবেগ উদ্রেক করিয়া সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জনের চেষ্টা করেনা। তাঁহারা ৬ দিন ধরিয়া গভীরভাবে বিষয়টি বিবেচনা করে এবং জনাব সোহরাওয়ার্দী ও মওলানা ভাসানী ঢাকায় আসিয়া কনভেনশন সম্বন্ধে সব কিছু বলিয়া না দেওয়া পর্যন্ত কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনা।

গত ২৬ এপ্রিল জনাব এইস এস সোহরাওয়ার্দী আওয়ামী লীগ ওয়ার্কিং কমিটির সভায় প্রকাশ করেন যে, কেন্দ্রীয় সরকার প্রস্তাবিত কনভেনশনকে শাসনতন্ত্র রচনা ও আইন প্রণয়ন উভয় প্রকার ক্ষমতাই প্রদানের সিদ্ধান্ত করিয়াছেন এবং এইভাবে ইহার ক্ষমতা পুরাতন গণপরিষদের ন্যায়ই হইবে। ইহার পর ২৭ শে এপ্রিল আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সুতরাং আওয়ামী লীগ পূর্বের প্রস্তাবিত শাসনতন্ত্র কনভেনশন গ্রহণ করে নাই। আওয়ামী লীগ বরং ফেডারেশন কোর্টের সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে “গণপরিষদ” গ্রহণ করিয়াছে। ফেডারেল কোর্টের সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে গণপরিষদ গ্রহণ করিয়া আওয়ামী লীগ তাহাদের প্রস্তাবে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করিয়াছে যে, “গণপরিষদ” এ আওয়ামী লীগ সদস্যগণকে যুক্তফ্রন্টের ২১ দফা কর্মসূচী কার্যকরীকরণের পথ প্রশস্ত করিয়া তোলার জন্য “মৌলিক আইন গুলি” ভবিষ্যৎশাসনতন্ত্রের অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করিতে হইবে। একাজে ব্যার্থ হইলে সদস্যগণকে অবশ্যই পদত্যাগ করিতে হইবে।

 

 

Reference:

দৈনিক আজাদ, ১৬ মে ১৯৫৫

বঙ্গবন্ধুর ভাষণসমগ্র, সংগ্রামের নোটবুক