You dont have javascript enabled! Please enable it! হারুন-অর রশিদ (সিএসপি ১৯৫৯) | মুক্তিযুদ্ধে সিএসপি ও ইপিসিএস অফিসারদের ভূমিকা - সংগ্রামের নোটবুক

হারুন-অর রশিদ (সিএসপি ১৯৫৯)

মুক্তিযুদ্ধে সিএসপি ও ইপিসিএস অফিসারদের ভূমিকা

Geography of Bangladesh গ্রন্থখ্যাত লেখক-শিক্ষক এই সিএসপি কর্মকর্তার তৎকালীন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায় না। তবে এটুকু তথ্য পাওয়া যায়, ০৪/১২/১৯৬৯ থেকে কৃষিবিষয়ক অর্থনীতিবিদ হিশেবে বিশ্বব্যাংকের কৃষিপ্রকল্পে (পৃষ্ঠাঃ ১৯৫) কাজ করছিলেন তিনি এবং সেঅবস্থায়ই মাতৃভূমির ডাকে সাড়া দেন। তার ভূমিকা সম্পর্কে আবুল মাল আবদুল মুহিত লিখেছেন: “In 1971 as soon as the military crack-down began he unhesitatingly resigned from the Civil Service  of Pakistan (perhaps the first government official abroad to have done so) and fully dedicated himself and the little personal resources he had then to the Liberation War. He went to Mujibnagar as the emissary of Washington Bengali crowd in early April 1971 even before the Bangladesh Government-in-exile was installed in office. His residence in Washington area became the rest house for all visiting Bengalis including the Bangladesh emissary Professor Rehman Sabhan. We collaborated extensively on preparing briefing materials, pamphlets, circulars and background papers throughout the period of the War.”২৬

স্বয়ং হারুন-অর রশিদ তার নাতিদীর্ঘ রচনা ‘Flashbacks to 1971’-এ যা বলেছেন তার প্রাসঙ্গিক নির্যাস এখানে তুলে ধরা যেতে পারে। স্মর্তব্য, মুক্তিযুদ্ধের আগে থেকেই তিনি বিশ্বব্যাংকের প্রকল্পকাজে ওয়াশিংটনে ছিলেন, এবং স্বদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর তীক্ষ্ণ নজর রাখছিলেন তিনি ও তার সঙ্গীরা। এসময় তারা তথা সেখানকার বাঙালি কম্যুনিটি নানা উপলক্ষ্যে সাধারণত ওয়াশিংটনস্থ পাকিস্তান দূতাবাসের অর্থনৈতিক কাউন্সেলর (তার জ্যেষ্ঠ সহকর্মী) এ এম এ মুহিতের বাসভবনে বৈঠকে মিলিত হতেন। কখনও-বা অন্য সহকর্মীদের বাসস্থলে, যেমন- মিশনের উপপ্রধান (Deputy Chief of Mission, senior-most diplomat from the Eastern Wing) এনায়েত করিম বা কাউন্সেলর এস এ এম এস কিবরিয়ার বাসভবনে তাঁদের বৈঠক বসত। স্বদেশে তখনকার প্রতিমুহূর্তের পরিবর্তমান ঘােলাটে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, ঘটনাক্রম এবং নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর হঠাৎ পাকিস্তানি হানাদারদের আক্রমণ হলে তারা কী করবেন সেসব প্রসঙ্গই উঠে আসত এসব বৈঠকে। পরে যখন সত্যিসত্যিই পাকিস্তানিরা ২৫শে মার্চের কাল রাত্রিতে বাঙালি নিধনযজ্ঞে মেতে উঠল এবং সেসংবাদ স্থানীয় ট্যাবলয়েডগুলােতে প্রকাশিত হলাে তখন সেই আকস্মিক আঘাত সামলে নিতে দিন দুয়েক তার সময় লাগলেও এর পরপরই তিনি জনাব মুহিতের সঙ্গে আলােচনাক্রমে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করে ফেলেছিলেন। তাঁর ভাষায়: “The shock took two days to wear down sufficiently for me to be able, along with Muhith, to organize some sort of protest campaign. Nevertheless, on 29 March I took two important decisions which were of immense personal importance. First, I wrote out my letter of resignation from the Civil Service of Pakistan (CSP) and the next day posted it to the Ambassador of Pakistan to the USA, Washington D.C for onward transmission to the authorities in Pakistan as I was then on deputation (পৃষ্ঠাঃ  ১৯৬) from the Government of Pakistan to the World Bank. Of course, this meant the Pakistan Embassy knew that I was active in the pro- Bangladesh campaign,../ Second, along with a number of young Bengalis from various walks of life, mostly students, a march from the White House to Capitol Hill was organized.. We carried placards denouncing the Pakistani military action against unarmed civilians.”২৭

এভাবেই হারুন-অর রশিদ এবং তাঁর সেখানকার সহকর্মী- সহযোগীরা মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে আন্তর্জাতিক জনমত সংগঠনে ওতপ্রােতভাবে জড়িয়ে পড়েছিলেন এবং যুগপৎ পাকিস্তানবিরােধী প্রচার-প্রচারণা এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সপক্ষে অসাধারণ ভূমিকা নির্বাহ করেছিলেন।

উল্লেখ্য যে, মুক্তিযুদ্ধে তার আপন অনুজ মামুনুর রশিদ, যিনি নিজেও ছিলেন ১৯৬৭ সাল-ব্যাচের সিএসপি এবং মুক্তিযুদ্ধপর্বে রংপুর জেলার কুড়িগ্রামের মহকুমা প্রশাসক (২১/০৭/১৯৭০ থেকে কর্মরত ছিলেন); উক্ত পদে থাকাকালে পরে যখন যুদ্ধ শুরু হয়েছিল তখন সহযােদ্ধাদের নিয়ে বিক্ষিপ্ত কয়েকটি খন্ডযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর সম্বন্ধে জনাব হারুন লিখেছেন: “My younger brother, Mamun Ur Rashid, a CSP officer was the Sub-divisional Officer of Kurigram in Rangpur district, when fighting erupted. After leading some armed skirmishes against the Pakistan military forces within his administrative area, he and his group of freedom fighters crossed the border into India along with his wife, Raka, and had not been heard of since.”২৮

References:

২৬.  American Response to Bangladesh Liberation War, p. 391.

২৭. তাঁর (Haroun Er Rashid) Flashbacks to 1971 শীর্ষক রচনাটি Americal Response to Bangladesh Liberation War গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত, পৃষ্ঠা ৪২২-২৭। উদ্ধৃতির জন্য দেখুন, ঐ, p. 424.

২৮, Ibid., p. 425.

মুক্তিযুদ্ধে সিএসপি ও ইপিসিএস অফিসারদের ভূমিকা