You dont have javascript enabled! Please enable it!

পাটগাতি বা ঘোষের চর থেকে এক ভদ্র মহিলা আমাদের ষ্টীমারে উঠেন। তার ছিল ২য় শ্রেণীর কেবিন টিকেট কিন্তু তার কেবিন দখল করে রাখে আরেক পরিবার। কোন মতেই তাকে কেবিন থেকে বের করা গেল না। উপায় না দেখে আমার কেবিনে তাকে নিয়ে আসি চার মেয়ের দুই মেয়েকে নীচে দিয়ে তাকে বিছানা ছেড়ে দিলাম। মহিলা এ অবস্থায় বিছানায় শোবে না। অনন্যোপায় হয়ে পাশের রুমের ইব্রাহীমের দুই বন্ধুর প্রথম শ্রেণীর কেবিন খালি করে তাকে দিলাম। আমি আর ইব্রাহীমের দুই বন্ধু কে আমার কেবিন দিয়ে ৪ বাচ্চাকে মুরগীর মত পাহারা দিলাম। সকালে নাস্তার টেবিলে তাকে নিয়ে আসতে চেয়েছিলাম কিন্তু সেখানে তিনি আসবেন না পরে কেবিনেই তার জন্য নাস্তা পাঠালাম। সকালে তিনি কষ্ট দেয়ার জন্য সবার কাছে দুঃখ প্রকাশ করলেন। গল্প করতে করতে সে তার ছেলেকে পাগল বলেই যাচ্ছে আর বলেই যাচ্ছে তার বৌমাই পরিবারের সব। সে এখন সন্তান সম্ভবা আমার পাগল ছেলে এখন পশ্চিম পাকিস্তান বসে আছে। আমাদের আলাপে ইব্রাহিমের দুই বন্ধু যোগ দিল। বার বার ছেলেকে পাগল বলতে থাকায় ইব্রাহিমের বন্ধু দাউদ তাকে জিজ্ঞেস করে ছেলের নাম কি। তিনি হাসতে হাস্তে বলেন ছেলের নাম মুজিব। পরে হিসেব করে দেখলাম সেটা রেহানার জন্মের সময়। পরে যতবার দেখা হয়েছে সে যাত্রা কাহিনীর প্রশ্ন উঠেছে প্রতিবারই আমার বাচ্চাদের খোজ নিয়েছে। 

নোটঃ শেখ রেহানার জন্ম ১৩ সেপ্টেম্বর ১৯৫৫। এ সময় শেখ মুজিব পাকিস্তানের ২য় সাংবিধানিক পরিষদ (জাতীয় সংসদ) এর প্রথম অধিবেশনে পশ্চিম পাকিস্তানের মারীতে অবস্থান করছিলেন। এ অধিবেশনে পাকিস্তানের সংবিধান প্রনয়নের মত গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশন চলছিল।

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!