You dont have javascript enabled! Please enable it!

জিয়ার সাথে সিরাজুল আলম খানের সাক্ষাৎ 

রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় ৭ বছর কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামী সিরাজুল আলম খান অপ্রত্যাশিত ভাবে ১মে ১৯৮০ তারিখে মুক্তি পান। এর আগে বিশেষ সুবিধায় রব সহ অনেক জাসদ নেতাকে চিকিৎসার জন্য জার্মানি পাঠানো হয়েছিল। জিয়ার সাথে আপোষের মাধ্যমে গণবাহিনীকে সারেন্ডার করানো হয়। তাই ধারনা করা যায় জিয়ার সাথে আপোষেই তিনি মুক্তি পেয়েছেন। জিয়ার তখন আওয়ামী বিরোধী দল মাঠে রাখার একটা চিন্তা ছিল যদিও জাসদ ৭৮ থেকেই আওয়ামী লীগের মিত্র হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিল। এর প্রমান পাওয়া যায় জোটের এক জনসভায় উভয় দলের মধ্যে মারামারি। জিয়াকে তিনি কিছু প্লান প্রোগ্রাম দিতে গিয়েছিলেন অথবা জিয়ার আমন্ত্রনে কিছু এসাইনমেনট এর কাজে গিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে এ মিলন হয়েছিল বাইরের শক্তির চাপেই। যারা লরেন লিফশুলজ বা পিঁটার কাস্তারের পৃষ্ঠপোষক ছিল। ৮০ সনে যখন জাসদ বিভক্ত হয় যারা বেরিয়ে যায় তারা সিরাজুল আলম খানের দ্বি চারী (ডবল রোল) ভুমিকা, তার হটকারি এবং একক সিদ্ধান্ত নেয়া এবং আওয়ামী লীগের সাথে ঐক্য এর বিরোধিতা করে। অবশিষ্ট জাসদেও তার ভুমিকা গৌণ হতে শুরু করে। মুক্তির আগে তার মা ঘন ঘন জিয়ার পা ধরতে যায় পত্রিকায় বিবৃতি দেয়। সকল কিছু চিন্তা করে সিরাজুল একটি আপোষ পরিকল্পনা করে জেল থেকে বেড়িয়ে আসেন জিয়ার মৃত্যুতে তার সেই দায়িত্ব আর আমাদের জানা হল না। 

নোটঃ ৭২ সালে জলিলের মুক্তির জন্য তার মা সিরাজুলের মায়ের মতই শেখ মুজিবের বাড়ী যাওয়া আসা করতেন। শেখ মুজিব উদারতা দেখিয়ে তাকে মুক্তি দেন। পরবর্তীতে প্রচার হয় জলিলের ট্রাইব্যুনালের বিচারক ছিলেন তাহের তিনি তাকে নির্দোষ রায় দিয়ে খালাশ করে দিয়েছেন। জলিল কিন্তু মুক্তি পেয়ে সোজা ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে যেয়ে শেখ মুজিবকে কদম বুচি করে এসেছিলেন।

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!