আমি সিরাজুল আলম খান এর ভুল গুলো – ৪৩ঃ লাল বাহিনী কতৃক অত্যাচার
সিরাজুল আলম খান বলেছেন এ সময় ৭৩ লাল বাহিনী গঠন করে তাদের অত্যাচারের যন্ত্র হিসেবে ব্যাবহারের চেষ্টা করা হল। ৭২ সালেই লাল বাহিনী গঠন করে শ্রমিক লীগ। শ্রমিক লীগের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ছিল সিরাজুল আলম খান। এর প্রতিষ্ঠার নেপত্থেও ছিলেন তিনি। আর লাল বাহিনীর সদস্য ছিল বৃহত্তর ঢাকার শ্রমিক বৃন্দ। এদের সংখ্যা ছিল ৮০০০০। এই বাহিনীর অধিকাংশই ৬৬ এর ৭ জুন হরতাল সংশ্লিষ্ট কর্মী। এদের মধ্যে নিউক্লিয়াস, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী, বিএলএফ, জয়বাংলা বাহিনী, মুজিব বাহিনী যে নামেই ডাকুন না কেন তারাই ছিল। এদের মধ্যে অনেকেই খারাপ ছিল যাদের পরে তারা জেলে পাঁঠাতে সক্ষম হন। জেলে যাক আর বরখাস্ত হোক এরা পরে জাসদে যোগ দেয়। মোঃ শাহজাহান, রুহুল আমীন এদের অন্যতম। রুহুল আমিন পাকিস্তান টোব্যাকো কোম্পানি (এখন ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো) লুট করলে ব্রিটেনের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কে টানাপোরেন সৃষ্টি হয়েছিল। লাল বাহিনীর মুল কাজ ছিল শিল্প প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা আনয়ন করা। এরা আদমজীর জিএম পরে প্রশাসক সাবেক ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নেতা আউয়ালকে জেলে ঢুকাতে সাহায্য করে। রুহুল আমিন, আউয়াল ৭৫ এর পট পরিবর্তনের আগে মুক্তি পাননি। আউয়াল পরে জাসদ করে থাকতে পারেন। ৭২ এর জুন মাসে রক্ষী বাহিনী গঠন হলে লাল বাহিনী এমনিতেই বিলীন হয়ে যায়। গুটি কয়েক প্রশাসকের লুটপাটকে কে তারা নিয়ন্ত্রিত রাখতে বাধ্য করেছিল। তা না হলে ৭২ এই প্রায় সকল শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে যেত।
নোটঃ আগে কোন পোস্টে ৭ জুন ৬৬ তে সিরাজুল আলম খানের ভুমিকা নিয়ে হয়ত কিছু তথ্য প্রকাশ করে থাকতে পারি যদি না করে থাকি তা হলে জানাচ্ছি ৭২ সালের ৭ জুনে বিশাল শ্রমিক সমাবেশ হয় সোহরাওয়ারদি উদ্যানে। সিরাজুল আলম খান সে সমাবেশে ছিলেন না। এদিন পত্রিকায় বিশেষ ক্রোড়পত্র ছাপা হয় সেখানে তার কোন কৃতিত্ব উল্লেখ নাই। পত্রিকায় সব গুন কীর্তন লেখা হয়েছে মান্নান সাহেবের নামে।