আমি সিরাজুল আলম খানের ভুল গুলো ৪১ ঃ নক্সাল সম্পর্ক
১) আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন সিরাজুল মুক্তিযুদ্ধের প্রায় পুরো সময় জুড়েই কলকাতা অবস্থান করে সিনেমা দেখেছেন এবং কলকাতায় সকল নক্সাল এবং চীনপন্থী কম্যুনিস্ট দল এসইউসি এর নেতা শিবদাস ঘোষের সাথে গোপন আলাপ করতেন। তিনি জয়প্রকাশ নারায়নের সাথেও যোগাযোগ রাখতেন। তার এ তৎপরতা তিনি দলের কাউকে জানাননি।
২) ৭২ এ তিনি শেখ মুজিবকে একটি জাতীয় সরকার ধারনা দেন এবং এ সরকারে তিনি স্বাধীনতা বিরোধী তোহায়া ও সিরাজ সিকদারকে রাখার প্রস্তাব করেন এবং তিনি মুজিবকে জানান তাদের সাথে তার যোগাযোগ আছে তাদেরকে তিনি সরকারে অন্তর্ভুক্ত করতে সক্ষম হবেন।
৩) রব তার সাক্ষাৎকারে বলেছেন সিরাজুল ঢাকা ফিরে অনেক পরে। এসময় তিনি কোথায় কি করেছেন কেউ জানেননা। বাংলাদেশের নক্সাল দের সাথে তার সম্পর্ক ছিল তা তিনি নিজে স্বীকার করেছেন। তাই আব্দুর রাজ্জাকের কথাও সত্য। এ সম্পর্ক যুদ্ধ শেষে প্রতিষ্ঠিত হয়নি হয়েছে যুদ্ধের আগেই। তিনি শিব দাসের সাথে যোগাযোগ রাখতেন তার মাথায় যে সমাজতন্ত্র ঢুকেছিল সে সমাজতন্ত্র যা সোভিয়েত এবং চীন দুয়ের সমর্থক তা বাস্তবায়নের জন্য। পরবর্তীতে এস ইউ সি এর আদলেই জাসদ গড়ে উঠেছিলো। তিনি যে নক্সাল জাতীয় সমাজতন্ত্রের স্বপ্ন দেখতেন তার গুরু কমরুদ্দিন তার বইয়ে লিখে গেছেন। সিরাজুল স্বাধীনতা অর্জনের আনন্দ উদযাপন করেননি। ২২ ডিসেম্বর প্রবাসী সরকার প্রত্যাবর্তনের সময় ছিলেন না। উবান, অরোরা, মানেকশ, ওসমানী ঢাকা আসলে বিমানবন্দরে তার সকল সহযোগী গেলেও তাকে দেখা যায়নি। ছাত্রলীগের ৪ ও ৫ জানুয়ারীর বিশাল অনুষ্ঠানে তাকে দেখা যায়নি। ৫ তারিখ বেগম মুজিবের সাথে সকল নেতা দেখা করলেও তাকে দেখা যায়নি। ১০ তারিখে শেখ মুজিবের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনে তাকে দেখা যায়নি। দেখা গেছে ৩১ জানুয়ারী অস্র সমর্পণের দিন। এদিন তার থাকা অপরিহার্য ছিল কারন তিনি তার বইয়েই বলেছেন পরবর্তীতে কিছু অস্র রেখে দেয়ার পরিকল্পনা ছিল এবং রেখেছিলেনও। দেশ বিভাগের পর ভারত চলে যাওয়া শিব দাস কেরানীগঞ্জের সুভাড্ডা এর ছেলে তাই তার সাথে সম্পর্ক গভীর হওয়া স্বাভাবিক। মনটু গগনদের বাড়ীও কেরানীগঞ্জ।