২. মুজিব বাহিনী
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্তৃত্ব বা অনুমতি ছাড়াই গড়ে ওঠে মুজিব বাহিনী’ নামে আরেকটি গেরিলা বাহিনী যার কোনাে নির্দিষ্ট এলাকা বা সীমারেখা ছিল না। এই বাহিনীর সদস্যগণ বলতে গেলে সারা বাংলাদেশে ছড়ানাে ছিটানাে অবস্থায় গেরিলা যুদ্ধ করেছে। চার নেতা তােফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল হক মণি, আবদুর রাজ্জাক ও সিরাজুল আলম খান ছিলেন এই বাহিনীর সর্বেসর্বা। একাত্তরের মার্চ মাসে বঙ্গবন্ধুর অসহযােগ আন্দোলনের সময় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কর্তৃক স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ’ গঠন করা হয়েছিল। ১৯৭১ এর ২৩শে মার্চ এই পরিষদ, পাকিস্তান দিবসের পরিবর্তে প্রতিরােধ দিবস উদযাপনকালে রেসকোর্স ময়দানে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে। কিছু প্রাক্তন সৈনিক ও জঙ্গীছাত্র কুচকাওয়াজ করে পতাকাকে অভিবাদন প্রদান করে। এই পরিষদই পরবর্তীকালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বাহিনীর সর্বাধিনায়করূপে এক অলিখিত ঘােষণার মাধ্যমে বাংলাদেশ লিবারেশন ফ্রন্ট’ বা মুজিব বাহিনী’ গড়ে তােলেন। মুজিব বাহিনীর প্রশিক্ষণ ছিল মূলত গেরিলা যুদ্ধের । যতদূর জানা যায়, বাংলাদেশে মুজিব বাহিনী সৃষ্টির মুখ্য উদ্দেশ্য কিন্তু বাংলাদেশের জন্য মুক্তিযুদ্ধ করা ছিল না। এর মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল যুদ্ধের নেতৃত্ব যেন কোনাে উগ্র বা চরমপন্থী দলের হাতে চলে না যায়, স্বাধীনতা উত্তর কালে যা আওয়ামী লীগের স্বার্থবিরােধী হতে পারে, সেদিকে লক্ষ্য রাখা। তাই এই মুজিব বাহিনীর আত্মপ্রকাশ বাংলাদেশ সরকারের জানা থাকলেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সদর দফতর বা কোনাে সেক্টর অধিনায়কের গােচরীভূত করা হয়নি যার ফলে সময়ে সময়ে কিছু বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয় এবং মুজিব বাহিনীর দল যখনই দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে কোনাে অপারেশন হাত দিয়েছে তখনই মুক্তিবাহিনীর মুখােমুখি হতে হয়েছে। এমনকি কোনাে কোনাে ক্ষেত্রে মুক্তিবাহিনীর সদস্যরা মুজিব বাহিনীর সদস্যদের বন্দি করেও নিয়ে এসেছে। এদের বিরুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর ছােট খাট সংঘর্ষও অনুষ্ঠিত হয়েছে অনেক ক্ষেত্রে। মুজিব বাহিনীর সৃষ্টি যেহেতু মুখ্যত রাজনৈতিক, কাদের বাহিনীর মতাে এদের সাংগঠনিক কাঠামাের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। তবে একথাও অনস্বীকার্য যে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে জনমত ও দলমত নির্বিশেষে সব বাহিনীর লক্ষ্যই ছিল এক ও অভিন্ন তথা বাংলার স্বাধীনতা।
৩. অন্যান্য বাহিনী
উপরােক্ত দুই বাহিনী ছাড়াও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সারা দেশেই কিছু কিছু স্থানীয় লােকের সহায়তায় ও নের্তৃত্বে অনেক বাহিনী গড়ে ওঠে যারা দীর্ঘ ন’মাসই নিজ নিজ এলাকায় পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে প্রতিরােধ করেছে। এই সমস্ত বাহিনীর মধ্যে ময়মনসিংহের অবসরপ্রাপ্ত জুনিয়র কমিশন অফিসার আফসারউদ্দিন এর বাহিনী (আফসারউদ্দিন যুদ্ধকালীন সময়ে মেজর আফসার নামে পরিচিত ছিলেন), সিরাজগঞ্জের লতিফ মীর্জার বাহিনী, পিরােজপুরের রফিক বাহিনী, ঝিনাইদহের আকবর বাহিনী, ফরিদপুরের হেমায়েত বাহিনী, বরিশালের কুদুস মােল্লা ও শিক্ষক আবদুল গফুরের বাহিনী এবং ফরিদগঞ্জের মাস্টার বাহিনী বিশেষভাবে উল্লেখযােগ্য। উপরােল্লেখিত ব্যক্তিগণ দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়েই নিজ নিজ নামে বাহিনী গড়ে তুলে দীর্ঘ ন’মাস নিজ নিজ এলাকায় পাকিস্তানি বাহিনীদের বিরুদ্ধে বহু রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে ত্বরান্বিত করেছেন। এদের এই নিঃস্বার্থ অবদানও বাংলার স্বাধীনতার ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকবে। বেসামরিক তৎপরতা অসির সাথে মসির সংমিশ্রণ যুগ যুগ ধরে দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে মুখ্য ভূমিকা। পালন করে এসেছে, এটা ঐতিহাসিক সত্য। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, নেপােলিয়ন স্বীকার করতেন যে দার্শনিক ভল্টেয়ার, রুশাে ও টমাস কার্লাইলের জন্ম না হলে ফরাসি বিপ্লব সংগঠিত হতাে না। বাংলাদেশেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
অসি হাতে (অস্ত্রহাতে) বাংলার দামাল ছেলেরা দেশের পথ প্রান্তর চষে বেড়িয়েছে শনিধনের মহােৎসবে, আর মসি হাতে বাংলার শিল্পী-সাহিত্যিক বুদ্ধিজীবীরা ত্যাজোদ্দীপ্ত লেখনির ক্ষুরধারে তাদেরকে যুগিয়েছে অমিততেজ ও দুর্বার গতি। তাদের লেখনির ক্ষুরধার, কণ্ঠের দীপ্তি আর চিত্রের বৈচিত্র এ সব কিছুর প্রধান বাহন ছিল স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে দেশে বিদেশে জনমত সৃষ্টি ও সমর্থনের জন্য তাদের অবিরাম ও অক্লান্ত পরিশ্রম বাংলাদেশের প্রকৃতাবস্থাকে বিশ্বের দ্বারে দ্বারে যেভাবে চিত্রায়িত করতে সমর্থ হয়েছে, ইতিহাসে তা স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকবে। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সাথে ওতপ্রােতভাবে জড়িয়ে থেকে যে সমস্ত কর্মী, শিল্পী, সাহিত্যিক, সংগঠক ও টেকনিশিয়ানরা বেতার অনুষ্ঠানের সঠিক পরিচর্যা অব্যাহত রেখে মুক্তিযুদ্ধে দুর্বার গতি সৃষ্টি করে স্বাধীনতাকে ত্বরান্বিত করার পক্ষে সহায়ক ছিলেন, ইতিহাসে তাদের নামও থাকবে সমুজ্জ্বল। সেদিন যে সকল বুদ্ধিজীবীগণ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করেছেন তারা হলেন : জনাব সৈয়দ আলী আহসান, অধ্যাপক আবদুল হাফিজ, ড. আনিসুজ্জামান, ড. এ, আর, মল্লিক, উ, মাযহারুল ইসলাম, ড. খান সরােয়ার মােরশেদ, জহির রায়হান, রণেশ দাশগুপ্ত, কামরুল হাসান, সাদেক খান, আলমগীর কবীর, কামাল লােহানী। আরাে জড়িত ছিলেন অপেক্ষাকৃত তরুণ এ জে মিন্টু, নাজমুল হুসাইন, খসরু নােমান, ইকরাম বিজু প্রমুখ। স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্র ২৬শে মার্চ ১৯৭১ স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র’নামে এই বেতারকেন্দ্র চট্টগ্রাম থেকে প্রথম আত্মপ্রকাশ করে। সেদিনের সেই দুর্যোগময় মুহূর্তে সম্পূর্ণভাবে মৃত্যুর মুখােমুখি দাঁড়িয়ে যারা নির্ভীকচিত্তে এগিয়ে এসেছিলেন, তারা হলেন : অনুষ্ঠান প্রযােজক বেলাল মােহাম্মদ, আবুল কাশেম, আবদুস শুকুর, আবদুল্লাহ-আল-ফারুক, বেতার প্রকৌশলী সৈয়দ আবদুস শাকের, রেজাউল করিম চৌধুরী, আমিনুর রহমান, রাশেদুল হােসেন প্রমুখ।
স্মরণীয় যে ২৭শে মার্চ ১৯৭১ এই স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র থেকে মেজর জিয়া (পরবর্তীকালে প্রেসিডেন্ট জিয়া এবং বর্তমানে মরহুম) কর্তৃক বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘােষণা পাঠ শুনে মেজর ওসমান আশ্বস্ত হয়েছিলেন এই ভেবে যে তিনি একাই বিদ্রোহ করেননি অন্তত আরাে একজন আছে। | অনিবার্য কারণে কিছুদিন বিরতির পর ৫০ কিলােওয়াট শক্তি সম্পন্ন ট্রান্সমিটার থেকে স্বাধীন বাংলা বেতারের অনুষ্ঠান ২৫মে পুনরায় শুরু হয়। এদিকে ঢাকা বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠান সংগঠক আশফাকুর রহমান ও টি, এইচ, সিকদার, অনুষ্ঠান প্রযােজক তাহের সুলতান ও ঘােষক শহিদুল ইসলাম বেতার কেন্দ্র থেকে বহু গান ও বিভিন্ন অনুষ্ঠান রেকর্ড করে টেপ পাচার করে স্বাধনি বাংলা বেতার কেন্দ্রে যােগদান করেন। রাজশাহী থেকে আসেন প্রবীন অনুষ্ঠান সংগঠক শামসুল হুদা চৌধুরী। আরাে আসলেন শিল্পী রফিকুল আলম, রেজওয়ানুল হক, সারােয়ার জাহান, সুকুমার বিশ্বাস, সুজেয় শ্যাম, মেসবাহউদ্দিন প্রমুখ। এদের আগমনে স্বাধীন বাংলা বেতার ব্যাপকভাবে অনুষ্ঠান প্রচার করতে সক্ষম হয়।
বেতার অনুষ্ঠান
অনুষ্ঠান সম্পর্কে বলতে গেলে বলতে হয় যে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের প্রত্যেকটি অনুষ্ঠানই সমস্ত বাংলাদেশি ও ভারতবাসীরা মনােযােগ সহকারে শুনতাে। তন্মধ্যে গােবিন্দ হালদার রচিত আপেল মাহমুদ সুরারােপিত ‘মােরা একটি ফুলকে বাঁচাবাে বলে যুদ্ধ করি’ ও ‘তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর পাড়ি দেব রে’ অথবা স্বপ্না রায় ও তার সহশিল্পীদের গাওয়া এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা গানের আবেদন আজও অম্লান। শিল্পী আবদুল লতিফ রচিত ও সুরারােপিত ‘সােনা। সােনা সােনা লােকে বলে সােনা’ এবং ‘ও করিম ভাই রহিম ভাই’ অথবা সিকান্দার আবু জাফর রচিত জনতার সংগ্রাম চলবেই’ গান সেদিন সারা ভারতবর্ষেও বিপুল সাড়া জাগিয়েছিল। এম, আর, আখতার মুকুলের চরমপত্র’ ছিল স্বাধীন বাংলা বেতারের সবচেয়ে সাড়া-জাগানাে অনুষ্ঠান। ‘চরমপত্র’শুনে সারা বাংলার রণক্ষেত্রে মুক্তিযােদ্ধাদের ক্ষিপ্রগতিতে শত্রু নিধনে এগিয়ে যেতে দেখা গেছে। শিল্পী সমর দাস, অজিত রায়, রথীন্দ্রনাথ রায়, আপেল মাহমুদ, আবদুল জব্বার, প্রবাল চৌধুরী, কল্যাণী ঘােষ, কাদেরী কিবরিয়া, মান্না হক, নাট্য শিল্পী সৈয়দ হাসান ইমাম, রাজু আহমদ, অমিতা বসু, সুমিতা দেবী, আলমগীর কবির, কামাল লােহানী, নারায়ণ চক্রবর্তী প্রমুখের অবদান স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ইতিহাসে বিশেষভাবেই স্মরণীয় হয়ে থাকবে। বঙ্গবন্ধুর তৎকালীন প্রেস সেক্রেটারি আমিনুল হক বাদশার সাংগঠনিক তৎপরতা ও সাহায্য-সহযােগিতা, বেতার ও তথ্য দফতরের দায়িত্বে নিয়ােজিত জনাব এম, এ মান্নানের অকুণ্ঠ সহযােগিতা ও অক্লান্ত পরিশ্রম বিশেষভাবে উল্লেখযােগ্য।
প্রাথমিক পর্যায়ে নিম্নলিখিত অনুষ্ঠানগুলাে দৈনিক প্রচার করার জন্য নির্ধারিত হয়েছিল : ১. অগ্নিশিখা মুক্তিযােদ্ধাদের জন্য বিশেষ অনুষ্ঠান গণমুখী সাহিত্য অনুষ্ঠান। ৩. বজ্রকণ্ঠ : বঙ্গবন্ধুর স্বকণ্ঠ বাণী ৪. দর্পণ। : একটি কথিকা ৫. ঐক্যতান। : দেশাত্মবােধক গানের অনুষ্ঠান ৬, জাগরণী : দেশাত্মবােধক গানের অনুষ্ঠান। চরমপত্র : ব্যাঙ্গাত্মক ও উদ্দীপনামূলক রণখবর ৮. বিদেশী শ্রোতাদের জন্য ইংরেজিতে বিশেষ অনুষ্ঠান ৯, ইংরেজি সংবাদ ১০. বাংলা সংবাদ ও সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগার ১১. বিশ্ব সংবাদ শাহবাগ, ঢাকা। ইতিমধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বহু বেতারকর্মী, প্রকৌশলী, টেকনিশিয়ান, সংগঠক, প্রযােজক, সংবাদ পাঠক, অনুষ্ঠান সহকারী, ঘােষক, ইত্যাদি সব রকমের লােক এসে স্বাধীন বাংলা বেতারের অঙ্গবৃদ্ধি করায় অধিবেশনের সময় ও অনুষ্ঠানের সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়া হয়। সংবাদ বিভাগের সার্বিক দায়িত্ব নিলেন কামাল লােহানী, ইংরেজি বিভাগের দায়িত্ব নিলেন পর্যায়ক্রমে আলমগীর কবির ও আলী যাকের এবং উর্দু অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন শহীদুল হক ও জাহিদ সিদ্দিকী, নাটকে মােস্তফা আনােয়ার, সঙ্গীতে তাহের সুলতান, কথিকায় মেসবাহউদ্দিন আহমদ, সাহিত্যে মােহাম্মদ ফারুকের নিরলস দায়িত্ব পালন ছিল সত্যিই প্রশংসনীয়। চরমপত্রের’ লেখা ও পড়ার জন্যে বিশিষ্ট সাংবাদিক ও লেখক এম আর আখতার মুকুলের অবদান সত্যিই অভাবনীয়। এছাড়া গাজীউল হক, তােয়াব খান, মহাদেব সাহা, মুজিব বিন-হক, নূরুন্নাহার উম্মে কুলসুম, নাসিম চৌধুরী, নওয়াজীস হােসেন, সংবাদ পাঠক নূরুল ইসলাম সরকার, রণেশ দাশগুপ্ত, অমলেন্দু গুণ, বদরুল হাসান এবং আরাে অনেক স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ ও নানা প্রকার মূল্যবান রচনা পাঠ করে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে তাদের অমূল্য সহযােগিতা দান করেন।
সঙ্গীত শিল্পীদের মধ্যে স্বপ্ন রায়, শাহ আলী সরকার, লাকী আখন্দ, হরলাল রায়, সরদার আলাউদ্দিন, রূপা খান, মালা খান, তােরাব আলী, শাহ মকসুদ সই, গােপীনাথ এবং আরাে অনেকেই এই মসির সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছিলেন। এখানে উল্লেখ করা প্রয়ােজন যে মুক্তিযুদ্ধকালীন বাংলাদেশের রাজধানী মুজিবনগর স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের প্রশাসনিক দায়িত্বে নিয়ােজিত ছিলেন রাজশাহীর শামসুল হুদা চৌধুরী এবং সার্বিক অনুষ্ঠানের (প্রােগ্রাম) দায়িত্বে ছিলেন ঢাকার জনাব আশফাকুর রহমান।
সূত্রঃ এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ – লে. কর্নেল (অব.) আবু ওসমান চৌধুরী