পাবনা জেলা
এদিকে পাবনার ছাত্র, জনতা, পুলিশ, আনসারগণও পাকিস্তানির বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছিল। পাবনাতে ২৫তম পাঞ্জাব ব্যাটালিয়নের একটি কোম্পানি পূর্ব থেকেই অবস্থান করছিল। জনাব নূরুল কাদের খান ছিলেন জেলা প্রশাসক। ২৫শে মার্চের পাকিস্তানি বাহিনীর আক্রমণের সংবাদে নূরুল কাদের এগিয়ে এলেন মুক্তিযােদ্ধাদের কাতারে সঙ্গে এলেন। পাবনা জেলার পুলিশ, আর জনতা। এদিকে সারদা ক্যাডেট কলেজের ক্যাপ্টেন রশীদ ই.পি.আর, পুলিশ আনসার ও মুজাহিদদের সমন্বয়ে তৈরি একটি কোম্পানি পাবনার সাহায্যার্থে পাঠালেন। সম্মিলিত মুক্তিযোেদ্ধারা ২৭শে মার্চ পাঞ্জাব রেজিমেন্টের কোম্পানির উপর ব্যাপক হামলা চালায়। সংঘর্ষ ২৮শে মার্চ পর্যন্ত স্থায়ী হয়। ঐ তারিখেই পাকিস্তানিরা তাদের ৩০জন সৈন্যের মৃতদেহ ফেলে রাজশাহীর দিকে পালিয়ে যায়। পাকিস্তানিদের গুলিতে ১০ জন মুক্তিযােদ্ধা শহীদ হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে পাবনার এই বিজয়ে জনমনে বিপুল সাড়া জাগায়। কিন্তু পাবনাকে শেষ পর্যন্ত মুক্ত রাখা সম্ভব হয়নি। এপ্রিলের ১৪ তারিখেই পাবনার পতন ঘটে। ২৫শে মার্চের রাতে পাকিস্তানিরা আঘাত হানার পর দেশের ই.পি. আর বাহিনী যেভাবে সশস্ত্র প্রতিরােধে এগিয়ে এসেছিল, তেমনিভাবে সারা বাংলাদেশে এমন কি থানা, ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়েও বাংলার মানুষ তাদের দো নলা, এক নলা বন্দুক, দাকুড়াল, সড়কি বল্লম, বাঁশের লাঠি, এক কথায় ‘যার যা ছিল তাই নিয়ে শত্রুর মােকাবেলা করতে এগিয়ে আসে। সর্বাধুনিক মারণাস্ত্রে সজ্জিত পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ। পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে মাত্র এক নলা, দো নলা বন্দুক, দা-কুড়াল ও লাঠি সােটা নিয়ে এদেশের মানুষ দুর্বার প্রত্যয়ে প্রতিরােধ গড়ে তুলেছে। এমনিভাবে সমগ্র বাংলাদেশেই প্রতিরােধ গড়ে উঠেছিল।
প্রতিরােধ গড়ে উঠেছিল বিচ্ছিন্নভাবে, কারাে সঙ্গে কারাে যােগাযােগ ছিল না। ছিল। কোনাে একক কমান্ড। সশস্ত্র অভুথান বা প্রতিরােধের জন্য যে প্রস্তুতি, যে পরিকল্পনা থাকার প্রয়ােজন তার কিছুই ছিল না। মানসিক প্রস্তুতি ও দেশেপ্রেম ছিল একমাত্র সম্বল। কিন্তু শুধু মানসিক প্রস্তুতে ও দেশপ্রেম নিয়ে মেশিন গান, মর্টার ও ট্যাঙ্কের মােকাবেলা করা যায় না। লাঠি-সােটা আর দা-কুড়াল, ডামি রাইফেল দিয়ে আর যা-ই হােক, অত্যাধুনিক মারণাস্ত্রে সুসজ্জিত পাকিস্তানি বাহিনীর গতিরােধ করা সম্ভব ছিল না। মেজর এম, এস, এ. ভূইয়া তার মুক্তিযুদ্ধে নয় মাস” গ্রন্থে বলেছেন : “দুনিয়ার ইতিহাসে যে সব সন্তুষ্ট বিপ্লব হয়েছে তাতে লক্ষ করা গেছে যে প্রথমে অর্গানাইজ করা। হয়ে এবং পরে ঘােষিত হয়েছে বিদ্রোহ, তারপর বিপ্লব। কিন্তু আমাদের বাংলাদেশে ব্যপারটি ঘটেছে সর্ণ স্নি রকম। এ ক্ষেত্রে প্রথমে ঘােষিত হয়েছে বিদ্রোহ, পরে হয়েছে সংগঠন। আমরা প্রথমে বিদ্রোহ করেছি, পরে শুরু করেছি বিদ্রোহীদের সংগঠন ২৬শে মার্চ ভােরে যে আমাদের বিদ্রোহ করতে হবে তা আমরা অনেকেই ২৫শে মার্চের মধ্যরাতেও জানতাম না।” সম্ভবত একারণেই বালি সশস্ত্র বাহিনী এবং জনসাধারণ দেশে প্রতিরােধ দূর্গ গড়ে তুললেও পাকিস্তানি সেনাদের সুসংগঠিত ব্যাপক হামলার মুখে মুক্তিযােদ্ধাদের প্রতিরােধ একে একে ভেঙে পড়ে। এ কারণে ১৪ এপ্রিল ‘৭১ পাবনা জেলার পতন ঘটে পাকিস্তানী বাহিনী পাবনা ও মশ্বেরদিতে শক্ত যা সস্থাপন করে। তারপর তারা পর পার হয়ে তেড়ামারা আক্রমণ করে এবং খুব সহজেই ভেড়ামারা অধিকার করে। পাকবাহিনী কুষ্টিয়া অভিমুখে তীব্র গতিতে চলে যায়। তখন কুষ্টিয়া ও ভেড়ামারা পশ্চাদপণ করতে বাধ্য হয়। অচিরেই কুষ্টিয়া জেলা শহরও পাক বাহিনীর অধীনে চলে যায়।
পূর্বসূত্র
১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চের রাত-বাংলার ইতিহাসে এক কাল-রাত, আর পাকিস্তানের ইতিহাসে জঘন্যতম হত্যাযজ্ঞের ইতিহাস। পূর্ব-বাংলার মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারকে খর্ব করে পূর্ব বাংলার অলিখিত উপনিবেশিকতাকে দীর্ঘায়িত করে তাদের চিরদিনের মতাে গােলাম করে রাখবার অসদুদ্দেশে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আগা মােহাম্মদ ইয়াহিয়া খান তার সেনাবাহিনীকে নিরস্ত্র মানুষের উপর লেলিয়ে দিয়ে গণহত্যা, অত্যাচার, উৎপীড়ন, ধ্বংস ও ধর্ষণের যে নজির রেখে গেছেন তার জন্য। তিনি মানব-সভ্যতার ইতিহাসে এক কালাে অধ্যায়ের সংযােজক হিসাবে চিহ্নিত হয়ে। থাকবেন। পরিকল্পনা করে যশােরে ১ম ইস্ট বেঙ্গল ব্যাটালিয়ন ও সৈয়দপুরে তৃতীয় ইস্ট বেঙ্গল ব্যাটালিয়নকে সেনানিবাসের মধ্যেই আক্রমণ করে তাদের অধিকাংশকে হত্যা করেছেন। জয়দেবপুরের দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল ব্যাটালিয়ন ও কুমিল্লার চতুর্থ ইস্ট বেঙ্গল ব্যাটালিয়নকে বহুধা ভিভক্ত করে বিভিন্ন কাজে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ােজিত রেখে এবং চট্টগ্রামের অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল ব্যাটালিয়নকে পশ্চিমে বদলি উপলক্ষ্যে প্রায় নিরস্ত্রাবস্থায় রেখে তাদের পূর্ণ-যুদ্ধোপযােগিতা খর্ব করে রেখেছেন। আধা সামরিক বাহিনী ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস (ই পি আর) কে যথাসম্ভব নিরস্ত্র করে এবং উপস্থিত বাঙালি অফিসারগণকে হত্যা বা বন্দি করে তার বাহিনী দ্বারা পঁচিশের রাতেই পূর্ব-বাংলার প্রতিটি জেলা-সদর দখল করে নিয়ে পাকিস্তানি সেনাপতিরা তাদের সেই অসদুদ্দেশ্য।
সাধনে মােটামুটি নিশ্চিন্ত হয়েছিলেন। ভুলক্রমেও ভাবতে পারেননি যে ই.পি, আর এর। বাঙালি সৈনিকগণ তাদের থ্রি-নট-থ্রি রাইফেল নিয়েই অত্যাধুনিক মারণাস্ত্রে সুসজ্জিত ও সুশিক্ষিত পৃথিবীর অন্যতম প্রসিদ্ধ পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ পরিচালনা করবার মতাে দুঃসাহসও রাখে। ভাবতে পারেননি যে ঢাকা রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর “ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তােল” ধ্বনি অমন ব্যাপকভাবে প্রতিধ্বনিত হবে। কিন্তু তীব্র জাতীয়তাবােধ ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ ই.পি, আর বাহিনীর বাঙালি সৈনিকগণ এবং পরবর্তীকালে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের বঙ্গ শার্দুলরা মিলিতভাবে পাকিস্তানি সেনাপতিদের সব ধারণা ও সব হিসাবের উর্ধে উঠে তাদের নির্ভাবনাকে দুর্ভাবনায় রূপান্তরিত করতে সমর্থ হয়েছে। পৃথিবীর স্বাধীনতাকামী মানুষের কাছে তারা প্রমাণ করেছে যে সর্বাধুনিক মারণাস্ত্রের সাহায্যেও অন্যায়ভাবে কোনাে জাতিকেই দাবিয়ে রাখা যায় না। মানব-সভ্যতার ইতিহাসের সবচেয়ে জঘন্যতম হত্যাযজ্ঞ এবং অকল্পনীয় অত্যাচার উৎপীড়ন চালিয়ে পাকস্তানী শাসকগােষ্ঠীও বাংলার মানুষকে দাবিয়ে রাখতে শবেন বিচ্ছিন্ন ভাবে হলেও প্রতিরােধ হয়েছে দেশের সর্বত্র। আক্রমণ ও প্রতিআক্রমণের মাধ্যমে ই,পি, আর বাহিনী পাকিস্তানি সেনা অধিকৃত বহু জেলা-সদর মুক্ত করে মাসাধিককাল তাদের কর্তৃত্ব বজায় রেখেছে। কিন্তু তারপর সর্বাধুনিক মারণাস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানি বাহিনীর সংগঠিত ব্যাপক আক্রমণে বাঙালি প্রতিরােধকারী সৈন্যরা বেশিদিন টিকে থাকতে পারেনি। এপ্রিলের শেষ নাগাদ প্রায় সর্বত্রই তাদেরকে ভারত সীমান্ত এলাকায় আশ্রয় নিতে হয়েছে।
মুক্তিবাহিনীর পুনর্গঠন
ভারত সীমান্ত এলাকায় আশ্রয় নেবার পর প্রাথমিকভাবে মুক্তিবাহিনীর নিজ নিজ এলাকার অধিনায়কগণ নিজেরাই তাদের স্ব স্ব বাহিনী পুনর্গঠনের কাজে মনােনিয়ােগ করেন। তারা তাদের বাহিনীকে নিজ নিজ সীমান্ত এলাকা রক্ষা করার মতাে প্রয়ােজনীয় সংখ্যক কোম্পানিকে বিভক্ত করে কয়েকজন কোম্পানি অধিনায়কের কর্তৃত্বে এলাকার বিভিন্ন স্থানে মােতায়েন করে গেরিলা পদ্ধতিতে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সংঘর্ষ অব্যাহত রাখেন। সে সময় সমগ্র এলাকার যে সমস্ত সশস্ত্র ব্যক্তি বাংলার মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয় তাদের সংখ্যা ছিল প্রায় : ইষ্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈন্য ৩০০০, ই, পি, আর-সৈন্য ১২০০০ এবং আনসার, মুজাহিদ, পুলিশ ও ছাত্র স্বেচ্ছাসেবক ছিল মাত্র কয়েক হাজার। অস্ত্র বলতে ছিল শুধু ৩০৩ রাইফেল, সামান্য সংখ্যক হালকা। মেশিনগান এবং নগণ্য ভারী মেশিনগান ও মর্টার। এই সামান্য সৈন্য ও অস্ত্রবল। সহকারেই এক একটি এলাকাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে এক একটি সেক্টর যার দায়িত্ব অর্পিত হয় এক একজন অধিনায়কের উপর। এভাবে প্রথমে ৪টি, পরে ৪ থেকে ৬টি এবং সবশেষে ৬ থেকে ১১টি সেক্টরে গােটা বাংলাদেশের রণক্ষেত্রকে ভাগ করা হয়।
ইতােমধ্যে সীমান্তের ওপারে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও উর্ধতন সামরিক অফিসারদের মধ্যে সংযােগ ও মতৈক্যের পরিপ্রেক্ষিতে সীমান্তের ওপারে আশ্রয়-নেয়া। যুবকদের সামরিক প্রশিক্ষণের গুরুত্ব উপলব্ধি করেই সমগ্র সীমান্তে যুবশিবির ও মুক্তিযােদ্ধা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে ওঠে। এ সমস্ত যুবশিবিরে নিয়মিত সৈনিক ছাড়াও মুক্তিবাহিনীর প্রধান অঙ্গ হিসাবে যারা বীরত্বের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত ছিল তাদের মধ্যে বহু সংখ্যক অনিয়মিত বাহিনী, বেসামরিক স্বেচ্ছাসেবক, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তি, শিক্ষক ও ছাত্র থেকে শুরু করে শিল্প কারখানার শ্রমিক ও কৃষকযুবকসহ সকল স্তরের মানুষদের নিয়েই মুক্তিবাহিনী গঠন করা হয়। সরকারি পর্যায়ে। মুক্তিবাহিনীকে দুই ভাগে বিভক্ত করা হয় : ১. নিয়মিত বাহিনীও ২. গণবাহিনী। ১. নিয়মিত বাহিনী : ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট, পূর্ব-পাকিস্তান রাইফেলস, পুলিশ, আনসার ও মুজাহিদ বাহিনীর লােকদের নিয়েই এই বাহিনী গঠন করা হয়। সরকারি পর্যায়ে এদের নামকরণ করা হয় মুক্তি ফৌজ (এম, এফ)।
২. গণ বাহিনী : সরকারি পর্যায়ে এই বাহিনীর নামকরণ করা হয় গণবাহিনী বা এফ, এফ। কৃষক, শ্রমিক, শিল্পী-সাহিত্যিক, চাকুরীজীবী, বুদ্ধিজীবী, ছাত্র শিক্ষক, এক কথায় দেশের সর্বস্তরের জনগণ এই বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত ছিল। সরকারি খাতায় দেশে যুদ্ধের পর্যায়ে এই বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ছিল এক লক্ষ। কিন্তু দেশের অভ্যন্তরে প্রেরিত শিক্ষিত ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত গেরিলাদের দ্বারা প্রশিক্ষিত আরও প্রায় অর্ধলক্ষ গেরিলার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগার
একক অধিনায়কত্বের প্রয়ােজনীয়তা
সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যপথে এগিয়ে যাবার উদ্দেশে মুক্তিযােদ্ধাদের সুশিক্ষিত ও মুক্তিযুদ্ধকে সুসংহত করার জন্য প্রয়ােজন ছিল সুসংগঠিত একক অধিনায়কত্ব (One Comrnand)। এই উদ্দেশ্যকে লক্ষ্যে রেখেই যুবশিবির ও প্রশিক্ষণ ক্ষেত্র গড়ে তােলা ছিল একান্তই অপরিহার্য । অন্যান্য সব প্রয়ােজনের সাথে যে সমস্ত বিশেষ কারণে সুসংগঠিত একক অধিনায়কত্ব গড়ে তােলা প্রয়ােজন সেগুলাে হচ্ছে : প্রথমত: যে সমস্ত ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, ই.পি. আর, পুলিশ, আনসার ও মুজাহিদ বাহিনী নিজ নিজ অধিনায়কের নের্তৃত্বে বিভিন্নভাবে প্রতিরােধ চালিয়ে যাচ্ছিল তাদের মধ্যে সংযােগ স্থাপন করে একক অধিনায়কত্বের আওতায় নিয়ে আসা। দ্বিতীয়ত: মুক্তিযুদ্ধে যােগদানকারী বিভিন্ন সামরিক অফিসারকে যথােপযুক্ত দায়িত্বে নিয়ােগ করে তাদের যুদ্ধ সীমানা নির্ধারণ করে দেওয়া। তৃতীয়ত: হানাদার বাহিনীর উদ্দেশ্য, শক্তি ও প্রকৃতিকে লক্ষ্যে রেখে যুদ্ধ-কৌশল তৈরি করা। চতুর্থত: বিপুল সংখ্য ছাত্র ও কৃষক শ্রমিকদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিতে আগ্রহী এবং সক্ষমদের প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের যুদ্ধে নিয়ােগ করা এবং পঞ্চমত: অস্ত্র ও অন্যান্য প্রয়ােজনীয় যুদ্ধোপকরণ দিয়ে মুক্তিযােদ্ধাদেরকে সজ্জিত করা। এই প্রয়ােজনীয়তাকে লক্ষ্যে রেখে এবং মুক্তিযােদ্ধাকে সার্বিকভাবে একক অধিনায়কত্বে পরিচালনার উদ্দেশে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদর দফতর থেকে জুলাই মাসে সকল সেক্টর অধিনায়কদের এক অধিবেশন আহবান করা হয়। সব সিনিয়র অফিসারদের সমন্বয়ে ১৯ জুলাই ১০দিন ব্যাপি এই অধিবেশনে প্রধান সেনাপতির পদে অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল ওসমানীর নিয়ােগে সব সেক্টর অধিনায়করাই আস্থা জ্ঞাপন করেন। লে. কর্নেল এম,এ, রবকে সেনাপ্রধান (Chief of Stafl) পদে এবং তৎকালীন গ্রুপ ক্যাপ্টেন
সূত্রঃ এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ – লে. কর্নেল (অব.) আবু ওসমান চৌধুরী