আমি সিরাজুল আলম খান এর ভুল গুলো-৩৭ঃ ঘরোয়া রাজনীতি
পেয়ারু সাহেব বলেছেন ৭০ সালের প্রথম ভাগে সামরিক আইন শিথিল করা হয়। ঘরোয়া রাজনীতি চালু হল। সুযোগটাকে আমরা কাজে লাগালাম। সারা দেশে শ্রমিক সংগঠন, ছাত্র সংগঠন নিউক্লিয়াসকে আরও সংগঠিত করলাম। পেয়ারু সাহেব মনে হয় ঘরোয়া শব্দের অর্থ বুঝেননি। বাংলাদেশ আমলে জিয়াই ঘরোয়া রাজনীতির প্রতিষ্ঠাতা। আর কোন আমলে ঘরোয়া রাজনীতি ছিল না। আইউবের সামরিক শাসন আমলে রাজনীতি পুরোপুরি নিষিদ্ধ ছিল প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত। ২৫ মার্চ ৬৯ এ সামরিক শাসন জারী হলে ইয়াহিয়া রাজনৈতিক দলের সমর্থন পাবার আশায় রাজনীতি নিষিদ্ধ করেননি। ৩১ ডিসেম্বর ৬৯ পর্যন্ত এক ধরনের রাজনীতি করার সুযোগ ছিল। এই ধরনটা ছিল কেউ মাইক ব্যাবহার করতে পারবে না। একবার জুলফিকার আলী ভুট্টো তার সভায় মাইক ব্যাবহার করলে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তা খুলে নিয়ে যায়। ফলে তিনি কিছু দিন হৈচৈ করেন। পরবর্তীতে এ সময় কালে সব দল ছোট খাট সমাবেশ করে এবং স্থানীয় ভাবে মেনেজ করে মাইক ব্যাবহারও করে। ভাসানী তার ঐতিহাসিক শাহপুর সমাবেশ করেন ৬৯ সালেই অক্টোবরে। এই সমাবেশে ৫০০০০ লোক উপস্থিত ছিল। ৭০ এর জানুয়ারী থেকে প্রকাশ্য রাজনীতি যখন শুরু হয় তখন দেশে বুঝা যায়নি যে প্রদেশে সামরিক শাসন আছে। আগের একটি পোস্টে ৭০ সালের জানুয়ারির দুটি জনসভার খবরের ছবি দেয়া আছে।