You dont have javascript enabled! Please enable it!

আমি সিরাজুল আলম খান এর ভুল গুলো ৩১ঃ ভারত গমন প্রসঙ্গে 

সিরাজুল আলম খান বলেছেন ৩০-৩১ মার্চ চুয়াডাঙ্গায় নুরুল ইসলাম এমপিএ (বরিশালের বুঝিয়েছেন) সহ মেজর ওসমান ও তৌফীক এলাহির সহিত সাক্ষাৎ করেন। তারা তাকে জানায় কলকাতা থেকে তাদের কাছে বার্তা এসেছে যে কোন ভাবেই যেন তাকে কলকাতা পাঠানোর বেবস্থা করা হয়। তিনি ও নুরুল ইসলাম মঞ্জুর গেদে দিয়ে পশ্চিম বাংলায় প্রবেশ করেন। ৩১ মার্চ তারা কলকাতা পৌঁছেন কলকাতায় পৌছার পর মালেক উকিল তাকে চিত্তরঞ্জন সুতারের কাছে নিয়ে যান। যাবার সময় মালেক উকিল তাকে বলেন তোমার জন্য দিল্লি থেকে বারবার বার্তা আসছে। সুতারের বাড়ী গিয়ে মনি তফায়েল রাজ্জাককে পান।
প্রকৃত সত্য হল 

১) তিনি সেদিন মেজর ওসমান বা তৌফিক এলাহির সাথে সাক্ষাৎ করেননি। ৩০ তারিখ চুয়াডাঙ্গায় তাজউদ্দিন এবং আমিরুল ইসলাম পৌঁছান তাদের বিএসএফ এর কাছে পৌঁছে দেয়া হয় সন্ধ্যার পর। এদিন ভোর রাতে অর্থাৎ ৩১ তারিখ ভোরে ওসমানের বাহিনী কুষ্টিয়া আক্রমণ করে। তাজউদ্দিনকে পৌঁছানোর পরপরই ওসমান চুয়াডাঙ্গা ত্যাগ করেন। ৭১ এর মার্চ মাসে সিরাজুল একজন গুরুত্বপূর্ণ বেক্তি ছিলেন। তাই তিনি তাদের সাথে সাক্ষাৎ করে থাকলে তাদের লিখিত বা বর্ণিত প্রকাশনায় নাম অবশ্যই আসতো। স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্রের ৯ম খণ্ডে মেজর ওসমান,তৌফিক এলাহি, ক্যাপ্টেন এআর আজম, আমিরুল ইসলামের সাক্ষাৎকারে তা আসতো কিন্তু আসেনি। 
২) তিনি পিরোজপুরের প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য নুরুল ইসলাম মঞ্জুরকে নিয়ে চুয়াডাঙ্গা যান এবং ভারত গমন করেন। ইহা সম্পূর্ণ মিথ্যা। নুরুল ইসলাম মঞ্জুর আরও অনেকদিন বরিশালে প্রতিরোধ যুদ্ধ করেন মেজর জলিল, ক্যাপ্টেন মেহেদি ইমাম এবং মেহেন্দি গঞ্জের প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য মহিউদ্দিনকে নিয়ে। স্বাধীনতা যুদ্ধের দলিলপত্রের ৯ম খণ্ডে মেজর জলিল,ক্যাপ্টেন মেহেদি, মহিউদ্দিনের সাক্ষাৎকারে তা প্রমানিত। 
৩) তাজউদ্দিন যখন কলকাতায় তখন তাদের কেউ কলকাতায় পৌঁছেনি। মনি তফায়েল তখনও বগুড়ায়। 
৪) কলকাতায় ৩১ মার্চ মালেক উকিলের উপস্থিতি অসম্ভব তাহলে তিনিই তাজউদ্দীনের স্থলে প্রধানমন্ত্রী হয়ে যেতেন। ২ এপ্রিল ২৫ জন আওয়ামী শীর্ষ নেতা আগরতলা পৌঁছেন তাদের মধ্যে মালেক উকিলও ছিলেন। তিনি আগরতলায় দীর্ঘ দিন অবস্থান করেন। তার কার্যক্রম তখনকার স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। 
৫) তিনি এমন কোন গুরুত্বপূর্ণ কেউ ছিলেননা মালেক উকিল বা মেজর ওসমান তাকে বলবে দিল্লি থেকে বার্তা পাঠিয়ে তার খোজ নিচ্ছে। চিত্তবাবু আর কালিদাস বাবু ছাড়া সারা ভারতে তার খোজ খবর নেয়ার মত লোক ছিল না। র বা উবান তাকে চিনেছে মে মাসে।
৬) দীর্ঘদিন পরে বই প্রকাশ করা হয়েছে এর কারন একটাই যত বেশী সম্ভব মিথ্যার আশ্রয় নেয়া যায়।

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!