সেপ্টেম্বর –ডিসেম্বর ১৯৭৩ঃ আটক বাঙ্গালী প্রত্যাবর্তন।
(সালাহ উদ্দিন সাহেবের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন) ১৬ ডিসেম্বরের পর পাকিস্তানে অবস্থান করছিল ৪ লাখ বাঙালী। বাংলাদেশে ফেরত যাওয়ার জন্য জাতিসংঘের ও রেডক্রসের মাধ্যমে যখন রেজিস্ট্রেশন করা হয় তখন সংখ্যা দাড়ায় আড়াই লাখের মত। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে যারা অপশন দিয়েছিলেন তারা আটক শিবিরে স্থান পান। তাদের চাকুরী থেকে বরখাস্ত করা হয়। তারা পৌনে দু বছর রেডক্রসের সাহায্য এর উপর বেচে ছিলেন। আফগানিস্তান, রাশিয়া ও ব্রিটেনের কিছু ভাড়া করা বিমানে তাদের প্রত্যাবর্তনের বেবস্থা করা হয়। দুটো বিমানবন্দর লাহোর ও করাচী থেকে তাদের পাঠানো হয়। ১৯৫ জন বন্দীর বিপরীতে ২০০ জন সিনিয়র বাঙ্গালী অফিসারকে পাকিস্তান আটক রাখায় তারা এ সুযোগ থেকে বঞ্চিত ছিলেন। বাঙ্গালীদের মধ্যে বেশিরভাগ ছিল অসামরিক বাঙ্গালী পরিবার। সিভিলদের জন্য রেডক্রসের কর্মকর্তা সামরিকদের জন্য সামরিক কর্মকর্তা গন বিমানবন্দরে তাদের গ্রহন করেন এবং ট্রানজিট সেন্টারে প্রেরন করেন। উদ্বোধনী ফ্লাইটে জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশনার সদরুদ্দিন আগা খান ঢাকা আসেন এবং শেখ মুজিবের সাথে দেখা করেন। দুঃসাহসিক এ কাজের জন্য শেখ মুজিব আগা খানকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। বাঙ্গালী স্থানান্তরকে বিশ্ব এর সবচে বড় এয়ার লিফট বলা হয়ে থাকে।