আমি সিরাজুল আলম খান এর ভুল গুলো-২৯ঃ পৃথক মুদ্রা ও প্যারা মিলিশিয়া প্রসঙ্গ
সিরাজুল আলম খান বলেছেন আমি পরদিন (২৩ মার্চ কে বুঝিয়েছেন) আবার গেলাম। আমাকে আমার বক্তব্য দিতে বলা হল। আমি বললাম সংবিধানে ৬ দফা পূর্ণ অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। বিশেষ করে দুই মুদ্রা এবং প্রদেশের জন্য এক লাখ মিলিশিয়া। তারা সকলে বলল তাহলে তো পাকিস্তান থাকে না। এখানে সিরাজুল আলম খানের বক্তব্য সঠিক নয়। আওয়ামী লীগ হাই কম্যান্ড ৫ নেতা এর সাথে মাঝে মধ্যে ডঃ কামাল সারাদিন ৩২ নং বাড়ীতেই আলোচনা করতেন। ২২ তারিখের পর ইয়াহিয়ার সাথে শেখ মুজিবের আর কোন আলোচনা হয়নি যদিও নামী দামী বই গুলিতে ২৩ তারিখে বৈঠকের কথা বলা হয়েছে। আমরা সব সময় সত্যতার জন্য পত্রিকাকে প্রাধান্য দেব। ২২ তারিখেই একটা ঐক্যমত্য হয় (পরবর্তীতে জুলফিকার আলী ভুট্টো এপ্রিলে একাধিকবার এ বিষয়ে বলেছেন)। এটা ছিল দুই প্রদেশে দুই দলকে এখনই ক্ষমতা দেয়া হবে। দুই অংশের জাতীয় পরিষদ আলাদা হবে। দুই পরিষদ আলাদা সংবিধান তৈরি করবে।
কেউ কেউ বলেছেন ৬২ সালের সংবিধান রদবদল করা হবে। পরে দুই পরিষদ একত্রে বসে একীভূত সংবিধান হবে। ২৩ তারিখ পক্ষদ্বয়ের মধ্যে আর কোন সভা বা আলোচনা হয়নি। শেখ মুজিব সারাদিন বেস্ত ছিলেন আগত মিছিল আর নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে। আর সামরিক সরকার ক্যান্টনমেন্ট আর প্রেসিডেন্ট হাউজে তাদের মধ্যে আলাপ আলোচনা সারছিলেন। সরকার আর ভুট্টো প্যারা মিলিশিয়া বিষয় মেনে নিয়েছিলেন। বাকি ছিল মুদ্রা আর বৈদেশিক বাণিজ্য। বৈদেশিক বাণিজ্যকে ভাগাভাগি করার প্রস্তাবও ছিল। সামরিক সরকার কোনোমতেই মুদ্রা বেবস্থা প্রাদেশিক সরকারের কাছে ছেড়ে দিতে রাজি হয়নি। এবং এ ইস্যুতে আলোচনা ভেঙ্গে যাবে আওয়ামী লীগের সবাই বুঝত। এখানে সিরাজুল আলম খান ব্যাঙ্গ করে বলা উচিত হয়নি তারা সকলে বলল তাহলে তা আর পাকিস্তান থাকে না। এখানে তারা বলতে হাই কমান্ডের ৫ নেতাকে বুঝিয়েছেন কারন তিনি শেখ মুজিবের কোটেশন হিসেবে এ কথা বলেননি বা সামরিক সরকারের বক্তব্য বলেননি। উল্লেখ্য ২৩ তারিখে তিনি ফরাসী টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন তার দাবী তারা মানতে বাধ্য।