You dont have javascript enabled! Please enable it! একাত্তরের বিখ্যাত সংকলন - ডেট লাইন বাংলাদেশ, সম্পাদনা অজিত ভট্টাচাৰ্য - সংগ্রামের নোটবুক

একাত্তরের বিখ্যাত সংকলন – ডেট লাইন বাংলাদেশ, সম্পাদনা অজিত ভট্টাচাৰ্য

 

১৯৭১ সালে জুন মাসে মুম্বাই থেকে বাংলাদেশের ওপর একটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছিল। মে ১৯৭১ পর্যন্ত বাংলাদেশ সম্পর্কিত যে সব প্রতিবেদন সংবাদপত্র প্রকাশিত হয়েছিল তার থেকে বাছাই করা প্রতিবেদন নিয়ে একটি সংকলন। নাম ডেট লাইন বাংলাদেশ, সম্পাদনা করেছিলেন অজিত ভট্টাচাৰ্য। প্রকাশ করেছিল জাইকো বুকস। বইটি গুরুত্বপূর্ণ এ কারণে যে, মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার সময় থেকে জুন পর্যন্ত বাংলাদেশে যা ঘটেছিল তার বিবরণ আছে। এর কোনটিই শোনা নয়, চোখে দেখা। প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণ। সংকলনটি পাঁচ ভাগে বিভক্ত। প্রথম ভাগ ‘অন দা ব্রিংক’ বা শুরু! এ অধ্যায়ে সিডনি শ্যানবর্গ ও জন মার্টিনের দুটি প্রতিবেদন সংকলিত হয়েছে। শিরোনামই বিষয় বলে। দেয় শেখ মুজিব প্রােটেস্টস’ এবং ‘বেঙ্গালিস প্রিপেয়ার। | দ্বিতীয় অধ্যায়ের নাম ‘দি ম্যাসাকার’ বা গণহত্যা। আটটি প্রতিবেদন সংকলিত হয়েছে। এগুলি লিখছেন মার্টিন অ্যাডেনে,ডন হক, জন ই উডরাফ, সিডনি শ্যানবগ রবার্ট ফেনর, সাইমন ড্রিংগ, লোরেন জেনকিনস এবং ডন ফোগিন।তৃতীয় অধ্যায়-“দি রেজিসট্যান্স’। এখানে আছে ২০টি প্রতিবেদন। লিখেছেন ডন কোগিন, রবার্ট কেনর, সুধীর থাপলিয়াল, ডেভিড লোশাক, অজিত ভট্টাচাৰ্য্য, সিডনি শ্যানবাগ, এফ, চক্রবর্তী, মার্টিন উলাকট, ফ্রক মোয়সন, মানস ঘোষ, পিটার হ্যাজেলহা, জন উডরাফ, চান্দ যোশী, এন সি, মে, মন মাইকেল হর্নবি, লি লেসকা এবং মিলান দে কুবরিক। | চতুর্থ অধ্যায় “দি আফটারম্যাথ’ বা পরবর্তী সময়। এ পর্যায়ে সংকলিত হয়েছে ১১টি প্রতিবেদন। লিখেছেন কলিন স্মিথ, ডেনিস নি, মার্ট রোজেন ব্লম, ম্যালকম ডব্লিউ ব্রাউনি, সিডনি শানবার্গ,মনোজিৎ মিত্র, শ্যামলাল এবং পিটার হ্যাজেলহাঃ।সবশেষ অধ্যায় ‘দি অরিজিনস বা কারণ। এখানে প্রতিবেদন ও নিবন্ধ সংকলিত হয়েছে। লিখেছেন, পিটার প্রেস্টন, জন উডরোফ, সেলিগ এস হ্যারিসন, জিরার্ড ভিরাট, এ, উলানস্কি, এ, জি, নুরানী,এবং হাবিব তানভির।সম্পাদক জানিয়েছেন, রিপোর্টারদের জন্য বাংলাদেশের খবর সংগ্রহ করা দুরূহ হয়ে উঠেছে। গণহত্যা শুরু হওয়ার পরদিন বিদেশী সাংবাদিকদের বের।
করে দেয়া হয়, দি ডেইলি টেলিগ্রাফের সাইমন ড্রিংগ আরো একদিন সেনাদের চোখ এড়িয়ে থেকে যান এবং ব্যাংকক পেীছে তার প্রতিবেদন প্রেরণ করেন।পাকিস্তানি সেনারা যখন ক্যান্টনমেন্টগুলিতে আশ্রয় নিল তখন রিপোর্টারদের মধ্যে যারা স্থানীয় লোকদের সহায়তা পেয়েছিল তারা খবর পাঠাতে পারেন। এবং তখন বিশ্ব জানতে পারল প্রতিরোধের খবর। দুজন প্রতিবেদক টাইমের ডান কোগিন এবং দি অবজার্ভারের কলিন স্মিথ সীমান্ত এলাকা থেকে ঢাকা গিয়ে আবার ফিরে এসে রিপোর্ট করতে পেরেছিলেন। এরা ছিলেন বিদেশী তাই ধরা পড়ার সম্ভাবনা ছিল তাদের প্রচুর। আমার জানা মতে, ভারতীয় কিছু রিপোর্টারও তখন প্রতিরোধের খবর পাঠাতে পেরেছিলেন। তাদের একটা সুবিধা ছিল স্থানীয়দের থেকে তাদের আলাদা করার উপায় ছিল না।| মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে পাকিস্তান সরকার কিছু বিদেশী রিপোর্টারকে নিয়ন্ত্রিত সফরে নিয়ে আসে বাংলাদেশে। ২৫/২৬ মার্চ যে সব সাংবাদিক ঢাকায় ছিলেন তাদের ভিসা দেয়া হয়নি। নতুন যারা এলেন তাদের থেকেও সত্য লুকানো যায় নি। এদের সবাই ফিরে রিপোর্ট করেছিলেন যার মধ্যে এসোসিয়েট প্রেসের মট রোজেনরুমের প্রতিবেদনটি ছিল উল্লেখযোগ্য। শরণার্থীদের দুর্দশা প্রথম তুলে ধরেন লন্ডনের দি টাইমসের পিটার হ্যাজেলহাস্ট। | সম্পাদক জানিয়েছেন এটি প্রতিনিধিত্বমূলক কোন সংকলন নয়। যা সংগ্রহ করতে পেরেছেন (ইংরেজি ভাষায়) তা থেকেই সংকলন করেছেন। ভারতের আঞ্চলিক অনেক ভাষা, ইংরেজি ছাড়াও অন্যান্য অনেক ভাষায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। ভয়াবহ সব প্রতিবেদন যা তিনি সংকলন করতে পারেন নি। রোমের লা স্ট্যাম্পায় প্রকাশিত একটি রিপোর্টের কিছু অংশ তিনি অনুবাদ করে দিয়েছেন তা থেকে আমি গণহত্যার বিবরণের খানিকটা উদ্ধৃত করছি…the repertory of the atrocities is now almost complete: the cutting of heads of officers of the cast Pakistan Rifles that we saw in Jhikargacha, the children killed in their beds that we saw in Sylhet (Killed by the mortar fire of the West Pakistan soldiers) and now the unarmed missionary massacred along with entire families, ITer, women, children without any explanation except that of blind violence,*