পতাকার নকশার নেপথ্যের গল্প
৬ জুন রাতে ইকবাল হলের(২০) ১১৮ নম্বর কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় একটি আলােচনা সভা। তাতে উপস্থিত ছিলেন কাজী আরেফ আহমেদ, শাহজাহান সিরাজ, আ স ম আবদুর রব ও মনিরুল ইসলাম (মার্শাল মণি) (২১) এরা সবাই ছিলেন স্বাধীন বাংলা। বিপ্লবী পরিষদের সদস্য। সভায় শেখ মুজিবকে পতাকা প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় পতাকার ডিজাইন কেমন হবে এবং তার যৌক্তিকতা তুলে ধরে বক্তব্য রাখা হয়। সবুজের ভেতর লাল সূর্য হচ্ছে সশস্ত্র বিপ্লবের প্রতীক। রক্তবর্ণ সূর্যের মাঝে বাংলাদেশের মানচিত্র বসিয়ে দেয়ার যৌক্তিকতা তুলে ধরা হয় এইভাবে যে, এই আন্দোলনের সঙ্গে পশ্চিম বাংলা কিংবা ভারতের সঙ্গে কোন যােগসূত্র নেই । অথবা যুক্তবাংলা আন্দোলনের সঙ্গেও এর কোন সংশ্রব নেই। আলােচনা চলাকালীন হাসানুল হক ইনু ছিলেন পাশের রুমে । তাকে ডেকে আনা হয় এবং তার ওপর পতাকার ডিজাইন তৈরি এবং বানিয়ে আনার দায়িত্ব অর্পিত হয়। ওই দিন সকালে কুমিল্লার তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা শিব নারায়ণ দাস এসে উঠেছিলেন ইকবাল হলে । তিনিও ছিলেন স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদের সদস্য। তার আসাটা ছিল নিতান্তই কাকতালীয় । শিব নারায়ণ দাস আঁকতে-জুকতে পারতেন ভাল । হাসানুল হক ইনু তার সাহায্য চান। তিনি সাদা কাগজের ওপর পতাকার নক্সা এঁকে দেন। এরপরের কাজ দর্জির কাছে যাওয়া ।।
———————————-
১৯. পরবর্তীকালে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (রব) সভাপতি এবং প্রেসিডেন্ট এরশাদের আমলে | জাতীয় সংসদের বিরােধীদলের নেতা।
২০, পরবর্তীকালে সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ।
২১, পরবর্তীকালে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (ইনু) শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি।
পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় অফিস ৪২, বলাকা ভবনের লাগােয়া কক্ষ ছিল নিউ পাক ফ্যাশান টেইলার্স। এই সূত্রেই দোকানের ম্যানেজার মােহাম্মদ নাসিরউল্লাহর সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতা ও কর্মীদের পরিচয়। এই টেইলারিং শপ থেকে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের নেতারা তাদের পরিধেয় তৈরি করিয়ে নিতেন। দোকানটির মালিক ছিলেন মােহাম্মদ নাসিরউল্লাহর ভগ্নীপতি মােহাম্মদ হাসেম । ১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির পর তারা পশ্চিম বাংলার কলকাতা থেকে চলে আসেন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে। এই ‘নিউ পাক ফ্যাশান টেইলার্স’ থেকেই তৈরি হয় “জয়বাংলা বাহিনী” তথা স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পতাকাটি। ১-১৪ এপ্রিল, ১৯৮৯ সালের পাক্ষিক তারকালােক-এ স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদের অন্যতম নেতা কাজী আরেফ আহমেদ ‘ছাত্রলীগের তিন দশকের ইতিহাস লিখতে গিয়ে পতাকা তৈরি করেন যে দর্জি, তার পরিচিতি সম্পর্কে বলেছেন “যে দর্জি এই পতাকা তৈরি করে, সে অবাঙালি ছিল। সে তখন এই পতাকার ইতিবৃত্ত না জেনেই পতাকা তৈরি করেছিল। দেশ স্বাধীন হবার পর ওই দর্জি পাকিস্তানে চলে যায়।” কাজী আরেফ আহমেদের বক্তব্যকে বানােয়াট কাহিনী বলা ছাড়া উপায় নেই। কেননা, নাসিরউল্লাহ এবং পতাকার কাটিং ও সেলাই যিনি করেন, আবদুল খালেক মােহাম্মদী, দু’জনের কেউই অবাঙালি নন। এরা খাটি বঙ্গজ সন্তান— একজন পশ্চিম বাংলার এবং অপরজন এই বাংলাদেশেরই । পাতার কাটিং ও সেলইয়ের কাজ করার সময় তারা ভালােভাবেই জানতেন কি করছেন তারা। শুধু আওয়ামী লীগেরই সমর্থক ছিলেন না তারা, শেখ মুজিবেরও ছিলেন ভক্ত।
মােহাম্মদ নাসিরউল্লাহ পশ্চিম বাংলার মানুষ হলেও বিয়ে করেন ঢাকার বিক্রমপুরে। ওই সময় তার বয়স ছিল ত্রিশের কোঠায় আর আবদুল খালেক মােহাম্মদীর পঁচিশ। টাঙ্গাইল জেলার মানুষ তিনি। এরা দু’জনেই এখনাে বেঁচে আছেন । নাসিরউল্লাহ ছাত্রলীগের সবার কাছে ছিলেন ‘মামা’। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পতাকাটি তৈরির ইতিবৃত্ত মােহাম্মদ নাসিরউল্লাহ ও আবদুল খালেক মােহাম্মদীর ভাষ্যে তুলে ধরা হচ্ছে “হাসানুল হক ইনু এবং শিব নারায়ণ দাস রাত প্রায় সাড়ে দশটার দিকে আমাদের দোকানে আসেন। দোকানের মালিক এবং অন্যান্য কর্মচারী ততক্ষণে যে যার ঘরে চলে গেছে। হাসানুল হক ইনু ও শিব নারায়ণ দাস কাগজের ওপর আঁকা ছাত্রলীগের পতাকার একটি ও বাংলাদেশের পতাকার আরেকটি না দেখিয়ে এবং সাইজের কথা বলে জানতে চাইলেন কোন রঙের কাপড় কতটুকু লাগবে। আমরা কাপড়ের পরিমাণ বলে দিতে তারা বেরিয়ে গেলেন এবং নিউমার্কেট থেকে লেডি হ্যামিলটন কাপড় নিয়ে ফিরলেন । আমরা কাজ শুরু করি রাত বারােটার পর । শুরুর আগে দোকানে প্রবেশের প্রধান গেটের গ্রিল টেনে তালা মেরে দিই। কাপড়ের কাটিং শেষ হলে হাসানুল হক ইনু ও শিব নারায়ণ দাস বাইরে চলে যান। ঘণ্টা খানেক পর আবার ফিরে আসেন। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আমাদের কাজ দেখেন। ভাের চারটার দিকে দুটো পতাকার কাজ শেষ হয়ে যায়। তারা নিয়ে চলে যান।”
কাটার আগে কাপড়ের ওপর পতাকার নক্সা করেন আবদুল খালেক মােহাম্মদী তিনিই কাটেন এবং প্রথম সেলাইটা তিনিই করেন। এ সময় মােহাম্মদ নাসিরউল্লাহ বাইরের গেটের তালা মারা গ্রিলের প্রহরায় থাকেন দ্বিতীয় সেলাই অর্থাৎ উল্টো সেলাইটা করেন মােহাম্মদ নাসিরউল্লাহ এবং ডেলিভারি দেন তিনি। তারা এই পতাকা তৈরির মজুরিও নেন না। ৭ জুনে “জয়বাংলা বাহিনী” ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মার্চ মিছিল করে যায় পল্টন ময়দানে। মিছিলের অগ্রভাগে ছিলেন আ স ম আবদুর রব ও হাসানুল হক ইনু। আ স ম আবদুর রবের হাতে ছিল ‘জয়বাংলা বাহিনীর পতাকা- গােটানাে অবস্থায়। আর হাসানুল হক ইনুর হাতে ছিল ছাত্রলীগের পতাকা। পল্টন ময়দানে অভিবাদন মঞ্চে দাঁড়িয়ে ছিলেন শেখ মুজিব তার দুপাশে ছিলেন সিরাজুল আলম খান, শেখ ফজলুল হক মণি, আবদুর রাজ্জাক, তােফায়েল আহমদ ও কাজী আরেফ আহমেদ মার্চ মিছিল অভিবাদন মঞ্চের কাছে পৌছলে আ স ম আবদুর। রব দণ্ডে গােটানাে পতাকাটি হাঁটু গেড়ে শেখ মুজিবের হাতে তুলে দেন ।শেখ মুজিব সেটা গ্রহণ করেন এবং কিছুটা খুলে আবার গুটিয়ে ফেলে আ স ম রবের হাতে ফেরত দেন। অথচ শেখ মুজিবের হাতে তুলে দেওয়া নিয়ে ভিন্ন কথা বলেছেন কাজী আরেফ আহমেদ।১-১৪ এপ্রিল ১৯৮৯ সালের তারকালােক-এ তিনি বলেন “৭ই জুন ভাের থেকেই মুষল ধারায় বৃষ্টি হচ্ছিল। বাংলাদেশের প্রথম পতাকা পলিথিনের কাগজে মুড়িয়ে আমি পল্টন ময়দানে গেলাম । শেখ মুজিবের ডান পাশে আমি পলিথিনে মােড়ানাে পতাকা নিয়ে দাড়িয়ে ছিলাম । শেখ মুজিব আমার হাত থেকে পতাকাটা নিয়ে খােলা অবস্থায় উপস্থিত জনতাকে প্রদর্শন করে রবের হাতে প্রদান করেন।
কিন্তু মার্চ মিছিলে ছাত্রলীগের পতাকা যিনি বহন করেছিলেন, হাসানুল হক ইনু, তিনি আমাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, “আ স ম আবদুর রবই ‘জয় বাংলা বাহিনীর পতাকা শেখ মুজিবের হাতে তুলে দেন। ওই দিন পল্টন ময়দানে ছিলেন শিব নারায়ণ দাস । তিনি আমাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হাসানুল হক ইনুর বক্তব্যের প্রতিধ্বনি করেন। এ বিষয়ে আলাপ করি আ স ম আবদুর রবের সঙ্গেও। আমাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, শেখ মুজিবের হাতে ‘জয় বাংলা বাহিনীর পতাকা তিনিই তুলে দেন। মার্চ মিছিলের পর আ স ম রব সংরক্ষণের জন্য পতাকাটি তুলে দেন হাসানুল হক ইনুর হাতে । ৭ জুনের পর ঢাকা নগর ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটে মার্চ মিছিল করার পরিকল্পনা নেয়া হয়। প্রথম মার্চ মিছিলটি করার কথা ছিল ঢাকা কলেজে । মিছিলের জন্য হাসানুল হক ইনুর কাছ থেকে ‘জয় বাংলা বাহিনীর পতাকাটি নিয়ে আসেন তৎকালীন ঢাকা নগর ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শেখ মােহাম্মদ জাহিদ হােসেন। কিন্তু মার্চ মিছিলের সিদ্ধান্তটি ছাত্রলীগের অভ্যন্তরে স্বাধীন বাংলার পক্ষ-বিপক্ষ গ্রুপকে সরাসরি মুখােমুখি এনে দাঁড় করায় । তাই ছাত্রলীগের ভাঙন রােধে মার্চ মিছিলের সিদ্ধান্ত পরিত্যক্ত হয় এবং ‘জয় বাংলা বাহিনীর পতাকাটি রয়ে যায় শেখ মােহাম্মদ জাহিদ হােসেনের কাছে । ৭ জুন মার্চ মিছিলের পর স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ স্বাধীনতার প্রশ্নে আরাে বেশি অনমনীয় ও আপােসহীন হয়ে ওঠে এবং আওয়ামী লীগ নেতৃত্বকে স্বাধীনতার প্রশ্নে সরাসরি চ্যালেঞ্জের মুখােমুখি এনে দাঁড় করায়। ৭ ডিসেম্বরে নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া সম্পর্কিত প্রেসিডেন্ট ইয়হিয়ার ঘােষণার তিন দিন আগে ১৯৭০ সালের ২২ আগস্ট স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদ এক দুঃসাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করে। এই দিন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে বিপ্লবী পরিষদ স্বাধীন সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রস্তাব পাশ করিয়ে নেয়। তৎকালীন চট্টগ্রাম ছাত্রলীগ নেতা এবং পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক স্বপন চৌধুরী কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় স্বাধীন সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশের প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন। ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সংখ্যা পঁয়তাল্লিশ জন ।
সংখ্যাগুরু অংশ ছত্রিশ জন ছিলেন স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদের সদস্য। এরা সবাই প্রস্তাবের পক্ষে ভােট দেন। বাকি ৯ জন এদের মধ্যে ছিলেন নুরে আলম সিদ্দিকী, আবদুল কুদ্দস মাখন, শেখ শহীদুল ইসলাম(২২) প্রমুখ প্রস্তাবের বিরােধিতা করেন। এরা ছিলেন শেখ ফজলুল হক মণির কট্টর অনুসারী। ওই দিন কেন্দ্রীয় কমিটির সভা পরিচালনা করছিলেন সংগঠনের সভাপতি নুরে আলম সিদ্দিকী । স্বাধীন সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশের প্রস্তাব বিপুল ভােটে অনুমােদিত হয়ে যাচ্ছে দেখে তিনি সভাকক্ষ থেকে বেরিয়ে আসেন। চলে যান শেখ মুজিবের কাছে। প্রস্তাব অনুমােদন রােধের আবেদন নিয়ে। তিনি আর সভাকক্ষে ফিরে আসেন নি । সভাপতির অনুপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভার কাজ আবার শুরু হয় এবং স্বাধীন সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশের প্রস্তাব অনুমােদিত হয়ে যায়। পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি যখন স্বাধীন সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশের প্রস্তাব গ্রহণে প্রস্তুতি নিচ্ছিল, সেই সময় স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদের অন্যতম নেতা আবদুর রাজ্জাক মারফত শেখ মুজিব এই প্রস্তাবের প্রতি তার আপত্তির কথা জানিয়ে দেন । তিনি প্রস্তাব গ্রহণকারীদের ওপর রীতিমত রুষ্ঠ হয়ে ওঠেন। পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি গৃহীত স্বাধীন সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশের প্রস্তাবের প্রতি শেখ মুজিবের বিরােধিতা সম্পর্কিত প্রশ্নের জবাবে আবদুর রাজ্জাক এর সত্যতা স্বীকার করেছেন আমাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে । তবে এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে আবদুর রাজ্জাক বলেন “তিনি (শেখ মুজিব) বলেছিলেন কৌশলগত কারণে তােমরা এমন একটি প্রস্তাব নাও যাতে সবটাই বােঝায়। আমরা স্বাধীনতার পক্ষে এটা যেমন বােঝায়, তেমনি ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ যাতে না হয় সে ব্যবস্থাও রাখ । তার মানে এই নয় যে, স্বাধীনতা ও সমাজতন্ত্রের বিরােধিতা করা হয়েছে।” ১২ আগস্ট ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় স্বাধীন সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশের প্রস্তাব অনুমােদিত হয়ে যাওয়ায় আওয়ামী লীগ নেতৃত্ব পড়ে বিপাকে। তাদের শক্তির
—————————————
২২. পরবর্তীকালে প্রেসিডেন্ট এরশাদ সরকারের মন্ত্রী।
অন্যতম উৎস ছাত্রলীগ স্পষ্টতই দ্বিধা বিভক্ত হয়ে যায়। একদিকে শেখ মুজিবের ছয় দফাপন্থী, অপরদিকে স্বাধীন সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশ পন্থীরা। ছয় দফাপন্থী ছাত্রলীগের নেতৃত্বে ছিলেন নুরে আলম সিদ্দিকী ও আবদুল কুদুস মাখন। এদেরকে বাইরে থেকে নেতৃত্ব দিতে থাকেন শেখ ফজলুল হক মণি ও তােফায়েল আহমদ । আর এক দফাপন্থী অর্থাৎ স্বাধীন সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রত্যয়ী ছাত্রলীগ কর্মীদের নেতৃত্বে চলে আসেন আ স ম আবদুর রব ও শাহজাহান সিরাজ। বাইরে থেকে নেতৃত্ব দিতে থাকেন স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী পরিষদের ত্রয়ী নেতৃত্ব সিরাজুল আলম খান, আবদুর রাজ্জাক ও কাজী আরেফ আহমেদ।
সূত্রঃ বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে র এবং সিআইএ – মাসুদুল হক