You dont have javascript enabled! Please enable it!

১৩ পৌষ ১৩৭৮ বুধবার, ২৯ ডিসেম্বর ১৯৭১

করাচির ডন, জংয়ের মত পত্রিকাও পরিস্কার বললঃ শেখ মুজিবকে মুক্তি দাও। শেখ মুজিবুর রহমান সাড়া দুনিয়ার ঘরে ঘরে উচ্চারিত নাম। বাংলাদেশের বাঙালীর কাছে তিনি যে কিম তা এক কথায় বলা যায় না। ঢাকার ফারসী কন্স্যুলের স্ত্রী খানিকটা বলতে পেরেছিলেনঃ শেখ মুজিব বাংলাদেশ দ্যাগল।

-To facilitate Bengali refugees return railway communications between West Bengal and Bangladesh, Which had been served since the Indo-Pakistan war of 1965 were restored on Dec.29. When the first train from India reached Jessore.

-The Acting president, Syed Nazrul Islam, told a press conference in Dacca today; Jus withing 10 days after the Pak soldiers Surrender, the law and order has been fully established, the rule of law is functioning and complete peace prevails throughout Bangladesh. ২৮ শে ডিসেম্বর মিল ক্লেয়ার হোলিংওয়ার্থ কর্তৃক ঢাকা থেকে প্রেরিত এক সংবাদে বলা হয়, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি বড় রকমের বিনিময় ব্যবস্থার মাধ্যমে শেখ মুজিবের মুক্তিলাভের একটি প্রস্তাব ভারত সরকার বিবেচনা করছে। বাংলাদেশ নিয়োজিত ভারতের বিশেষ দূত ডি.পি ধর ২৮ শে ডিসেম্বর মিস হোলিংওয়ার্থকে বলেন, পাকিস্তানের সঙ্গে উপরোক্ত মর্মে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করা সম্ভব হবে বলে আশা করে হচ্ছে। শেখ মুজিবের বাংলাদেশ প্রত্যাবর্তন সম্পর্কে ভারত অত্যন্ত উদ্বিগ্ন বলে পরিস্কার বুঝা যায়। তিনি ঢাকা ফিরে আসলে দু’ঘন্টারও কম সময়ের মধ্যে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসবে বলে মিঃ ধর উল্লেখ করেন। (“দি ডেইলি টেলিগ্রাফ”, ২৯ ডিসেম্বর, ১৯৭১)

২৯ শে ডিসেম্বর “দি ডেইলি টেলিগ্রাফ” এ প্রকাশিত এক সম্পাদকীয় নিবন্ধে ভুট্টো কর্তৃক শেখ মুজিবের সঙ্গে অনুষ্ঠিত আলোচনার কথা উল্লেখ করাঃ শেখ মুজিবকে সে পাকিস্তানের নির্বাচিত নেতা এবং “পূর্ব পাকিস্তান” এর জনগণের প্রতিনিধি বলে উল্লেখ করে। ভুট্টো সম্ভবতঃ তাঁকে মুক্তিদানের কথা ভাবছে কিন্তু কোন শর্তে মুক্তি দেওয়া হবে তা এখন ও স্থির করা হয়নি বলে মনে হয়। ভুট্টো এখনও আশা করছে পূর্ব বাংলা কোন উপায়ে বর্তমান “বিশৃংখলা” এড়িয়ে পুনরায় পাকিস্তানের অংশ হিসাবে পরিচিত হবে। তারা আশা পূর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে কেউ বিশ্বাস করে না। এই নিবন্ধে আরও বলা হয়, গত মার্চ মাসে পাকিস্তানের সংখ্যালঘু ডলের প্রতিনিধি হিসাবে একগুঁয়ে নীতি অনুসরণের ফলে সৃষ্ট রক্তক্ষয়ী পরিস্থিতি জন্য ভুট্টো প্রধানত দায়ী, এ কথা নিশ্চয় সে ভুলে যায়নি। “দি ডেইলি টেলিগ্রা”। ২৯ ডিসেম্বর, ১৯৭১)। Mr Bhutto must surely well remember that it was his obdurate policies last March, As representative of what was then a minority in Pakistan as whole, when largely led to the present shambles. (The Daily Telegraph, 29 December, 1971)

error: Alert: Due to Copyright Issues the Content is protected !!